Wednesday, August 16, 2017

ফেসবুকে কী করবেন, কী করবেন না !!!


ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক। ফেসবুক এখন এমন এক যোগাযোগের মাধ্যম যেখানে প্রায় সব বয়সী মানুষেরই আনাগোনা রয়েছে। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

কিন্তু আজকাল এই ফেসবুকেই অনেকের ব্যক্তিগত জীবনের প্রভাব লক্ষ করা যায়। যেমন কেউ কেউ আছেন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় পর্যন্ত সকল কর্মকাণ্ডের খতিয়ান দেন ফেসবুকে। অথচ আমরা ভুলে যাই এটা শুধু একটা যোগাযোগের মাধ্যম। এখানে ব্যক্তিগত সব কথা জানানোর কোনো প্রয়োজন আছে কি?
লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট নিউ মিডিয়া রকস্টারস ডট কম-এ ফেসবুক ব্যবহারের আদবকেতার কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে। চট করে একবার চোখ বুলিয়ে নিন এবং জেনে নিন ফেসবুক ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদবকেতা সম্পর্কে :
•     ফেসবুকে প্রোফাইল আপডেটের জন্য অনেকেই প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিয়ে থাকেন। তবে এখানে আপনার সুযোগ রয়েছে নিজের তথ্য গোপন করার। এ ছাড়া এমন কোনো তথ্য দেবেন না, যা পরে অন্য কেউ আপনারই বিরুদ্ধে ব্যবহার করার সুযোগ পায়। মনে রাখবেন, এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে নিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না দেওয়াই ভালো।
•     অনেকেই আছেন, যাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে একটু রাগারাগি বা কথাকাটাকাটি হলে তা প্রকাশ করতে ফেসবুককেই মুখ্য মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন। অথচ আমরা ভুলে যাই সম্পর্কের মধ্যে মনকষাকষি, ঝগড়া তো হবেই। আবার মিটেও যাবে। এটি ফলাও করে সবার কাছে বলার প্রয়োজন নেই। তাই এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকুন।
•     ফেসবুকে আপনার বন্ধু বা পরিচিত কারো সম্বন্ধে এমন কিছু বলবেন না, যাতে তাঁর চাকরির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা হয়। হয় তো আপনি নিছক মজার ছলেই কিছু একটা আপনার বন্ধুর ওয়ালে লিখে ফেললেন; যা কিছুক্ষণের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ল আপনার বন্ধুর সহকর্মীদের মধ্যে। এমনকি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কান পর্যন্তও চলে যেতে পারে খবরটা। সুতরাং সাবধান। আপনার সামান্য ভুলে আরেকজনের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
•     অফিসে কাজের সময় ফেসবুক ব্যবহার না করাই ভালো। এতে যেমন কাজের মনোযোগ নষ্ট হয়, তেমনি সহকর্মীরাও সুযোগ পেয়ে যায় আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করার। এমনকি ফেসবুক ব্যবহারের কারণে একটা সময়ে আপনি কর্মক্ষেত্রে বিব্রতকর অবস্থাতেও পড়তে পারেন।
•     প্রেম, বিয়ে অথবা নিজের সম্পর্ক নিয়ে কোনো নেতিবাচক কথা ফেসবুকে না লেখাই ভালো। কী দরকার নিজের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় সবাইকে জানানোর? 
•     সব সময় ফেসবুকে ইতিবাচক কথা বলার চেষ্টা করবেন এবং সৎ থাকার চেষ্টা করবেন। আপনি চাইলেই আপনার ফেসবুক বন্ধুদের ওয়ালে নিজের মনমতো কিছু লিখে তাঁর ক্ষতি করতে পারেন। কিন্তু এটা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এখানে সততা না থাকলে অনেক কিছুই হতে পারে। তাই নিজে সৎ থাকুন, তাহলে অন্যরাও আপনার ক্ষতি করার সুযোগ পাবে না।  

•     কেউ কেউ আছেন যারা ঘন ঘন সঙ্গী পাল্টান। আবার ফেসবুকে বারবার সম্পর্কের স্ট্যাটাস বদলে মানুষকে তা দেখিয়ে বাহবা পাওয়ারও চেষ্টা করে। নিজেকে এতটা আধুনিক ভাবারও কোনো কারণ নেই। এতে  উল্টো আপনার প্রতি বাজে ধারণার সৃষ্টি হতে পারে। 
•    কেউ যদি আপনার পোস্ট করা ছবি বা স্ট্যাটাস নিজের ওয়াল থেকে মুছে দেয়, তাহলে কোনো প্রয়োজন নেই সেটিকে আবার রিপোস্ট করার। কারণ হয়তো সে আপনার পোস্টের কারণে বিরক্ত। তাই সে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলে তাঁকে আর পোস্ট বা ট্যাগ না করাই ভালো।

•     এমন কোনো কিছু ফেসবুকে পোস্ট করবেন না, যা আপনার বন্ধুর সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আপনি সব সময় তাঁর সঙ্গে থাকেন তাই অনেক কিছুই হয়তো জানেন। আপনার বন্ধু আপনাকে অনেক বিশ্বাস করে বলেই আপনাকে সে সব কথা বলে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে বন্ধুর সঙ্গে আজ একটু ঝামেলা হলো আর তার সব অজানা কথা ফেসবুকে লিখে দিলেন। এটি মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ না। 

•     সম্পর্ক ভাঙলে ফেসবুকে পরস্পরের প্রতি কাদা ছুড়বেন না। নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভাঙন ফেসবুকে আপডেট করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। 

•     ভুলেও নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের অন্তরঙ্গ ছবি ফেইবুকে পোস্ট করবেন না। এতে আপনার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফেসবুকের সব বন্ধুই নিজের কাছের মানুষ এমন ভাবা ঠিক নয়। তাই একটু সাবধানে থাকাই নিজের জন্য ভালো।

•    কেউ যদি ফেসবুকের লেখায় কাউকে প্রশ্ন করে তাহলে তার উত্তর দেওয়া উচিত। এটা এক ধরনের ভদ্রতা। এমনকি লেখাটা যদি একান্ত আপনাকে নিয়েই হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার সেই লেখার নিচে কমেন্ট দেওয়া উচিত। 

•     সব পোস্টেই যে কমেন্ট করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কিছু কিছু পোস্ট প্রয়োজন না মনে হলে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

•    অনেকেই মনে করেন যত বেশি ফেসবুক বন্ধু, তত বেশি অনলাইনজগতে জনপ্রিয় হওয়া সম্ভব। তাই কেউ বন্ধুত্বের আবেদন করলেই তাঁকে ফেসবুক বন্ধু বানিয়ে ফেলেন। অথচ না জেনে অপরিচিত কাউকে ফেসবুক বন্ধু না বানানোটাই ভালো।

•    ফেসবুক ব্যবহারে আরো একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি তা হলো- অযথা তর্কে জড়াবেন না। মনে রাখবেন ফেসবুক তর্ক করার মঞ্চ নয়। তর্কে জড়ালে আপনার সময় নষ্ট হবে। তর্কে জড়িয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং ফেসবুকে তর্ক এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই সব মন্তব্যের উত্তর দিতে যাবেন না। বা সব সময় নিজের মতকে সঠিক প্রমাণের চেষ্টা করারও দরকার নেই।

Wednesday, July 26, 2017

যাত্রীর সামনেই আপত্তিজনক কাজে লিপ্ত উবার চালক, ভিডিও করলেন খোদ যাত্রীই!

সারাবিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে উবার সেবা। প্রযুক্তির কল্যাণে এক ক্লিকে ঘরের সামনে হাজির হচ্ছে গাড়ি। নিরাপদে রাত বিরাতে চলাচলের জন্য এই সুবিধার অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু যাত্রীর সামনে যদি আপত্তিজনক কাজে লিপ্ত হয় গাড়িচালক, তখন যাত্রী কতটুকু নিরাপদ?
তবে ঘটনাটি এই দেশের নয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে ঘটনাটি চলতি মাসের ১৭ জুলাই রাত তিনটার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে ঘটেছে। সেখানকার এক বাসিন্দা অ্যানের মার্টিনো শিকাগো থেকে উবার ক্যাব বুক করেছিলেন। কিন্তু যাত্রীর সামনেই উবার চালক আপত্তিজনক কাজ শুরু করে। হাজার আপত্তি সত্ত্বেও বাধ মানেনি তাদের উদ্দাম যৌনতা। বাধ্য হয়ে পুরো দৃশ্য রেকর্ড করে সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করলেন ভুক্তভোগী যাত্রী।
যাত্রী জানান, গাড়িতে ঢুকেই এক মেয়েকে দেখতে পান যাত্রী। কিন্তু তিনি শেয়ার ক্যাব বুক করেননি, তারপরেও সৌজন্যের খাতিরেই প্রশ্নটি গাড়িচালককে করেননি। ভেবেছিলেন চালকের পরিবারের কেউ হবে হয়তো। মেয়েটি সামনের আসনেই বসায় কোনও আপত্তি জানাননি যাত্রী মার্টিনো। কিন্তু গাড়ি কিছুটা যেতেই তার সামনেই দু’জন যৌনতায় লিপ্ত হয়। তাতে আপত্তি জানান মার্টিনো। কিন্তু তা থাকেন দুজন। এভাবেই গন্তব্যে পৌঁছান যাত্রী। বিষয়টি তখনই কাস্টমার কেয়ারে জানান মার্টিনো।
এদিকে উবারের পক্ষ থেকে মাত্র সাড়ে ছয়শো ডলার ফেরত দিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে নিতে বলা হয়। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেন মার্টিনো। জানা গেছে, অভিযুক্ত চালককে বরখাস্ত করা হয়েছে, আর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Tuesday, July 25, 2017

রাজধানীতে নারীদের নতুন আতঙ্ক: প্র্যাংক ভিডিও

সোমা (ছদ্মনাম) নামের ইডেন কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, সেদিন বান্ধবীদের নিয়ে হাতিরঝিলে গিয়েছিলাম, হঠাৎ ব্যস্ত সড়কে একটা ছেলে নিজ থেকেই ধাক্কা খেয়ে মোবাইল হাত থেকে ফেলে দেয়, এরপর থেকেই শুরু হয় তাদের উল্টা পাল্টা কথা বার্তা, এক পর্যায়ে লোকজন জড়ো হয়ে যায়, কোনো কিছু বোঝার আগেই অদ্ভুত রকমের সমস্যায় নিজের খেই হারিয়ে ফেলি, সঙ্গে বান্ধবীরা থাকায় কিছুটা তর্ক করতে পেরেছিলাম, এক পর্যায়ে ছেলেটি দাবী করে তার ২৫ হাজার টাকা দামের মোবাইলটি ঠিক করে দিতে হবে, না হলে বাসায় অভিভাবকদের জানাবে। প্রায় মিনিট দশেকের মতো বাকবিতণ্ডার পর তারা জানায় আপু আমরা প্র্যংক ভিডিও করছিলাম, ওই যে দেখুন ক্যামেরা।

ঝর্ণা (ছদ্মনাম): পরিবারের কয়েকজন মিলে আমরা বসুন্ধারা মলে শপিং করছিলাম, এক সময় আমি আর আমার ভাই চলন্ত সিঁড়ি (এস্কেলেটর) দিয়ে পাঁচ তলার দিকে যাচ্ছিলাম, পাশের চলন্ত সিঁড়ি (এস্কেলেটর) থেকে হঠাৎই একটা ছেলে কয়েক সেকেন্ডের জন্য আমার হাত ছুঁয়ে দেয়, যা ছিল সত্যিই ভীতিকর ও অসম্মানজনক। পরে আমার ভাই নীচে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে তারা প্র্যাংকের কথা বলে।


তরুণ সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের জন্য সামাজিক যোগাযোগ ও ভিডিও আদান প্রদানের অনলাইন মাধ্যমগুলোতে প্র্যাংক ভিডিও তৈরির নামে (হাস্যরসের মাধ্যমে) নারীদের হয়রানি করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক এবং ইউটিউবে এরকম অসংখ্য প্র্যাংক ভিডিও দেখা গেছে যেখানে ‘কৌতুকের’ নামে নারীদের হয়রানি করা হয়েছে।

মনস্তত্ত্ববিদ, সমাজ বিজ্ঞানী ও অনলাইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিডিও তৈরির নামে এই ধরনের রুচিহীন ও অনৈতিক কার্যক্রম রোধে তরুণ সমাজকে অবশ্যই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। পুলিশ বলছে, প্র্যাংকের নামে কাউকে হয়রানি করা হলে এই ধরনের কর্মকাণ্ড অবশ্যই অপরাধের মধ্যে পড়বে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেন এমনভাবে প্র্যাংকের ব্যবহার করা হচ্ছে এ সম্পর্কে ভ্লগার ও অনলাইন বিশেষজ্ঞ সোলায়মান সুখন বলেন, প্র্যাংকের ব্যবহার যেভাবে হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে ভুল। টেকনোলজি ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার ফলে আমাদের বেশকিছু তরুণেরা এমনটা করছে। বহিঃবিশ্বে প্র্যাংক সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ব্যঙ্গ রসাত্মক কিছু করা হয়, কিন্তু আমাদের মতো নারী বা অন্য কাউকে হেয় প্রতিপন্ন বা হয়রানি করা হয় না।

ইউটিউবে গিয়ে দেখা যায় ফ্রেন্ডজ বুম (Friendz Boom), আয়নাঘর (Aynaghor), Adda Khana Productions, jony the naughty boy নামের চ্যানেল গুলোতে এই ধরনের অসংখ্য প্রাংক আপলোড করা হচ্ছে নিয়মিত। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় প্র্যাংকের নামে মানুষকে নাজেহাল করার সংস্কৃতি স্বাভাবিক  কোন বিষয় কি না এমন প্রশ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ এহসান হাবীবের কাছে।

তিনি  বলেন, সামাজিকভাবে দেখলে বলা যায়, এই ধরনের প্র্যাংক যারা করছেন, তারা সমাজের অসুস্থ মানুষ। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নেতিবাচক। ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে তারা তাদের নোংরা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ করছেন। এমনিতেই আমাদের সমাজে নারীরা নানা ধরনের সহিংসমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন। এর সঙ্গে যদি প্র্যাংকের নামে নতুন করে নির্যাতন বা উত্যক্ত করার বিষয়গুলো যোগ হয়, তাহলে এটি রীতিমতো ভয়ংকর আকার ধারণ করবে।

প্র্যাংকের মাধ্যমে ভয় পেয়ে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে পারেন বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ঝুনু শামসুন নাহার।

তিনি বলেন, না বলে হাস্যরস বা কৌতুকের মাধ্যমে ভিডিও করা নারীর জন্য অসম্মানজনক ও মর্যাদার প্রশ্ন। যারা মনের দিক দিয়ে শক্তিশালী না তারা কিন্তু এরকম অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে পারেন, এমনটি হ্যার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।

প্র্যাংক ভিডিও তৈরির এমন নেতিবাচক পথ থেকে তরুণ সমাজকে বের করতে হলে করণীয় কি জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞরা নানা পরামর্শ দিয়েছেন।

ভ্লগার সোলায়মান সুখন বলেন, আমাদের আচার-আচরণে মননশীলতার পরিচয় দিতে হবে আমাদের সেলফ সেন্সর (আত্ম-সংযম) থাকতে হবে। ইউটিউবে ভাইরাল হওয়ার জন্য প্র্যাংকের আশ্রয় নেওয়ার দরকার নেই, প্র্যাংক করে কেউ গ্রেট হতে পারে না। আমাদের সমাজে যে আগ্রাসী আচরণগুলো রয়েছে সেখান থেকেই এই প্র্যাংকের আবির্ভাব। আমাদের আরো রুচিশীলতার পরিচয় দিতে হবে। সর্বোপরি এইসব ক্যালচারের বিপক্ষে প্রবীণ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও যারা এসব অদ্ভুত প্র্যাংক করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

তরুণদের মূল্যবোধ ও মানসিকতার বিকাশ ঘটানোর কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ এহসান হাবীব। নারীর প্রতি আরো শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় মনে করে তিনি বলেন, আমাদের সমাজে নারীকে আনন্দ-উপভোগের বিষয় হিসেবে ব্যবহার কর হয়। এগুলো কঠোরভাবে দমন করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ঝুনু শামসুন নাহার বলেন: দেশের আইন-কানুন সম্পর্কেও তরুণদের জানাতে হবে। অন্যের জন্য ভালো কিছু করা শেখাতে হবে। স্কুলের সিলেবাসে এমন কিছু জিনিস যোগ করতে হবে যাতে কিশোররা হিংস্র না হয়ে অন্যের প্রতি নমনীয় ও সংবেদনশীল হতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইমের উপকমিশনার (ডিসি) আলিমুজ্জামান বলেন, সাধারণত কারও পূর্ব অনুমতি ছাড়া ভিডিও গ্রহণ বা প্রকাশ, অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। প্র্যাংকের মাধ্যমে কাউকে যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয় এবং ভুক্তভোগীরা যদি আমাদের কাছে অভিযোগ করে তাহলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

Monday, July 24, 2017

ফাঁদে পড়তে না চাইলে আগেই জেনে রাখুন প্রতারকদের নিত্য-নতুন যত অভিনব কৌশল !

খুব সহজেই আপনি অথবা আপনার স্বজন কিংবা আপনার সবচেয়ে প্রিয়জন যে কেওই হতে পারেন ভয়ানক প্রতারণার শিকার! সমুহ বিপদ থেকে রক্ষা পেতে একদিকে আপনি যতই বাড়াচ্ছেন সতর্কতা প্রযুক্তির নিত্য নতুন আবিস্কারের সুবাদে পেছনের পরিচিত কৌশল ফেলে অপরাধীরা নতুন কৌশলে আপনাকে ফাঁদে ফেলতে আবারো কোমর বেধে নিচ্ছে প্রস্তুতি!
প্রিয় পাঠক, প্রযুক্তির হাত ধরে অসাধু ব্যক্তিদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হবার ঘটনা নতুন কিছু নয়। একমাত্র সাবধানতা আর প্রয়োজনীয় সতর্কতাই একমাত্র পারে আমাদের অনাকাংখিত বিপদ এবং বিব্রতকর কোন পরিস্থিতি থেকে নিরাপদে রাখতে। দিনের পালাবদলে এসেছে সব কিছুর পরিবর্তন।
সময়ের কণ্ঠস্বরের পাঠকদের জন্য এমনি কিছু নয়া প্রতারণার কৌশল থেকে বাঁচতে থাকছে একটি সতর্কতামুলক ফিচার ।
প্রতারণার শিকার হচ্ছেন নাতো! সতর্ক হোন এক্ষুনি

রাতে ভালো ঘুম হয়নি । করিম সাহেবের চোখ মুখে বিরক্তি। এখনি বাসের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে। চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলেন। রিং বাজতেই ফোন রিসিভ করলেন। ফোন পেয়ে মনটা ভালো হয়ে গেল। আড়চোখে দেখলেন স্ত্রী রান্নাঘরে। একটা নম্বরে ডায়াল করলেন। নিজে খুব একটা কথা বলতে পারলেন না, ওপাশের কথা শুনলেন। মাসের শেষ, হাতে নগদ টাকা নাই। ব্যাংকে সামান্য সঞ্চয়। বেরুনোর আগে চেকবই সাথে নিলেন। মেজাজটা ফুরফুরে। লাইনে দাঁড়াতে আজ আর কষ্ট হলো না।
অফিসে চেকবইয়ে টাকার অঙ্কটা লিখলেন। পাঁচ লাখ। একটু খারাপ লাগলো। রিটায়ারমেন্টের খুব বেশী বাকী নাই। ছেলেটার অনার্স পাশ করলো। মেয়েটা এসএসসি দেবে। পাঁচ লাখ তুলে ফেললে বাকী থাকবে দুই লাখ সাতচল্লিশ হাজার। চেকে সই করে দিলেন। পাঁচ লাখ টাকা পাঠাতে হবে। তবে পুরস্কারের মূল্যও কম নয়। ২২ লাখ টাকা। একবার ভাবলেন স্ত্রীর সাথে শেয়ার করেন। কিন্তু পুরস্কারের কথা যে গোপন রাখতে হবে। বহুদিন আগে কেনা নকিয়া সেটটা হাতে নিলেন। মাস শেষে বিল দেখে গ্রামীণের সিম ব্যবহার করবেন না বলে ও ভেবেছিলেন। ভাগ্যিস ছাড়েননি। লাঞ্চ ব্রেকে বাইরে গেলেন। সরাসরি বিকাশের দোকানে। পাঁচ লাখ টাকাই পাঠালেন। ভিন্ন ভিন্ন এ্যাকাউন্টে। প্রত্যেকবার টাকা গুনে দোকানদারের হাতে দিচ্ছিলেন। অনেক কষ্টে জমানো টাকা। খারাপ লাগছিল। কিন্তু সেই কন্ঠ বারবার মাথার মধ্যে অনুরনিত হয়। “আপনি দুই লাখ সেরা গ্রাহকের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছেন। ”
Cell Phones & Accessories করিম সাহেব সারাজীবনই পেছনে ছিলেন। কখনোই কোনকাজে সেরা ছিলেন না। আজ প্রথমবারের মত সেরাদের মধ্যে সেরা। নিজের অজান্তেই গর্বে বুক ভরে যায়। “পুরষ্কার হিসাবে আপনি পাবেন একটি নতুন মাইক্রোবাস অথবা ২২ লক্ষ টাকা নগদ। ” আর্থিকমূল্যেও বিরাট, অন্ততঃ করিম সাহেবের কাছে। চাকুরীতে সুযোগ পেয়েও তিনি নীতিভ্রষ্ট হন নাই। সারাজীবন সৎ থাকার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সততার পুরষ্কার বোধহয় তিনি এভাবেই পাচ্ছেন। এসব ভাবতে ভাবতে তিনি অফিসে ফেরেন। ফুরফুরে মেজাজে সকলের সাথে অফিস ছাড়েন। ড্রইংরুমে টেলিভিশনের চ্যানেল ঘুরাতে থাকেন। পুরষ্কারের টাকা পাবার পর একটা নতুন টেলিভিশন কিনবেন। তাঁর কন্ঠে গুন গুন গান শুনে ছেলেটা মুখ ঘুরিয়ে মুচকি হাসে।
খোদেজা সবসময় কম কথার মানুষ। ৩০ বছরের বিবাহিত জীবনে স্বামীর কাছে সেভাবে কোন আবদার করেনি। স্বামীর সামর্থ ও সে জানে। বাসার ফ্রিজটা প্রায়ই নষ্ট হয়। টাকাটা পেলে নতুন ফ্রিজ কিনে এনে খোদেজাকে সারপ্রাইজ দেবেন। খোদেজা ফ্রিজ দেখে কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাবে-করিম সাহেব ভাবতে থাকেন। তিনদিন কিছুতেই ফুরাতে চায় না। তিনদিন পরেই তিনি পুরস্কারের চিঠি হাতে পাবেন। চতুর্থদিন এসে যায়। আজ একটু তাড়াতাড়িই অফিসে ঢোকেন। অফিসেই চিঠি আসবে। এই বুঝি চিঠি আসে। সারাদিনই অস্থির করিম সাহেব। অফিস টাইম শেষ। হয়তোবা জ্যামে আটকে আছে কুরিয়ারের গাড়ি। অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। মাগরিবের আযান হয়। এবার করিম সাহেব বাসায় রওয়ানা হন। নির্ঘুম রাত কাটে। পরের দিন অফিসে গিয়েই সেই নম্বরে ফোন দেন। ফোন যাচ্ছে না। রিডায়াল করতে থাকেন। না, ফোন বন্ধ। সবগুলো নম্বরই বন্ধ।
করিম সাহেবের বুকটা কেঁপে ওঠে। পাগলের মত ফোন করতে থাকেন। কোন লাভ হয় না। বুকের ভিতর চিন চিনে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। চোখ খোলেন তিনি। বুঝতে পারেন হাসপাতালের বেডে। এদিক ওদিক তাকান। খোদেজাকে দেখতে পান। তাঁর হুঁশ ফিরেছে দেখে শাড়ীর আঁচলে চোখ মোছে। ছেলেমেয়ে ও আছে। কি হয়েছিল তা মনে করার চেষ্টা করেন। বুঝতে পারেন অফিসেই বেহুঁশ হয়ে পড়েছিলেন। সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। “দ্রুত হাসপাতালে এসেছিলেন, এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন”- ডাক্তারের হাসিমুখ দেখলেন। “স্যার, আচ্ছালামু আলাইকুম। আমি গ্রামীণ ফোন থেকে বলছি। যারা দীর্ঘদিন গ্রামীণ ফোন ব্যবহার করছেন এবং যাদের বিরুদ্ধে কখনো কোন অভিযোগ হয়নি, এমন দুই লাখ সেরা গ্রাহকের মধ্যে লটারী করা হয়েছে। সেরা দুই লাখ গ্রাহকের মধ্যে দ্বিতীয় ভাগ্যবান আপনি। আপনি পুরস্কার হিসাবে পাবেন একটি বারো সিটের নতুন মাইক্রোবাস কিংবা ২২ লাখ নগদ টাকা। পুরস্কারের চিঠি হাতে পাওয়ার আগে কাউকে একথা বলা যাবে না। আপনি দয়া করে এখনই ০১৭১৪৩২৭………..নম্বরে ফোন করুন। ”
ফোন ব্যাক করতেই অফিসিয়াল ফর্মালিটিজগুলো খুব সুন্দর ভাবে বোঝানো হয় করিম সাহেবকে। গাড়ীর কাগজপত্র রেডি এবং রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পাঁচ লাখ টাকা লাগবে। ছেলেটা এতো ভদ্র ও বিনয়ী, কোন সন্দেহ হয়নি তাঁর। নানা কথা ভাবতে ভাবতে সময় কেটে যায়। তিনদিন পর আবার অফিস যেতে শুরু করেন করিম সাহেব। গ্রামীণ ফোন অফিসে যোগাযোগ করে জানা যায় এরকম কোন লটারী কিংবা পুরস্কার প্রদানের বিষয় পুরোপুরি ভিত্তিহীন। করিম সাহেব প্রতারিত হয়েছেন। তাঁর সারাজীবনের সঞ্চয় এভাবে প্রতারকচক্র হাতিয়ে নিল!
কেন কারো সাথে শেয়ার করতে বারন করেছিল তা তিনি বুঝতে পারেন। নিজের গালে চড় মারতে ইচ্ছা করে তাঁর। পুরস্কার প্রাপ্তির খবর শেয়ার না করার কোন কারন ছিল না-এটি কেন তাঁর মাথায় আসেনি। গ্রাহক বাড়ানোর কৌশল হিসাবে ফোন কোম্পানী কোটি টাকার বিজ্ঞাপন প্রচার করে। কিন্তু এই ধরনের পুরস্কারের কথা জানালে তো গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ার কথা। অথচ এই ব্যাপারে কোন বিজ্ঞাপন কিংবা বিজ্ঞপ্তিতো তাঁর চোখে পড়েনি। এসব চিন্তা কেন যে মনে আসে নি! এজীবনে আর কাউকে বিশ্বাস করবেন না। করিম সাহেব চরম ধাক্কা খেয়ে শিখলেন।
প্রতারনা ও প্রতারকের ইতিহাস অনেক পুরোনো। সময়ের সাথে সাথে শুধু ধরণ পাল্টায়। আমরা যদি একটু সতর্ক হই, চিন্তাভাবনায় যৌক্তিক হই, অন্তর থেকে লোভ পরিহার করি তা’হলে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।
হাসপাতাল ছেড়েছেন কয়েকদিন। করিম সাহেব কেমন যেন মনমরা। শরীরের ওপর দিয়ে একটা ধকল গেছে। খোদেজা বেগম ভাবে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সহকর্মীরা কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেন। মলিন মুখে ভালো আছেন জবাব দেন। রাতে ঘুমাতে পারেন না। তিনি কি স্ত্রীকে সব খুলে বলবেন? জানাজানি হয়ে যাবে। মানুষ বোকা ভাববে। সবাই বিদ্রূপ করবে। স্বল্পভাষী খোদেজা তীর্যক মন্তব্য করবে। ছেলেমেয়ে মুখ টিপে হাসবে। তাদের বাবা কি বোকা।
করিম সাহেব সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। মাঝেমধ্যেই করিম সাহেব ঐসব নম্বরে সংযোগ পেতে চান। সব বারই ব্যর্থ, মোবাইল সংযোগ পাওয়া যায় না। এভাবে আরো এক সপ্তাহ কেটে যায়। রাতে এপাশ-ওপাশ করেন। গভীর রাতে মশারী থেকে বেরিয়ে জানালায় দাঁড়ান। গভীর রাতে ট্রাক আর কাভার্ড ভ্যানের শব্দ। খোদেজা বেগম সবই টের পান। স্বামী রাতে ঘুমান না। জিজ্ঞাসা করে সদুত্তর পায় না। বেশী প্রশ্ন করতে সাহসেও কুলায় না।
এমনিতে করিম সাহেব গোবেচারা টাইপের মানুষ। তবে বড্ড অভিমানী। ভেতরে ভেতরে করিম সাহেব ক্লান্ত। খোদেজাকে সব খুলে বলবেন। পঁচিশ বছর বিয়ে হয়েছে। স্ত্রীকে কোন কিছু গোপন করেন নি। খোদেজাই তাঁর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। দু’তিন দিন সংকল্প করেও বলা হয়ে ওঠেনা। আজ যে করেই হোক বলবেন। কখন বলা যায়। শুক্রবার, অফিস নাই। সারাদিন বাসায় থাকবে। আজই সুযোগ। ছেলেমেয়ে দু’জনই আজ বাসায়। ছোট্ট বাসা। সুযোগ হয় না। গভীর রাত।
সব শুনে খোদেজা নির্বাক। বিশ্বাস হতে চায় না। বিয়ের পর স্বামীকে দেবতা মনে করে এসেছে। কখনো লোভী হতে দেখেনি। শেষের দিকে করিম সাহেবের কন্ঠ ভারী হয়। পরম মমতায় স্বামীর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে। দু’জনেই চুপ করে থাকে। অনেকক্ষন পর খোদেজাই প্রথম কথা বলে। তার দুঃসম্পর্কের খালাতো ভাই পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানায় আছে। পরেরদিন বাসা খুঁজে পেতে কষ্ট হয়। অনেকদিন যোগাযোগ নাই।
বশির দারোগা চুপচাপ শোনে। এতোটা বোকামী। বশিরের ভীষন রাগ হয়। তার ইচ্ছা হয় ভগ্নিপতির গালে ঠাস করে চড় মারে। খালাতো বোনের সাথে সম্পর্ক খুব শীতল। তাই খুব একটা কথা হয় না। শুষ্ক কন্ঠে বশির মিয়া বাঁকা কথা শোনায়। খোদেজা অপমান বোধ করে। লজ্জ্বায় মুখ তুলতে পারেন না। বশিরের কথা শুনে করিম সাহেবের মনে হয় তিনিই প্রতারিত নন। তিনি নিজেই প্রতারনা করেছেন, অপরাধী।
বশির মিয়ার কাছে এই গল্প পুরোনো। আগেও এরকম তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে। কোনটারই প্রতিকার দিতে পারে নাই। কি করবে তা বুঝে উঠতেই পারে নাই। মটর সাইকেল স্টার্ট দিয়ে বশির মিয়া থানায় যায়। মিনিট বিশেক পরে ফেরত আসে। আশার কথা শোনায়। ডিবি’র লোকেরা নাকি এরকম প্রতারক গ্যাঙ ধরতে পারে। বশির মিয়া টেলিফোনে তার ব্যাচমেটের সাথে কথা বলে। ব্যাচমেট সন্ধ্যার পর ডিবি অফিসে দেখা করতে বলে।
আবারো বিদ্রূপের মুখামুখি হতে হবে। করিম সাহেব মানসিক প্রস্তুতি নেন। বশির মিয়ার ব্যাচমেট করিম সাহেবকে নিয়ে তার বসের রুমে ঢুকে। এসি সাহেবের বয়স কম। করিম সাহেবকে বসতে ইঙ্গিত করেন। ইতস্ততঃ করে করিম সাহেব সামনের চেয়ারটাতে বসে পড়েন। বশির মিয়া আর তার ব্যাচমেট দাঁড়িয়ে থাকে। এসি সাহেব প্রশ্ন করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পুরো কাহিনী শোনেন। প্রতারকের নম্বর এবং বিকাশ নম্বরগুলো নোট করেন। তিনি দেখবেন বলে করিম সাহেবকে বিদায় দেন। বশির মিয়ার মটর সাইকেলে করিম সাহেব বাসায় ফেরেন। এসি সাহেব তাকে কোন আশ্বাস দেন নি। করিম সাহেব কিছুটা হতাশ।
এসি সাহেব তার এডিসিকে সঙ্গে নিয়ে ডিসির রুমে যান। ডিসি স্যার অভিজ্ঞ মানুষ। সব শুনে কিছু নির্দেশনা দেন। এই ধরনের অভিযোগ আরো কয়েকটা এসেছে। একটা কিছু করা দরকার। মানুষকে প্রতারিত করছে। অনেক মানুষের সঞ্চয় হাতিয়ে নিচ্ছে। এসি সাহেব মাঠে নামেন। এডিসির সরাসরি তত্ত্বাবধানে তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষন করেন। বুঝতে পারেন প্রতারকচক্র অনেক বেশী ধূর্ত। মোবাইলগুলোর রেজিস্ট্রেশন সব ভূয়া। প্রতারকদের অবস্থান এলাকা চিহ্নিত করে ফেলেন। নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যায় না এরা। স্থানীয় পুলিশের সহায়তা নিয়ে ধরে ফেলেন কয়েকজন প্রতারক।
এরা খুব একটা শিক্ষিত নয়। কথায় খুব স্মার্ট। জিজ্ঞাসাবাদে অজানা তথ্য বেরিয়ে আসে। বেশ কয়েক বছর আগে ঢাকার ফুটপাতে অনেক ধরনের ক্যানভাসার থাকতো। কেউ তাবিজ, কেউ হালুয়া কিংবা কেউ বই বিক্রি করতো। সম্ভাব্য ক্রেতা আকৃষ্ট করতে হতো। ক্যানভাসারের বাচনিক দক্ষতার উপর বেচাবিক্রি নির্ভর করতো। এটাই ছিল তাদের জীবিকা। আস্তে আস্তে টেপ রেকর্ডার এসে যায়। ক্যানভাসারের জায়গা দখল করে টেপরেকর্ডার। ক্যানভাসারদের ব্যবসা গুটিয়ে যায়।
ক্যানভাসারদের একটা বড় অংশ পেশা পরিবর্তন করে। ক্ষুদ্র একটা অংশ প্রতারনার পেশায় নেমে পড়ে। পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে টেলিফোনে কণ্ঠের জাদুতে মানুষকে কনভিন্স করে। প্রতারনার ফাঁদে ফেলে মানুষকে। পুরস্কারের প্রলোভনে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। ডিজিট দেখে অপেক্ষাকৃত পুরোনো নম্বরের গ্রাহক বেছে নয়। তারপর স্মার্ট কন্ঠে কল দিয়ে পুরস্কার প্রাপ্তির খবর দেয়। অন্যের সাথে শেয়ার করলে শিকার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই চাতুর্যের সাথে কারো সাথে শেয়ার করতে নিষেধ করে।
প্রচারেই প্রসার-ফোন কোম্পানীগুলো এই নীতিতে বিশ্বাস করে। পুরস্কার চালু করলে তা রেডিও-টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করবে। নানারকম বিজ্ঞাপন বানাবে। বারবার প্রচার করে কান ঝালাপালা করে ফেলবে। পোষ্টার বিলবোর্ড বানাবে। পুরস্কারতো গোপনে দেওয়ার কথা নয়। ফোন কোম্পানীর হটলাইনগুলোতে ফোন করেও বিষয়টা যাচাই করা সম্ভব।
এই ধরনের ঘটনায় প্রতারককে খুঁজে বের করা খুব কঠিন কাজ। প্রতারক ধরা পড়লেও সাজা নিশ্চিত করা আরো কঠিন। টাকা ফেরত পাওয়া প্রায় অসম্ভব। প্রতারনা প্রাচীন পেশা। সতর্ক থাকুন। এধরনের অফার পেলে নিজে নিজে পর্যালাচনা করুন। অন্যদের সাথে আলোচনা করতে পারেন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার সচেতনতায় প্রতারক তার পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হবে।

                            লেখক, পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান              মনিরুল ইসলাম

Sunday, July 23, 2017

সাবধান! ভয়ংকর প্রতারনার পর অশালীন ভিডিও দিয়ে কোটি টাকার ব্লাকমেইল!

একটি নামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহ্‌ মো. মুজাহিদ। রাজধানীর অভিজাত পরিবারের গৃহশিক্ষক ছিল। এই সুযোগে ওই পরিবারের গৃহবধূকেই ধর্ষণ করে।
তবে শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি সে। ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করেছে। নিজেই মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ধর্ষিতার স্বামীর কাছে। সেই মেসেজে লিখা ছিলো, ‘ভাই, আমি ভাবিকে বিদেশি ওষুধ খাইয়ে সেক্স করেছি। তিন ঘণ্টা ধরে সেক্স করেছি। দ্রুত ডাক্তার দেখাবেন। না হলে তার কিডনি ড্যামেজ হয়ে যাবে’।
জানা গেছে, শাহ মো. মুজাহিদ নামের ওই যুবককে গত বছর আগস্টে নিজের দুই সন্তানের জন্য গৃহশিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিলেন রাজধানীর ভাটারা এলাকার ব্যবসায়ী মামুন। অনেকটা নিজ সন্তানের মতো মনে করে ওই গৃহশিক্ষককে নিজ ফ্ল্যাটেই থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের অন্য সদস্যদের মতোই অবস্থান ছিল মুজাহিদের। তবে মুজাহিদের চোখ পড়ে মামুনের অর্থবিত্তের দিকে।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গৃহকর্ত্রীর সরলতার সুযোগে কোমল পানীয়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খাইয়ে গৃহকর্ত্রীকে তিনি ধর্ষণ করেন। গৃহকর্তা মামুন অসুস্থতার কারণে ওই সময় এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর গৃহকর্তা মামুনকে অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে এক কোটি টাকা দাবি করেন মুজাহিদ। বিষয়টি পুলিশ কিংবা র‌্যাবকে অবহিত করলে পরিণাম আরও খারাপ হবে বলে হুমকি দেন তিনি।
পরবর্তীতে সেটা বিশ্বাস করানোর জন্য আরো একটি মেসেজ পাঠিয়েছিল ওই গৃহশিক্ষক। তাতে লিখা- আপনার বাসার দারোয়ানের বেডের নিচেই একটি কালো রংয়ের পেনড্রাইভ রেখে আসছি। সেই পেনড্রাইভে ধর্ষণের ভিডিও আছে। পরে সেখান থেকে নির্যাতিতার স্বজনরা পেনড্রাইভটি সংগ্রহ করেন। সেই ভিডিও দেখে তারা আঁতকে ওঠেন। এরপরও মান-সম্মানের কথা ভেবে বিষয়টি চেপে যান তারাএমনকি বিশ্বাস করানোর জন্য পেনড্রাইভে করে তা পাঠিয়ে দিয়েছে কৌশলে। ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন স্বজনরা। এরপর ফের ঐ গৃহকর্তাকে এস এম এস করে বলেন, আমার বসেরা বলছে, ওই ভিডিও দিয়ে ব্লু-ফিল্ম তৈরি করতে। এখন আপনার টাকার ওপর সব নির্ভর করবে।’ গত বছর ৬ নভেম্বর ওপরের দুটি খুদেবার্তার বাইরেও অভিযুক্ত শাহ মো. মুজাহিদ অন্তত ১২টি খুদেবার্তা পাঠিয়েছিলেন ভুক্তভোগী । এ ঘটনায় ১১ জানুয়ারি রাজধানীর ভাটারা থানায় পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় (নম্বর-৮)।
এরপর ধর্ষক মুজাহিদ ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে জিম্মি করতে চেষ্টা করে পরিবারটিকে । বিশাল চক্রের মাধ্যমে দাবি করে কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগে মাস্টার্স পাস করা মুজাহিদ ৩৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। মামলার বাদী ব্যবসায়ী মামুন জানিয়েছেন , খোকন নামে এক ব্যক্তি গৃহশিক্ষক হিসেবে মুজাহিদের তথ্য দিয়েছিলেন। মুজাহিদ তখন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করতেন। গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার নরপতি শ্রীকুটা ফকিরবাড়ী।
পরে এ ব্যাপারে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধর্ষিতার স্বামী। গৃহকর্ত্রীর স্বামী ও মামলার বাদী মামুন বলেন, একপর্যায়ে ভাটারা থানা পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। চলতি বছর ১১ জানুয়ারি ভাটারা থানায় শাহ মো. মুজাহিদ, শাহ মো. মুশাহিদ ও মো. জুবায়েরকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে পুলিশ প্রথম দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। পুলিশ মুজাহিদের মোবাইল থেকে এসব ভিডিও উদ্ধার করে। এরমধ্যে মুজাহিদ জামিনে বেরিয়ে আসে।
ভুক্তভোগি পরিবারটির অভিযোগ, জামিনে বেরুবার পর ওই মামলা তুলে নিতেও হুমকি অব্যাহত রেখেছে মুজাহিদ গ্যাং। এ ব্যাপারে বাদী ভাটারা থানায় গত ২০শে জুন আরও একটি মামলাও দায়ের করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ই জুন তার মোবাইলে ফোন করে মামলা তুলে না নিলে জীবনে শেষ করে দেয়ার জন্য হুমকি দেয়। বাদী উল্লেখ করেন এই অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু ওই গৃহবধূই নয়, একাধিক নারীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে তাদের ব্লাকমেইল করেছে এই যুবক। এদিকে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন গাড়িচালক হাসান উল্লাহ। গত ২৫শে এপ্রিল সাক্ষী হিসেবে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এতে তিনি ওই দিনের ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন। এছাড়া ১৬১ ধারায় ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন গৃহবধূ নিজেও।
ড্রাইভার তার জবানবন্দিতে বলেন, ওইদিন তিনি ডিউটি করার জন্য যান। সাহেব (ভিকটিমের স্বামী) তখন হাসপাতালে ছিলেন। বিকাল ৪টার দিকে লজিং মাস্টার মুজাহিদ সাহেবের ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাসার নিচেই পার্কিংয়ে আসে। মুজাহিদ গাড়ি বের করতে বলে। সে (মুজাহিদ) জানায়, বাচ্চাদের নিয়ে তিনশ’ ফিট রাস্তার দিকে বেড়াতে যাবে। জবানবন্দিতে ড্রাইভার বলেন, তিনশ’ ফিট রাস্তার দিকে যখন যাচ্ছিলাম তখন দু’জন ব্যক্তি গাড়ি থামানোর জন্য সিগন্যাল দিলে মুজাহিদ আমাকে গাড়ি থামাতে বলে। মুজাহিদ ও নজরুল তাদের ভাই সম্বোধন করে গাড়িতে উঠতে বললে তারা গাড়িতে ওঠে। আমরা ইসাপুরার দিকে যাই। ইসাপুর লোকশূন্য এলাকা। ইসাপুরায় গিয়ে দেখি, ৫-৬ জন লোক দাঁড়িয়ে আছে। মুজাহিদ আমাকে সেখানে থামতে বলে। আমি দাঁড়ালে লোকগুলো দৌড়ে আসে। তারা আমাকে ও বাচ্চাদের জিম্মি করে। মুজাহিদ, ওয়ালিদ, নজরুল সেখান থেকে চলে যায়। আনুমানিক ২ ঘণ্টা পর জিম্মিকারীদের একজনের কাছে একটা ফোন কল আসে। তারা বলে, বস কাজ ওকে। তাদের কি ছেড়ে দেবো?
ড্রাইভার জানান, এরপর তারা আমাদের ছেড়ে দিলে জলদি বাচ্চাদের নিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে দেখি ম্যাডাম কাঁদছে। আমি ম্যাডামকে জিম্মি হওয়ার কথা জানাই। ম্যাডাম আরো কান্নাকাটি করে। আমি সাহেবের বাচ্চাদের বাসায় রেখে এবং গাড়ির চাবি দিয়ে বাসায় চলে যাই। পরে স্যারকে বিষয়টি অবগত করি।
ওইদিনে গৃহবধূর সঙ্গে ধর্ষক গৃহশিক্ষক যে ঘটনা ঘটিয়েছে তারও জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন আদালত। ১৬১ ধারায় দেয়া নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ জানান, মুজাহিদ আমার ছেলে-মেয়েকে পড়াতো। ঘটনার দিন আমার স্বামী এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ওইদিন মুজাহিদ আমার ছেলে-মেয়ে এবং ড্রাইভার হাসানকে নিয়ে তিনশ’ ফিট রোডে ঘুরতে যায়। যাওয়ার ৪০-৪৫ মিনিট পর মুজাহিদ বাসায় একা ফিরে আসে। তখন তার হাতে একটি কোল্ড ড্রিংকস ছিল। এটা আমার হাতে দিয়ে খেতে বললে সেটা খাই। খাওয়ার পর মাতালের মতো হয়ে যাই। তখন মুজাহিদ আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও করে। সেটা দেখিয়ে আমাকে বলে যে, টাকা না দিলে আমার ছেলে- মেয়েকে ছাড়বে না এবং ভিডিও স্বামীকে দেখানোর হুমকি দেয়।
জবানবন্দিতে ভিকটিম বলেন, আমি মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে লকারের চাবি দিয়ে দিই। পরে মুজাহিদ লকার থেকে টাকা, ৫টি চেক নিয়ে নেয় যাতে আমাকে স্বাক্ষর করায়। তার কাছে থাকা তিনটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। সে জানায়, আমি যদি আরো টাকা না দিই, তাহলে ভিডিও আমার স্বামীকে দেখিয়ে দেবে। এ ঘটনা স্বামীকে বলে দিই। ঘটনা শোনার পর আমার স্বামী মুজাহিদকে ফোন করে। মুজাহিদ আমার স্বামীকে বলে, যদি তাকে এক কোটি টাকা না দেয়া হয় তাহলে তার স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে।
  • গৃহবধূ বলেন, আমার স্বামী মুশাহিদ ও জুবায়েরের নিকট আপসের জন্য ফোন করে। ওরাও আমার স্বামীকে ব্লাকমেইল করতে চেষ্টা করে। এরপর আমার স্বামী কোনো উপায় না পেয়ে থানায় গিয়ে মামলা করে। ভিকটিমের এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রণব কুমার হুই।
গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মোস্তাক আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মামলার তদন্তে একজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তিনি জানান, তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, আসামি মুজাহিদ একটি পর্নোগ্রাফি গ্যাংয়ের সদস্য। এর আগেও এই গ্রুপের সদস্যরা অনেক নারীর সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে। অশ্লীল এসব দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে পর্নো ছবিও তৈরি করেছে তারা। এই গ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য তার সহোদর মুশাহিদ।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই পুলিশের কাছে এসব স্বীকার করেছেন মুজাহিদ। তিন দফায় আট দিনের রিমান্ডে আদায় করা তথ্যের ভিত্তিতে মুজাহিদের গ্রামের বাড়ি থেকে একটি মুঠোফোন, একটি পেনড্রাইভ ও একটি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেমোরি কার্ডে অপর একজন নারীর সঙ্গে অভিযুক্ত মুজাহিদের সেক্স ভিডিও পাওয়া গেছে। উদ্ধার আলামতগুলো এরই মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদনেও ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

ফল খারাপের পেছনে কী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। ফল গতবারের চেয়ে খারাপ হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় ফল কেন খারাপ হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেন মন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতবার এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। এবারের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, এবার ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম পাস করেছে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এবার পাস কম করায় আমরা বিস্মিত হইনি। পরীক্ষার খাতা ভালোভাবে মূল্যায়ন করার কারণেই এ ফল হয়েছে। গত মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায়ও একই ঘটনা ঘটেছিল। এসএসসিতে গতবারের চেয়ে ৮ শতাংশ পাস করেছে। সে ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে এইচএসসিতে কম খারাপ হয়েছে; বরং এটা সাফল্য।’

‘আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি, যার অধীনে পরীক্ষার খাতাগুলো বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। এখানে ঢালাওভাবে খাতা মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই। প্রথমে আমরা প্রধান পরীক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। পরে তিনি অন্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। খাতা দেখার বিশেষ মূল্যায়নের কারণেই ফলের এই পার্থক্য হচ্ছে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই, এটা আমাদের সাফল্য। ভবিষ্যতে এটা ধীরে ধীরে একটা স্থির অবস্থায় এসে পড়বে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘খাতা দেখার এই পদ্ধতিতে সবাই একমত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমও এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করেছে।’

এবার ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ভালো করেছে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এবার ২ দশমিক ৮২ ভাগ বেশি পাস করেছে।

মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় আট হাজার ৮৬৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৯৪২ জন।

এবার মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৩ হাজার ২৪২ জন। এবার গতবারের চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী কম পাস করেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

ফল জানতে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত। এর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর এনটিভি অনলাইনের www.ntvbd.com/result/hsc-result-2017/ লিংকের মাধ্যমেও পরীক্ষার ফল জানা যাবে।

গত ২ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে শুরু হয় এই পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১৫ মে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন। আর ছাত্রী পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন। সারা দেশে মোট দুই হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Thursday, July 20, 2017

‘V 4 BNP’ তারেক রহমানের গাড়ির ব্যতিক্রমী এই নাম্বার প্লেটের ‘রহস্য’ জানেন কী ?

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান বেশ কয়েক বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
লন্ডন বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে সেদিন হাজারো নেতাকর্মীর ভীর। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে আসছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। মা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে আগে থেকেই অপেক্ষমান ছেলে তারেক রহমান এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরেন মা’কে। এসময় এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারনা হয়। দুজনে কোলাকুলি শেষে  সেখানে লন্ডন বিএনপির উপস্থিত নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এরপর, হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানের ব্যক্তিগত লেক্সাস গাড়িতে করে লন্ডনে যাত্রা শুরু করেন খালেদা জিয়া। তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে খালেদা জিয়াকে বিমানবন্দর থেকে বাসায় নিয়ে যান।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে তারেক রহমানের  গাড়ির নাম্বার প্লেটে  V 4 BNP লেখাটি এদিন নজর কাড়ে অনেকের। বুঝতে বাকি থাকেনা এখানে ‘ভি’ শব্দটি বিজয় সুচক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ ‘বিএনপি’র জন্য বিজয়’ এমন কিছুই নির্দেশ করছে গাড়ির নাম্বার প্লেটে।
অথচ, সাধারণত গাড়ির নাম্বার প্লেট এমন হবার কথা নয়! তাহলে ট্রাফিক আইন না মেনেই কি  এমন করে লিখা? এমন নানা প্রশ্নে আর আলোচনায় সরগরম হয় সামাজিক মাধ্যম।
ঘটনার ‘রহস্য’ আসলে গভীর কিছু নয় উল্লেখ করে এ সম্পর্কিত কৌতুহল নিবারনে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানালেন,  মুলতঃ V 4 BNP এটি একটি প্রাইভেট নম্বর। লন্ডনে এমন নাম্বার প্লেট আসলে ‘দুর্লভ নয়’। খুব কম খরচেই ব্রিটিশ সরকারের ‘চালক ও যান আইনে’ এমন পছন্দনীয় নাম্বার প্লেটের জন্য আবেদন করা যায়। সেখানে আবেদনের পর কতৃপক্ষ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রত্যাশিত নাম্বার প্লেটের অনুমোদন দিয়ে থাকেন।
সুত্র আরও জানায়, সিম্বলিক অর্থে এমন ব্যতিক্রমী প্লেটটি তারেক রহমান মুলত দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করাতেই কিনেছেন। আর এই নাম্বার প্লেটটির মুল্য ৯৩৭ ইউরো বলেও জানান সুত্রটি ।

Wednesday, July 19, 2017

শাকিব খানের বিরুদ্ধে আইনের সহায়তা নিবে হবিগঞ্জের আক্তার!

ঢাকাইয়া ছবির কিং খান (শাকিব) মনে করে এক যুবকের মোবাইলে প্রতদিন ফোন আসছে। যতবারই বলছেন না আমি শাকিব খান নই, ততবারই শুনতে হচ্ছে ‘প্লিজ ভাই একমিনিট কথা বলবো। ‘ রাতে ঘুমাতে গেছি, ফোন আসছে, ‘শাকিব ভাই আমি আপনার ভক্ত, একমিনিট  কথা বলতে চাই’ থাকি যখন তখনও ফোন আসে। বাধ্য হয়ে ফোন বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। অথচ প্রয়োজনীয় ফোন বন্ধ রাখলেও বিপদ। ‘শাকিব খান’ ঝামেলা থেকে মুক্তি চান হবিগঞ্জের আকতার মুন্না। এজন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সহায়তাও চেয়েছেন তিনি।
ঘটনাটা আসলে কী?
গত রোজার ঈদে বুলবুল বিশ্বাস পরিচালিত রাজনীতি ছবিটি মুক্তি। এই ছবিতে শাকিব খান ও বিশ্বাস অভিনয় করেছেন। সমস্যা সেখানেও না। সমস্যা হলো শাকিব খান সিনেমার সংলাপে একজনকে একটি ফোন দিয়ে নম্বর দিয়ে বলেন এটা আমার নম্বর। ফোন দিও। সচরাচর চিত্রনাট্য যিনি লিখেন, তিনি হয় পূর্ণ নম্বর লিখেন না, নাহলে বানিয়ে একটা নম্বর লিখে ফেলেন। শাকিব খান যে নম্বরটা দেন ছবিতে সেটাও বানানো, কিন্তু কাকতালীয়ভাবে হবিগঞ্জের আক্তারের ফোন নম্বরের সাথে মিলে যায়। যার ফলে শাকিব খান মনে করে তার নিকট একের পর ফোন আসতে থেকে। এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আক্তার যা বলছেন
আকতার সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলা মুভি: রাজনীতি, পরিচালক: বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক: আশফাক আহমেদ, অভিনেতা: শাকিব খান। এদের ৩ জনের পূর্ণ নাম ঠিকানা কেউ আমাকে সংগ্রহ করে দিতে পারবেন এই তিন জনের বিরুদ্ধে আমি আইনের সহায়তা নিতে চাচ্ছি।
এ বিষয়ে মুন্নার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিনেমা যে নম্বরটা দেয়া হয়েছে সেটা আমার নম্বর না। সেটা কেন ব্যবহার করা হলো? এখন আমি ঝামেলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি এর দায় কে নেবে? এখন চব্বিশ ঘণ্টা আমার মোবাইলে কল আসে। সুস্থভাবে কোনো কাজ আমি করতে পারছি না। এ সময় তিনি রাজনীতি সিনেমার পরিচালকের নামে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাজনীতি সিনেমায় ‘ও আকাশ বলে দে আমায়…’ গানটির পরপরই আকতার মুন্নার ব্যক্তিগত নাম্বার ব্যবহার করে নায়ক শাকিব খান বলেন, এটা আমার নাম্বার এই নাম্বারে ফোন দিয়ো। ‘

Thursday, June 22, 2017

আবার ইসলাম,আল্লাহ্পাক ও হিজাব নিয়ে তাসলিমা নাসরিনের বাজে মন্তব্য !!!

তাসলিমা নাসরিন একজন নাস্তিক এটা সবাই জানে উনি কোনো ধর্মে বিশ্বাস করেন না কিন্তু ইসলাম ধর্ম নিয়ে তার মাথা ব্যথাটা যেন বরাবরই একটু বেশি। ইসলাম নিয়ে নানা রকমের কুৎসিত মন্তব্য করা ও সমাজে নারী পুরুষের সংঘাত সৃর্ষ্টি করার জন্য বাংলাদেশ থেকে তাকে বিতাড়িত করা হয়েছে। বর্তমানে ভারতে থাকে সে , ভারতে থেকে এমন অনেক বিতর্কিত মন্তব্য করায় ভারতের মানুষের মধ্যেও সংঘাত তৈরী করার চেষ্টা করায় ভারত থেকেও তাকে বের করে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

আজ আবারো তার নিজস্ব ভেরিফাইড ফেইসবুক প্রোফাইলে ইসলাম ,আল্লাহ্পাক ও হিজাব নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। নিচে তার করা মন্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো

তিনি লিখেছেন :-


আমার আত্মীয়ারা অনেকে হিজাব ধরেছে। সহজ করে বললে মাথায় বিড়া বেঁধেছে। ওদের জন্য বড় মায়া হয়। ওদের চেহারা আমি আর চিনতে পারিনা। গরমের দেশে ফুল স্লিভ জামা পরে আর মাথায় বিড়া বেঁধে চলাফেরা করলে কী ভীষণ কষ্ট হয় অনুমান করতে পারি। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, এত কষ্ট ওরা সইছে কেন? মানুষ তো জীবনে সুখ শান্তি স্বস্তি চায়, দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা ঘোচাতে চায়। ওরা কেন তা চায় না? ওরা কেন ভাবে ওদের শরীরের দিকে তাকালে পুরুষেরা যৌনসঙ্গমের লোভ সংবরণ করতে পারবে না, ওদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে? গোটা পুরুষজাতকে এমন অমানবিক আর অবিবেচক ভাবাটা অনুচিত। আর, নিজেদের নিতান্তই যৌনবস্তু ভেবে নিজেদের ছোট করাও অনুচিত। নাকি ওরা বিশ্বাস করে হিজাব পরলে বেহেস্ত, না পরলে দোযখ? এই গল্প, সত্যি বলছি, আজব আজব রূপকথাকেও হার মানায়।
কেউ কেউ বলে আল্লাহ বলেছেন পর্দা করতে, তাই পর্দা করতে হবে। আল্লাহ কি সত্যিই বলেছেন চুলে বিড়া বাধঁতে? বললে কোথায় বলেছেন এবং কেন বলেছেন? এও ভাবতে হবে, আল্লাহ বলে সত্যিই কেউ আছেন কিনা। যদি থাকেনই, তাহলে তিনি কেন মানুষের মধ্যে বৈষম্যের এই নিয়ম তৈরি করবেন? আমরা জানি ভালো মানুষেরা বৈষম্য ঘোচাতে চায়, নারী-পুরুষের সমানাধিকার চায়। খারাপ লোকেরাই পছন্দ করে বৈষম্য, খারাপ লোকেরাই নারীকে যৌনবস্তু আর পুরুষের তুলনায় নিচুস্তরের মানুষ বলে ভাবে। যে ধর্ম তোমাকে সম্মান করে না, সেই ধর্ম তুমি মানবে কেন? একইরকম, যে আইন তোমাকে সম্মান করবে না, সেই আইন তুমি মানবে না।

স্কুল ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষিকা নাজমার অনৈতিক সম্পর্ক !!!

শিক্ষিকা আমিনা নাজমা খান (৩৬)। বিবাহিতা। শিক্ষকতা করেন লন্ডনের ব্রাডফোর্ডে র্ট হাই স্কুলে। এখানেই সরাসরি তার এক ছাত্রকে ভাল লেগে যায় তার। বয়সে তার অর্ধেক হলেও ওই ছাত্রকে কাছে পেতে উতলা হয়ে পড়েন তিনি। তার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ফেসবুক ও মোবাইল ফোনের অ্যাপ ব্যবহার করে নিজের নগ্ন ছবি ও রগরগে সব মেসেজ পাঠাতে থাকেন। ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। তাদের সম্পর্ক গড়িয়েছে বিছানায়। একবার দুবার নয়, অনেকবার। ৯ মাস ধরে চলেছে তাদের অবাধ মেলামেশা। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ার পর ওই শিক্ষিকাকে স্কুল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। খবর দ্য ডেইলি মেইল
প্রতিবেদনে  বলা হয়, শিক্ষিকা নাজমা খান যে ছাত্রকে তার শিকারে পরিণত করেছিলেন তার বয়স ১৮ বছর। তিনি ভালবেসে ওই ছাত্রের নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য এ টিম’। আর নিজেকে নাজমা খান নাম দেন ‘বেবি’। ব্রাডফোর্ডে সরাসরি তাকে পড়ানোর ফাঁকে এসব চলতে থাকে।  এক পর্যায়ে ওই ছাত্রকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।  সেখানে চলে তাদের আদিম উন্মত্ততা।  এ বিষয়টি নিয়ে আচরণগত প্যানেলের কাছে নালিশ গেছে।  তাদের তদন্ততেই সংবাদ মাধ্যমে  প্রকাশ পায়  এসব তথ্য ।এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে নাজমা খানের শিকার ছাত্রটির বয়স হয় ১৮ বছর। প্যানেল তদন্ত করে দেখেছে, নাজমা খান ব্রাডফোর্ডের ওই স্কুলে ২০০৯ সাল থেকে কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে তিনি তার ‘দ্য এ টিম’ কে অনেকবার হোটেল রুমে নিয়ে গিয়েছেন। এ ছাড়া দূরে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছেন দু’জনে। তবে কে সেই হোটেলের বিল দিয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। স্কুলের তদন্তকারীদের কাছে ওই ছাত্র বলেছেন, আমরা খাবার খেতে বাইরে বেরিয়ে যেতাম। তিনি (নাজমা) কখনো আমাকে কোনো কিছুর বিল দিতে দিতেন না। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচিং অ্যান্ড লিডারশিপে এক শুনানিতে ওই ছাত্র আরো বলেছেন, একদিন আমরা একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যাই। তখন ওই রেস্তোরাঁয় উপস্থিত ছিল আরো একজন ছাত্র। সে আমাদের দেখে ফেলে। এরপর চারদিকে ছড়ায় কাহিনী।
ছাত্র-শিক্ষিকার এই অনৈতিক প্রেম চলতে থাকে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময়ে একদিন ওই স্কুলের একজন কর্মকর্তার কাছে একটি ইমেইল যায়। তাতে চলমান এসব ঘটনার বর্ণনা ছিল। কিন্তু শিক্ষিকা নাজমা মিথ্যা কথা বলে অভিযোগ ঢাকার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। নাজমা তার প্রেমিকের সঙ্গ ত্যাগ করেন। তিনি একদিন ওই ছাত্রকে মেসেজ পাঠান ‘এখন থেকে আমাদের সম্পর্কের কথা তুমি কারো সঙ্গে আলোচনা করবে না। আমি আরো তোমাকে অনুরোধ করছি আমার সব ছবি মুছে দাও। আমার দেয়া ম্যাসেজগুলোও মুছে দিও। কারণ, আমি চাই না স্কুল কর্তৃপক্ষ এগুলো হাতে পেয়ে আমাদেরকে আরো বিব্রতকর অবস্থায় ফেলুক’।
শুনানিতে তার প্রেমিক, ছাত্র কি বলেছে, তার একটি কপি চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার আবেদন করেছেন নাজমা খান। কিন্তু তাকে তা দেয়া হয় নি। ওদিকে প্রেমিকরূপী ছাত্র আরো বলেছেন, শিক্ষিকা নাজমা খান তাকে উপহার দিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে হুগো বস ব্রান্ডের হাতঘড়ি, কনসার্টের টিকিট। তবে তার এসব দাবিকে আমলে নেয় নি ট্রাইবুনাল।
তারা বলেছে, ‘দ্য এ টিম’ নামধারী ওই ছাত্র এখন তার শিক্ষিকার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকার কারণে তার ওপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এসব বলছে। তবে সব কিছু যাচাই বাছাই করে ওই শিক্ষিকাকে স্কুল থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের মার্চ থেকে আর স্কুলে যান না শিক্ষিকা নাজমা খান।

চিত্র পাল্টে গেছে, সংসদে অর্থমন্ত্রীর পাশে তার সহকর্মীরা

গত ১ জুন বাজেট পেশের পর থেকেই কয়েকটি ইস্যুতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল ‍মুহিতের বিরুদ্ধে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা সমালোচনায় মুখর থাকলেও গত দুইদিনে এই চিত্র পাল্টে গেছে। বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনৈতিক তোফায়েল আহমেদ অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যদের গত কয়েকদিনের সমালোচনার জবাব দেন। এরপর আরও একাধিক সদস্য ওইদিন অর্থমন্ত্রীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলেন। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সিনিয়র সংসদ সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু অর্থমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারা গত কয়েকদিনে অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংসদে মন্ত্রী এমপিদের বক্তব্যের কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন।

 বৃহস্পতিবার বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘ভ্যাট নিয়ে অনেক কথা বার্তা হচ্ছে। এই সংসদে ২০১২ সালে সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে পাস হয়। তখন কেউ কোনও আপত্তি করেননি। ব্যক্তিগতভাবে অর্থমন্ত্রীর প্রতি এখানে কটাক্ষ করে অনেকে বক্তব্য দিয়েছেন। এটা অনভিপ্রেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা বাজেট পেশ করা হয়েছে। বাজেটের ভেতর ভালো-খারাপ থাকতে পারে। সেটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে। সেই আলোচনা আমরা করছি। প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩০ তারিখ নির্দেশনা দেবেন। কিন্তু এজন্য অপেক্ষা না করে যারা সমালোচনার নামে কটাক্ষ-কটুক্তিপূর্ণ মন্তব্য করছেন এটা ঠিক নয়, দুঃখজনক।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বাজেট আলোচনায় বলেন, ‘বাজেট নিয়ে অনেক কথা, আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। সংসদ সদস্য হিসেবে, মন্ত্রী হিসেবে একজন নাগরিক হিসেবে এগুলো পড়ছি ও শুনছি। ১৫ শতাংশ ভ্যাট, আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক, সঞ্চয়পত্রে সুদ হার নিয়ে সব কথা হচ্ছে। সবাই অর্থমন্ত্রীর দিকে তীর ছুঁড়ছেন, তাকে দোষারোপ করছেন। মনে রাখতে হবে অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশাল বাজেট উপস্থাপন করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাট আইন, আবগারি শুল্ক, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার এই তিনটি বিষয় নিয়ে বাজেট নয়। আরও বিষয় আছে। যা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি না। ভ্যাট, সুদ হার ও আবগারি এই তিন বিষয়ের এদিক ওদিকে হিসাব করে বাজেট মাপবেন না। এক মুখে অর্থনীতির প্রশংসা আর একদিকে ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী বলবেন এটা হয় না।’
বাজেটে আলোচনায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরু বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর মতো একজন ব্যক্তিকে নিয়ে আমরা গৌরব বোধ করি। তাকে নিয়ে যেভাবে কথা বলা হয়েছে তাতে জাতি বিব্রত হয়েছে। আমিও বিব্রত হয়েছি। তিনি সিনিয়র ম্যান। সংসদে এভাবে কথা বলা উচিত না। তাহলে জাতি আমাদের কাছ থেকে কী শিখবে?’

Wednesday, June 21, 2017

স্বার্থের জন্য যা করতেন জান্নাত-লাভলী!

পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিন প্রতারক জান্নাত, লাভলী ও জাবেদ। প্রতারক চক্রের এই দুই নারী খুবই ভয়ানক। তারা মানুষকে ফাঁদে ফেলে অপহরণ শেষে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করেন। স্বার্থের জন্য মানুষ খুন করতেও তাদের বুক কাঁপে না।
গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকায় প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় অপহরণের শিকার গৌর শংকর দাশ নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তখন পুলিশের হাতে ধরা পরে প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন জান্নাত ও লাভলী। সাংবাদিকদের সামনে আনার পর তারা অঝরে কান্না করেন। তাদের চোখ দিয়ে অঝরে পানি পড়তে দেখা যায়।
গ্রেফতার জান্নাত বেগম (২৬) জেলার বিজয়নগর উপজেলার দত্তখোলা গ্রামের কনু মিয়ার মেয়ে। লাভলী আক্তার (২৪) নাসিরনগর উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামের আব্দুর রহমান প্রকাশ নুরু মিয়ার মেয়ে। জাবেদ মিয়া (৩০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া মহল্লার মৃত খায়ের মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ শহরের মেড্ডা এলাকার মনির মিয়ার বসত বাড়িতে (বাড়ি নম্বর ৭৩৪) অভিযান চালিয়ে ওই তিন প্রতারককে আটক করে এবং অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, এ প্রতারক চক্রটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে অপহরণ শেষে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে। তাদের কবল থেকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাশের ছেলে গৌর শংকর দাশকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আমরাও দেখে নেব প্রতারণার ছবি কীভাবে চলে: ডিপজল

‘চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে টাকা দিয়ে যৌথ প্রযোজনার নামে তৈরি যৌথ প্রতারণার ছবির ছাড়পত্র নেবেন, এটা আমরা এটা হতে দেব না। আমরাও দেখে নেব প্রতারণার ছবি কীভাবে এ দেশে চলে।’ বললেন চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা ডিপজল।
যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণা করে নির্মিত ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ ছবি দুটির ছাড়পত্র না দেওয়ার দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করেছে চলচ্চিত্রের ১৪টি সংগঠন নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবার। এখানে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন চলচ্চিত্র পরিবারের নেতৃবৃন্দ।
ডিপজল আরও বলেন, ‘এখনো সময় আছে, চলচ্চিত্রের ক্ষতি করবেন না। তাহলে আমরাও চলচ্চিত্র পরিবার ছেড়ে কথা বলব না।’
আজ দুপুরে বিএফডিসি থেকে চলচ্চিত্র পরিবারের ব্যানারে একাধিক মিছিল বের হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিছিলগুলো চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সামনে অবস্থান করছে।
গতকাল মঙ্গলবার এফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যালয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৪ দল নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ ছবি দুটিকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র না দেওয়ার জন্য তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের দাবি উপেক্ষা করে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ছবি দুটি দেখছে এবং ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর প্রতিবাদ জানানোর জন্য বুধবার চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করা হবে। পাশাপা​শি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের ছবি দুটি না দেখার জন্য তারা অনুরোধ জানাবেন।

কুকুরের পিঠে চড়ে খাবার ‘চুরি’ করতে ব্যস্ত খুদে! দেখুন ভিডিও

প্ররচণ্ড খিদে, খাবার দেখাও যাচ্ছে, কিন্তু নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। তখন উপায়? সহজতম উপায়, একটা চেয়ার বা টেবলে দাঁড়িয়ে খাবারের নাগাল পাওয়া। কিন্তু এত ঝামেলা কে করে? তাই ‘বন্ধু’র সঙ্গে মিলে এক অভিনব ফন্দি আঁটল খুদে। প্রিয় ‘বন্ধু’ পোষ্যটি ছাড়া বাড়িতে তখন আর কেউই নেই। যে পোষ্য তার হাজার অপরাধের সঙ্গী। এ দিকে খাবারের নাগাল পাওয়ায় দরকার। কিন্তু যে ফ্রিজে খাবার রয়েছে, সেটা যে তার নাগালের বাইরে। কী করা যায়? দুই বন্ধু মিলে ফন্দি আঁটল। শুরু হল পোষ্যের পিঠে সওয়ার হয়ে ফ্রিজ থেকে খাবার চুরির চেষ্টা। বার বার পোষ্যের পিঠ থেকে পিছলে পড়ে যাচ্ছে সেই শিশু, কিন্তু কুকুরটিকে আঁকড়ে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হাজার চেষ্টার পরে ফ্রিজের দরজাটি সে খুলে ফেলে।কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই কুকুরটি শিশুটিকে ছেড়ে চলে যায়। আর বন্ধু ছেড়ে যেতেই ফ্রিজ ধরে ঝুলতে থাকে ছোট্ট শিশুটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে ভাইরাল এই ভিডিও। ভিডিওটি শেয়ার করেছেন জোকস রব হারবার্ট নামে এক ব্যক্তি। এরই মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ শেয়ার করেছেন এই ভিডিও।
 ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Tuesday, June 20, 2017

স্ত্রী নির্যাতনকারী কলেজ শিক্ষক জেল হাজতে

যৌতুকের জন্য আইনজীবী স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করায় কলেজ শিক্ষক স্বামী মুসলিম সরদার মিশুকে শনিবার রাতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। এরপর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
 
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়ালিউল্যাহ ওলি জানান, স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে ক্ষুব্ধ জনতা মুসলিম সরদার মিশুকে আটক করে থানায় খবর দেয়। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে থানায় নিয়ে আসি।
 
রোববার ওই শিক্ষকসহ ৫ জনকে আসামি করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিতা স্ত্রী অ্যাড. কুলসুমা বেগম।
 
পরে রোববার বিকালে আটককৃত শিক্ষক মুসলিম সরদার মিশুকে চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
 
প্রসঙ্গত, মুসলিম সরদার মিশু চাঁদপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি শিক্ষক। তার বিভাগের ৩ ছাত্রীকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয় লালমনিরহাট পাটগ্রাম জসমুদ্দিন সরকারি কলেজে।
 
লালমনিরহাট থেকে চাঁদপুর আসার জন্য মিশু তার স্ত্রী অ্যাড. কুলসুমা বেগমের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ টাকা না দেয়ায় শিক্ষক মিশু চাঁদপুরের ষোলঘরস্থ ভাড়া বাসায় স্ত্রীর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় দু’দফা নির্যাতন চালায়। নির্যাতিত স্ত্রীর ছবি ফেসবুকে ভাইরালও হয়।

Monday, June 19, 2017

মাগুরায় ভাবির সাথে পরকীয়ার বলি হলো দেবর আব্বাস

মাগুরা মহম্মদপুরের হরিনাডাঙ্গা গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত ইন্দারা থেকে আব্বাস (২২) নামের এক যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার গভীর রাতে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত আব্বাস ওই গ্রামের মৃত: ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার হরিনাডাঙ্গা গ্রামের আব্বাসের বড় ভাবির সাথে প্রতিবেশি এক যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে। ঘটনাটি একপর্যায়ে জেনে যায় দেবর আব্বাস এতে দেবর হয় পরকিয়ার প্রতিবন্ধক। এ নিয়ে পরকীয়ায় মক্ত যুবক ও আব্বাসের মধ্যে মনোমালিন্য এবং দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

গত শনিবার সকালে আব্বাসের বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যায় জুয়েল নামের এক প্রতিবেশি যুবক। এরপর থেকে আব্বাস নিখোঁজ থাকে। রোববার সকালে আব্বাসের মা সালেহা বেগম মেয়ের গ্রাম থেকে ফেরার সময় নিজ বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের পার্শ্বে পরিত্যাক্ত গভীর কুপ (ইন্দারা) মাটি দিয়ে বন্ধ করতে দেখে তার সন্দেহ হয়। প্রতিবেশি যুবক জুয়েল ও তার বন্ধুদেরকে ইন্দারা মাটি দিয়ে বন্ধ করতে নিষেধ করলে তারা দ্রুত কুপটিতে মাটি ফেলতে থাকে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পালিয়ে যায় জুয়েল ও তার বন্ধুরা। পরে পুলিশ এসে ওই কূপ থেকে বস্তাবন্দি আব্বাসের লাশ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে নিহতের মা সালেহা বেগম বাদি হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক এবং অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে মহম্মদপুর থানায় সোমবার দুপুরে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৩।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: তরীকুল ইসলাম বলেন, পরকীয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক হয়েছে।

একাধিক ছাত্রী এবং শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেছে এই হেডস্যার

‘ম্যাডাম, হেডস্যারের রুমে কখনো একা যাবেন না। তিনি খারাপ লোক। আপনার ক্ষতি করবে।’ নারী সহকর্মীর প্রতি এ কোনো শিক্ষকের সতর্কবাণী নয়। নয় কমিটির সদস্য কিংবা অভিভাবকেরও। খোদ স্কুলের কিশোর-কিশোরী ছাত্র-ছাত্রীদের এমন সতর্কবাণী নতুন নারী শিক্ষকদের প্রতি।
খিলগাঁও গভ. স্টাফ কোয়ার্টার হাইস্কুলে কোনো নারী শিক্ষিকা যোগদান করলেই সেই স্কুলের ভুক্তভোগী ও শুভাকাঙ্ক্ষী ছাত্রছাত্রীরাই এই বলে তাদের শিক্ষকদের সতর্ক করতো। শ্লীলতা বা সম্ভ্রম রক্ষার জন্য তার কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতো কচিকাঁচারাই।
গত মঙ্গলবার ফাঁদে ফেলে শ্লীলতাহানির শিকার ওই শিক্ষিকাকেও ছাত্রছাত্রীরা সতর্ক করেছিল। গত মার্চে তার সঙ্গে স্কুলে যোগ দেয়া অপর দুই খণ্ডকালীন শিক্ষিকাকেও একইভাবে তারা রক্ষার চেষ্টা করে।
গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর ওই স্কুলে ৫২ বছর বয়সী বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। কিন্তু প্রথম ক্লাসে (অ্যাকাউন্টিং) গিয়েই সন্তানের বয়সী শিক্ষার্থীদের কাছে তেমন সতর্কবাণী শুনে তিনি একেবারে থ বনে যান।
সর্বশেষ এক খণ্ডকালীন শিক্ষিকার মামলায় গত বুধবার গ্রেপ্তার হন অভিযুক্ত ব্যক্তি। পরদিন জুতা ও ঝাঁটা নিয়ে থানার সামনে মিছিল করে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরদার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের শ্লীলতা ও সম্ভ্রমহানি এবং ইভটিজিং থেকে রেহাই পায়নি স্কুলের নারী শিক্ষকরা।
দশম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীরাও। যার শেষ শিকার হলেন এমবিএতে পড়ুয়া ওই অবিবাহিত শিক্ষিকা। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের প্রায় সবার এমন অভিযোগেও রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি ও দাপটে দিব্যি স্বপদে টিকে আছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার শ্লীলতাহানির শিকার শিক্ষকের মামলায় পরদিন বুধবার গ্রেপ্তার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটিও গঠন হয়নি। তবে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে স্কুল কমিটি।
জানা যায়, এর আগে মোস্তফা কামাল ও রেজাউল করিম নামে অপর দুই খণ্ডকালীন শিক্ষককে নানা অজুহাতে বেতন বকেয়া রেখে স্কুল থেকে সরিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক সরদার হেলাল উদ্দিন। এরপর তিনি তিনজন নারীকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেন।
চাকরিতে যোগদানের পর প্রথম ক্লাসেই ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রধান শিক্ষকের নারী লোলুপ দৃষ্টি থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়। প্রথমে নতুন শিক্ষকরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। পরে প্রধান শিক্ষকের আচরণেই তা প্রকাশ পেতে থাকে। তিন শিক্ষকের প্রতিই তার কুদৃষ্টি। প্রথম শিকার হিসেবে বেছে নেন তার এলাকা থেকে আসা পিতৃহীন ওই নারী শিক্ষককে। গত মার্চে ওই নারী শিক্ষক প্রথম তার মাকে নিয়ে স্কুলে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে যান। সে দিনই তার কু-মতলব প্রকাশ পেলেও প্রথমে তা বুঝতে পারেননি ওই নারী ও তার মা।
ওই শিক্ষকের মা বলেন, শিক্ষক নিয়োগের খবর পেয়ে আমি মেয়েকে নিয়ে স্কুলে তার জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে যাই। প্রথম দিনই অনর্থক আমাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখে। অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলতে থাকে।
ওই শিক্ষকের কথার উদ্ধৃতি দিয়ে শিক্ষিকার মা বলেন, ‘আমি প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ জনকে চাকরি দিই। আপনার মেয়েকে আমার বয়সী (পঞ্চাশোর্ধ্ব) ছেলে দেখে বিয়ে দেবেন। মানুষ কী বলে কানে নেবেন না। মেয়েকে আদর-আহ্লাদে রাখবে। সুখী রাখবে।’ কিন্তু তার ওই কথার ইঙ্গিত বুঝতে পারেননি তারা। সে কথার কোনো সায়-সম্মতিও দেননি। স্বাভাবিক পরামর্শ মনে করে এড়িয়ে যান। বুঝতে পারিনি তার কু-মতলব।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই শিক্ষিকা বলেন, ওই দিন তার সে কথার ইঙ্গিত আমরা বুঝতে পারিনি। তখন আমি বোরকা ও হিজাব পরে স্কুলে গিয়েছিলাম। পরেও তা পরেই স্কুলে যাওয়া-আসা করতাম। প্রধান শিক্ষক তা না পরতে নিষেধ করেন। স্কুলের অন্য নারী শিক্ষকরাও দেখি হিজাব-বোরকা পরেন না। তা দেখে ও প্রধান শিক্ষকের পরামর্শে আমিও হিজাব-বোরকা পরা বাদ দিই।
প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিনি আমাকে বলদা গার্ডেন, হাতিরঝিল ও বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বারবার প্রস্তাব দিতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রস্তাব দেন তিনি ১৭ লাখ টাকায় গাজীপুরে জায়গা কিনবেন। তার সঙ্গে আগামী শুক্রবার যেতে হবে। দু’ঘণ্টা অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে হবে। এছাড়া স্কুলে গেলে আমরা তিন নতুন নারীকে শিক্ষক কমনরুমের পরিবর্তে তার কক্ষে বসতে বলেন। স্কুল দুই শিফটে পরিচালিত হলেও আমাদের সকাল প্রায় আটটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ধরে রাখা হতো।
ক্লাসে গেলে শিক্ষার্থীরা আমাদের তার কাছ থেকে সতর্ক থাকতে বলে। পরামর্শ দেয় দূরে থাকতে। অপরদিকে তিনি বলেন অন্য শিক্ষকরা খারাপ। তাদের সঙ্গে না মিশতে। আমি অবিবাহিত হলেও তিনি আমাকে বিবাহিত পরিচয় দেয়ার পরামর্শ দেন। আর আমার শরীর নিয়ে নানা মন্তব্য করতে থাকেন। বলেন, আমি মোটা হয়ে যাচ্ছি। ওই পোশাক ভালো মানাচ্ছে না।
তিনি আমাকে পোশাক কিনে দেবেন। জুতা কিনে দেয়ার প্রস্তাব করেন। বিভিন্ন সময় কথা বলার সময় আমার গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। আমাকে প্রস্তাব করেন, তুমি আমাকে অন্তরঙ্গ সময় দিলে
তিন শিক্ষকের মধ্যে সিনিয়র করে দেবে, চাকরি স্থায়ী করে দেবে। বেতন বাড়বে। আমরা তিন শিক্ষকও নিজেদের নিরাপদ করার জন্য একা তার কক্ষে না গিয়ে একত্রে যাওয়া শুরু করলাম।
এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার তিনি আমাকে কাজ শেখানোর নামে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে নেয়ার জন্য ফোন করেন। জোর করে বাসা থেকে রাস্তায় আসতে বলেন। আমিও বাধ্য হয়ে তার সঙ্গে যাই। একটি রিকশায় দু’জন শিক্ষা বোর্ডে যাই। সেখানে কাজের ও ডিসি অফিসে যাওয়ার নামে নানা নাটকীয়তা ও টালবাহানা করেন। অগত্যা আমার চাপাচাপিতে চলে আসতে রাজি হন। আমাকে নিয়ে আবার রিকশায় বাসার দিকে রওনা দেন। সেদিন আকাশে রোদ বা বৃষ্টি ছিল না। তারপরও তিনি রিকশার হুট উঠিয়ে দেন। এরপর রিকশার ভেতরেই আমাকে জড়িয়ে ধরেন। একপর্যায়ে মুগদার পূর্ব মানিকনগরে বাসার কাছে এসে রিকশা থেকে নেমে যাই। কান্নাকাটি করতে থাকি। এরপর বাসায় গিয়ে মাকে সবকিছু বলি। এরপর মা তাকে ফোন করে বকাবকি করেন। তারপর স্কুলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও স্কুল কমিটির সদস্যদের জানাই। ঘটনার পরদিন থানায় মামলা করি।
শুধু শিক্ষক নয়। স্কুলের ছাত্রীরাও প্রায় সময় তার হাতে যৌন হয়রানি বা শ্লীলতাহানির শিকার হতো। ওই শিক্ষিকার মামলার দিনই স্কুলের ২০ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করে আরো একটি লিখিত অভিযোগ খিলগাঁও থানায় দাখিল করেছে। যদিও তাতে মামলা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার তাকে থানা থেকে আদালতে সোপর্দ করার দিন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা জুতা ও ঝাঁটা মিছিল নিয়ে থানায় যায়।
ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, একই স্কুল থেকে পড়ে যাওয়া আমার বড় ভাই ও বোন আমাকে তার কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিল। তখন তিনি শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির পরও দেখি একই অবস্থা। শারীরিক শিক্ষার পিটির ক্লাসে অকারণে নিবিড়ভাবে আমাদের শরীর ও স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিতো। জাতীয় দিবসসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে প্রায় ছাত্রদের বাদ দিয়ে ছাত্রীদের দিয়েই উদযাপন করাতেন। তাই আমরা ছাত্রী ও নতুন শিক্ষক এলে তাদের সতর্ক করি।
ওই ক্লাসের অপর এক ছাত্রী বলেন, বিশেষ করে দশম শ্রেণির সিসি ক্যামেরা তিনি বারবার জুম করে দেখতেন। বলতেন, আমরা বাথরুমে অশ্লীল কাজ করি। তাই বাথরুমেও সিসি ক্যামেরা লাগাবেন। এর প্রতিবাদ করায় এক বিবাহিত ছাত্রীকে তিনি স্কুলে আসতে দেননি।
দশম শ্রেণির আরেক ছাত্রী বলেন, আমার গায়ে হাত দেয়া ও অনর্থক হাত ধরার প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, শিক্ষক ছাত্রীর হাত ধরতে পারে।
সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী বলেন, একদিন আমি স্কুলে যেতে দেরি করি। তারপর তিনি আমার বাসায় যাওয়ার বায়না খুঁজতে থাকেন।
ওই ক্লাসের অপর এক ছাত্রী বলেন, একদিন আমরা কয়েকজন ছাত্রী বাথরুমে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি আমাদের থামিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ওড়না নিয়েছো কেন? এরপর যৌন ক্রিয়া ও প্রসব ব্যথা সম্পর্কে অশ্লীল কথা বলেন।
দশম শ্রেণির এক ছাত্র বলেন, একদিন আমি হেড স্যারের কক্ষে ঢুকি। তখন দেখি তিনি দশম শ্রেণির ছাত্রী ও এক শিক্ষিকার ছবি সিসি ক্যামেরায় জুম করে দেখছিলেন।
খিলগাঁও স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলমগীর চৌধুরী বলেন, তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে আগে ছাত্রছাত্রীদের কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এখন কিছু অভিযোগ পাচ্ছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক ও খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অকারণে ছাত্রীদের গায়ে হাত দিতো বলে জানিয়েছে অনেকেই। বিশেষত নারীর প্রতি তার লোলুপ দৃষ্টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিব্রত রাখতো।
মতিঝিল থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে রোববার আমি স্কুল পরিদর্শন করেছি। ভিকটিম, শিক্ষক, পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা দিয়েছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগে থেকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে এ পর্যন্ত কোনো স্তরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

Sunday, June 18, 2017

৫৫ বছরের বিধবার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ৬৫ বছরের বৃদ্ধ, অতঃপর

টাঙ্গাইলের বেকড়া আটগ্রাম ইউনিয়নে ৫৫ বছর বয়সী এক বিধবার সঙ্গে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধকে আপত্তিকর অবস্থায় আটকের পর বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
বেকড়া আটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন জানান, বেকড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মো. বক্কর আলীর সঙ্গে একই গ্রামের ওই বিধবার ৬/৭ মাস ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। বক্কর চার সন্তানের জনক, আর ওই বিধবা তিন সন্তানের জননী।
শুক্রবার বিকালে তারা দুয়াজানী গ্রামের দত্তর কাঠ বাগানে আসে। সেখানে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে। পরে রাতে ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে সালিস হয়। সালিসে উভয়ের সম্মতিতে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধরে দুজনকে বিয়ে করিয়ে দেওয়া হয়।

শখ-নিলয়ের ডিভোর্স!

অনেকদিন ধরেই চলছে কানাঘুষা। দুজন আর বাঁধা নেই এক সুতোয়। ডিভোর্সের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এক ছাদের নিচে বসবাসের পর্বও চুকিয়েছেন মাস কয়েক হলো। এরা দেশীয় শোবিজের ব্যস্ত দুই তারকা নিলয় এবং শখ।
ভালোবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গত বছরের ৭ই জানুয়ারি। এরপর সংসার পেতেছিলেন ঢাকার উত্তরায়। কিন্তু সে সংসারের চার দেয়ালে এখন আর দু’জনের দাম্পত্য জীবন সাজানো নেই বলেই শোনা যায় তাদের নানা নিকটজনের আলোচনায়।
শখ নিলয়ের সংসার ছেড়ে গেছেন কয়েক মাস হলো। ফিরে গেছেন পুরানো ঢাকার বাবার বাড়িতে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার শখের সেলফোনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি। আর নিলয়ের সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কাজের কথা হলে বলবেন। ব্যক্তিজীবন নিয়ে কোনো কথা বলবো না’।
তবে দাম্পত্য জীবনে কলহের জের ধরে দুজনের আলাদা থাকার বিষয়টি জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে তাদের ফেসবুকের ‘রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস’ দেখে। ২০১৬ সালে বিয়ের পর পর শখ তার ‘রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস’ পরিবর্তন করে ‘ম্যারিড টু নিলয় আলমগীর’ করেছিলেন। গত কিছুদিন ধরে সেটা আর নেই। এখন বদলে শখের ‘রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস’ হয়ে গেছে ‘সিঙ্গেল’। মূলত এই পরিবর্তনের ফলেই জল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
অন্যদিকে নিলয়ের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসেও নেই শখের নাম। শুধু তাই নয়, সেটা এখন তার ফেসবুক আইডির ‘অ্যাবাউট’ অপশনে ‘হাইড’ করে রাখা হয়েছে। তবে ফেসবুকের বিষয়টি বাদ দিলেও নিলয়-শখের সঙ্গে কাজ করা মিডিয়ার সহকর্মীদের কেউ কেউ বিষয়টি জানেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।

হামলার পরিণাম শুভ হবে না: খালেদা জিয়া


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

রোববার বিকালে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে এক টুইটবার্তায় তিনি এ হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানান।

টুইট বার্তায় খালেদা জিয়া লেখেন, 'এ হামলা গণতন্ত্র, রাজনীতি, নাগরিক অধিকার ও পরমতসহিষ্ণুতার ওপর হামলা। এর পরিণাম শুভ হবে না।'

অপর একটি টুইটবার্তায় তিনি লিখেছেন, 'বিএনপি মহাসচিবের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা জানাবার ভাষা নেই।'

প্রসঙ্গত, রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার পথে রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছাখালী এলাকায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৬ নেতা আহত হন। পরে তারা চট্টগ্রামে ফিরে যান।