Thursday, June 22, 2017

আবার ইসলাম,আল্লাহ্পাক ও হিজাব নিয়ে তাসলিমা নাসরিনের বাজে মন্তব্য !!!

তাসলিমা নাসরিন একজন নাস্তিক এটা সবাই জানে উনি কোনো ধর্মে বিশ্বাস করেন না কিন্তু ইসলাম ধর্ম নিয়ে তার মাথা ব্যথাটা যেন বরাবরই একটু বেশি। ইসলাম নিয়ে নানা রকমের কুৎসিত মন্তব্য করা ও সমাজে নারী পুরুষের সংঘাত সৃর্ষ্টি করার জন্য বাংলাদেশ থেকে তাকে বিতাড়িত করা হয়েছে। বর্তমানে ভারতে থাকে সে , ভারতে থেকে এমন অনেক বিতর্কিত মন্তব্য করায় ভারতের মানুষের মধ্যেও সংঘাত তৈরী করার চেষ্টা করায় ভারত থেকেও তাকে বের করে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

আজ আবারো তার নিজস্ব ভেরিফাইড ফেইসবুক প্রোফাইলে ইসলাম ,আল্লাহ্পাক ও হিজাব নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। নিচে তার করা মন্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো

তিনি লিখেছেন :-


আমার আত্মীয়ারা অনেকে হিজাব ধরেছে। সহজ করে বললে মাথায় বিড়া বেঁধেছে। ওদের জন্য বড় মায়া হয়। ওদের চেহারা আমি আর চিনতে পারিনা। গরমের দেশে ফুল স্লিভ জামা পরে আর মাথায় বিড়া বেঁধে চলাফেরা করলে কী ভীষণ কষ্ট হয় অনুমান করতে পারি। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, এত কষ্ট ওরা সইছে কেন? মানুষ তো জীবনে সুখ শান্তি স্বস্তি চায়, দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা ঘোচাতে চায়। ওরা কেন তা চায় না? ওরা কেন ভাবে ওদের শরীরের দিকে তাকালে পুরুষেরা যৌনসঙ্গমের লোভ সংবরণ করতে পারবে না, ওদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে? গোটা পুরুষজাতকে এমন অমানবিক আর অবিবেচক ভাবাটা অনুচিত। আর, নিজেদের নিতান্তই যৌনবস্তু ভেবে নিজেদের ছোট করাও অনুচিত। নাকি ওরা বিশ্বাস করে হিজাব পরলে বেহেস্ত, না পরলে দোযখ? এই গল্প, সত্যি বলছি, আজব আজব রূপকথাকেও হার মানায়।
কেউ কেউ বলে আল্লাহ বলেছেন পর্দা করতে, তাই পর্দা করতে হবে। আল্লাহ কি সত্যিই বলেছেন চুলে বিড়া বাধঁতে? বললে কোথায় বলেছেন এবং কেন বলেছেন? এও ভাবতে হবে, আল্লাহ বলে সত্যিই কেউ আছেন কিনা। যদি থাকেনই, তাহলে তিনি কেন মানুষের মধ্যে বৈষম্যের এই নিয়ম তৈরি করবেন? আমরা জানি ভালো মানুষেরা বৈষম্য ঘোচাতে চায়, নারী-পুরুষের সমানাধিকার চায়। খারাপ লোকেরাই পছন্দ করে বৈষম্য, খারাপ লোকেরাই নারীকে যৌনবস্তু আর পুরুষের তুলনায় নিচুস্তরের মানুষ বলে ভাবে। যে ধর্ম তোমাকে সম্মান করে না, সেই ধর্ম তুমি মানবে কেন? একইরকম, যে আইন তোমাকে সম্মান করবে না, সেই আইন তুমি মানবে না।

স্কুল ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষিকা নাজমার অনৈতিক সম্পর্ক !!!

শিক্ষিকা আমিনা নাজমা খান (৩৬)। বিবাহিতা। শিক্ষকতা করেন লন্ডনের ব্রাডফোর্ডে র্ট হাই স্কুলে। এখানেই সরাসরি তার এক ছাত্রকে ভাল লেগে যায় তার। বয়সে তার অর্ধেক হলেও ওই ছাত্রকে কাছে পেতে উতলা হয়ে পড়েন তিনি। তার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ফেসবুক ও মোবাইল ফোনের অ্যাপ ব্যবহার করে নিজের নগ্ন ছবি ও রগরগে সব মেসেজ পাঠাতে থাকেন। ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। তাদের সম্পর্ক গড়িয়েছে বিছানায়। একবার দুবার নয়, অনেকবার। ৯ মাস ধরে চলেছে তাদের অবাধ মেলামেশা। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ার পর ওই শিক্ষিকাকে স্কুল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। খবর দ্য ডেইলি মেইল
প্রতিবেদনে  বলা হয়, শিক্ষিকা নাজমা খান যে ছাত্রকে তার শিকারে পরিণত করেছিলেন তার বয়স ১৮ বছর। তিনি ভালবেসে ওই ছাত্রের নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য এ টিম’। আর নিজেকে নাজমা খান নাম দেন ‘বেবি’। ব্রাডফোর্ডে সরাসরি তাকে পড়ানোর ফাঁকে এসব চলতে থাকে।  এক পর্যায়ে ওই ছাত্রকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।  সেখানে চলে তাদের আদিম উন্মত্ততা।  এ বিষয়টি নিয়ে আচরণগত প্যানেলের কাছে নালিশ গেছে।  তাদের তদন্ততেই সংবাদ মাধ্যমে  প্রকাশ পায়  এসব তথ্য ।এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে নাজমা খানের শিকার ছাত্রটির বয়স হয় ১৮ বছর। প্যানেল তদন্ত করে দেখেছে, নাজমা খান ব্রাডফোর্ডের ওই স্কুলে ২০০৯ সাল থেকে কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে তিনি তার ‘দ্য এ টিম’ কে অনেকবার হোটেল রুমে নিয়ে গিয়েছেন। এ ছাড়া দূরে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছেন দু’জনে। তবে কে সেই হোটেলের বিল দিয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। স্কুলের তদন্তকারীদের কাছে ওই ছাত্র বলেছেন, আমরা খাবার খেতে বাইরে বেরিয়ে যেতাম। তিনি (নাজমা) কখনো আমাকে কোনো কিছুর বিল দিতে দিতেন না। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচিং অ্যান্ড লিডারশিপে এক শুনানিতে ওই ছাত্র আরো বলেছেন, একদিন আমরা একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যাই। তখন ওই রেস্তোরাঁয় উপস্থিত ছিল আরো একজন ছাত্র। সে আমাদের দেখে ফেলে। এরপর চারদিকে ছড়ায় কাহিনী।
ছাত্র-শিক্ষিকার এই অনৈতিক প্রেম চলতে থাকে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময়ে একদিন ওই স্কুলের একজন কর্মকর্তার কাছে একটি ইমেইল যায়। তাতে চলমান এসব ঘটনার বর্ণনা ছিল। কিন্তু শিক্ষিকা নাজমা মিথ্যা কথা বলে অভিযোগ ঢাকার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। নাজমা তার প্রেমিকের সঙ্গ ত্যাগ করেন। তিনি একদিন ওই ছাত্রকে মেসেজ পাঠান ‘এখন থেকে আমাদের সম্পর্কের কথা তুমি কারো সঙ্গে আলোচনা করবে না। আমি আরো তোমাকে অনুরোধ করছি আমার সব ছবি মুছে দাও। আমার দেয়া ম্যাসেজগুলোও মুছে দিও। কারণ, আমি চাই না স্কুল কর্তৃপক্ষ এগুলো হাতে পেয়ে আমাদেরকে আরো বিব্রতকর অবস্থায় ফেলুক’।
শুনানিতে তার প্রেমিক, ছাত্র কি বলেছে, তার একটি কপি চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার আবেদন করেছেন নাজমা খান। কিন্তু তাকে তা দেয়া হয় নি। ওদিকে প্রেমিকরূপী ছাত্র আরো বলেছেন, শিক্ষিকা নাজমা খান তাকে উপহার দিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে হুগো বস ব্রান্ডের হাতঘড়ি, কনসার্টের টিকিট। তবে তার এসব দাবিকে আমলে নেয় নি ট্রাইবুনাল।
তারা বলেছে, ‘দ্য এ টিম’ নামধারী ওই ছাত্র এখন তার শিক্ষিকার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকার কারণে তার ওপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এসব বলছে। তবে সব কিছু যাচাই বাছাই করে ওই শিক্ষিকাকে স্কুল থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের মার্চ থেকে আর স্কুলে যান না শিক্ষিকা নাজমা খান।

চিত্র পাল্টে গেছে, সংসদে অর্থমন্ত্রীর পাশে তার সহকর্মীরা

গত ১ জুন বাজেট পেশের পর থেকেই কয়েকটি ইস্যুতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল ‍মুহিতের বিরুদ্ধে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা সমালোচনায় মুখর থাকলেও গত দুইদিনে এই চিত্র পাল্টে গেছে। বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনৈতিক তোফায়েল আহমেদ অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যদের গত কয়েকদিনের সমালোচনার জবাব দেন। এরপর আরও একাধিক সদস্য ওইদিন অর্থমন্ত্রীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলেন। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সিনিয়র সংসদ সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু অর্থমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারা গত কয়েকদিনে অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংসদে মন্ত্রী এমপিদের বক্তব্যের কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন।

 বৃহস্পতিবার বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘ভ্যাট নিয়ে অনেক কথা বার্তা হচ্ছে। এই সংসদে ২০১২ সালে সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে পাস হয়। তখন কেউ কোনও আপত্তি করেননি। ব্যক্তিগতভাবে অর্থমন্ত্রীর প্রতি এখানে কটাক্ষ করে অনেকে বক্তব্য দিয়েছেন। এটা অনভিপ্রেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা বাজেট পেশ করা হয়েছে। বাজেটের ভেতর ভালো-খারাপ থাকতে পারে। সেটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে। সেই আলোচনা আমরা করছি। প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩০ তারিখ নির্দেশনা দেবেন। কিন্তু এজন্য অপেক্ষা না করে যারা সমালোচনার নামে কটাক্ষ-কটুক্তিপূর্ণ মন্তব্য করছেন এটা ঠিক নয়, দুঃখজনক।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বাজেট আলোচনায় বলেন, ‘বাজেট নিয়ে অনেক কথা, আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। সংসদ সদস্য হিসেবে, মন্ত্রী হিসেবে একজন নাগরিক হিসেবে এগুলো পড়ছি ও শুনছি। ১৫ শতাংশ ভ্যাট, আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক, সঞ্চয়পত্রে সুদ হার নিয়ে সব কথা হচ্ছে। সবাই অর্থমন্ত্রীর দিকে তীর ছুঁড়ছেন, তাকে দোষারোপ করছেন। মনে রাখতে হবে অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশাল বাজেট উপস্থাপন করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাট আইন, আবগারি শুল্ক, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার এই তিনটি বিষয় নিয়ে বাজেট নয়। আরও বিষয় আছে। যা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি না। ভ্যাট, সুদ হার ও আবগারি এই তিন বিষয়ের এদিক ওদিকে হিসাব করে বাজেট মাপবেন না। এক মুখে অর্থনীতির প্রশংসা আর একদিকে ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী বলবেন এটা হয় না।’
বাজেটে আলোচনায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরু বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর মতো একজন ব্যক্তিকে নিয়ে আমরা গৌরব বোধ করি। তাকে নিয়ে যেভাবে কথা বলা হয়েছে তাতে জাতি বিব্রত হয়েছে। আমিও বিব্রত হয়েছি। তিনি সিনিয়র ম্যান। সংসদে এভাবে কথা বলা উচিত না। তাহলে জাতি আমাদের কাছ থেকে কী শিখবে?’

Wednesday, June 21, 2017

স্বার্থের জন্য যা করতেন জান্নাত-লাভলী!

পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিন প্রতারক জান্নাত, লাভলী ও জাবেদ। প্রতারক চক্রের এই দুই নারী খুবই ভয়ানক। তারা মানুষকে ফাঁদে ফেলে অপহরণ শেষে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করেন। স্বার্থের জন্য মানুষ খুন করতেও তাদের বুক কাঁপে না।
গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকায় প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় অপহরণের শিকার গৌর শংকর দাশ নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তখন পুলিশের হাতে ধরা পরে প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন জান্নাত ও লাভলী। সাংবাদিকদের সামনে আনার পর তারা অঝরে কান্না করেন। তাদের চোখ দিয়ে অঝরে পানি পড়তে দেখা যায়।
গ্রেফতার জান্নাত বেগম (২৬) জেলার বিজয়নগর উপজেলার দত্তখোলা গ্রামের কনু মিয়ার মেয়ে। লাভলী আক্তার (২৪) নাসিরনগর উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামের আব্দুর রহমান প্রকাশ নুরু মিয়ার মেয়ে। জাবেদ মিয়া (৩০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া মহল্লার মৃত খায়ের মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ শহরের মেড্ডা এলাকার মনির মিয়ার বসত বাড়িতে (বাড়ি নম্বর ৭৩৪) অভিযান চালিয়ে ওই তিন প্রতারককে আটক করে এবং অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, এ প্রতারক চক্রটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে অপহরণ শেষে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে। তাদের কবল থেকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাশের ছেলে গৌর শংকর দাশকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আমরাও দেখে নেব প্রতারণার ছবি কীভাবে চলে: ডিপজল

‘চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে টাকা দিয়ে যৌথ প্রযোজনার নামে তৈরি যৌথ প্রতারণার ছবির ছাড়পত্র নেবেন, এটা আমরা এটা হতে দেব না। আমরাও দেখে নেব প্রতারণার ছবি কীভাবে এ দেশে চলে।’ বললেন চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা ডিপজল।
যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণা করে নির্মিত ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ ছবি দুটির ছাড়পত্র না দেওয়ার দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করেছে চলচ্চিত্রের ১৪টি সংগঠন নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবার। এখানে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন চলচ্চিত্র পরিবারের নেতৃবৃন্দ।
ডিপজল আরও বলেন, ‘এখনো সময় আছে, চলচ্চিত্রের ক্ষতি করবেন না। তাহলে আমরাও চলচ্চিত্র পরিবার ছেড়ে কথা বলব না।’
আজ দুপুরে বিএফডিসি থেকে চলচ্চিত্র পরিবারের ব্যানারে একাধিক মিছিল বের হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিছিলগুলো চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সামনে অবস্থান করছে।
গতকাল মঙ্গলবার এফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যালয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৪ দল নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ ছবি দুটিকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র না দেওয়ার জন্য তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের দাবি উপেক্ষা করে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ছবি দুটি দেখছে এবং ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর প্রতিবাদ জানানোর জন্য বুধবার চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করা হবে। পাশাপা​শি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের ছবি দুটি না দেখার জন্য তারা অনুরোধ জানাবেন।

কুকুরের পিঠে চড়ে খাবার ‘চুরি’ করতে ব্যস্ত খুদে! দেখুন ভিডিও

প্ররচণ্ড খিদে, খাবার দেখাও যাচ্ছে, কিন্তু নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। তখন উপায়? সহজতম উপায়, একটা চেয়ার বা টেবলে দাঁড়িয়ে খাবারের নাগাল পাওয়া। কিন্তু এত ঝামেলা কে করে? তাই ‘বন্ধু’র সঙ্গে মিলে এক অভিনব ফন্দি আঁটল খুদে। প্রিয় ‘বন্ধু’ পোষ্যটি ছাড়া বাড়িতে তখন আর কেউই নেই। যে পোষ্য তার হাজার অপরাধের সঙ্গী। এ দিকে খাবারের নাগাল পাওয়ায় দরকার। কিন্তু যে ফ্রিজে খাবার রয়েছে, সেটা যে তার নাগালের বাইরে। কী করা যায়? দুই বন্ধু মিলে ফন্দি আঁটল। শুরু হল পোষ্যের পিঠে সওয়ার হয়ে ফ্রিজ থেকে খাবার চুরির চেষ্টা। বার বার পোষ্যের পিঠ থেকে পিছলে পড়ে যাচ্ছে সেই শিশু, কিন্তু কুকুরটিকে আঁকড়ে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হাজার চেষ্টার পরে ফ্রিজের দরজাটি সে খুলে ফেলে।কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই কুকুরটি শিশুটিকে ছেড়ে চলে যায়। আর বন্ধু ছেড়ে যেতেই ফ্রিজ ধরে ঝুলতে থাকে ছোট্ট শিশুটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে ভাইরাল এই ভিডিও। ভিডিওটি শেয়ার করেছেন জোকস রব হারবার্ট নামে এক ব্যক্তি। এরই মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ শেয়ার করেছেন এই ভিডিও।
 ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Tuesday, June 20, 2017

স্ত্রী নির্যাতনকারী কলেজ শিক্ষক জেল হাজতে

যৌতুকের জন্য আইনজীবী স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করায় কলেজ শিক্ষক স্বামী মুসলিম সরদার মিশুকে শনিবার রাতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। এরপর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
 
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়ালিউল্যাহ ওলি জানান, স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে ক্ষুব্ধ জনতা মুসলিম সরদার মিশুকে আটক করে থানায় খবর দেয়। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে থানায় নিয়ে আসি।
 
রোববার ওই শিক্ষকসহ ৫ জনকে আসামি করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিতা স্ত্রী অ্যাড. কুলসুমা বেগম।
 
পরে রোববার বিকালে আটককৃত শিক্ষক মুসলিম সরদার মিশুকে চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
 
প্রসঙ্গত, মুসলিম সরদার মিশু চাঁদপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি শিক্ষক। তার বিভাগের ৩ ছাত্রীকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয় লালমনিরহাট পাটগ্রাম জসমুদ্দিন সরকারি কলেজে।
 
লালমনিরহাট থেকে চাঁদপুর আসার জন্য মিশু তার স্ত্রী অ্যাড. কুলসুমা বেগমের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ টাকা না দেয়ায় শিক্ষক মিশু চাঁদপুরের ষোলঘরস্থ ভাড়া বাসায় স্ত্রীর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় দু’দফা নির্যাতন চালায়। নির্যাতিত স্ত্রীর ছবি ফেসবুকে ভাইরালও হয়।

Monday, June 19, 2017

মাগুরায় ভাবির সাথে পরকীয়ার বলি হলো দেবর আব্বাস

মাগুরা মহম্মদপুরের হরিনাডাঙ্গা গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত ইন্দারা থেকে আব্বাস (২২) নামের এক যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার গভীর রাতে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত আব্বাস ওই গ্রামের মৃত: ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার হরিনাডাঙ্গা গ্রামের আব্বাসের বড় ভাবির সাথে প্রতিবেশি এক যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে। ঘটনাটি একপর্যায়ে জেনে যায় দেবর আব্বাস এতে দেবর হয় পরকিয়ার প্রতিবন্ধক। এ নিয়ে পরকীয়ায় মক্ত যুবক ও আব্বাসের মধ্যে মনোমালিন্য এবং দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

গত শনিবার সকালে আব্বাসের বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যায় জুয়েল নামের এক প্রতিবেশি যুবক। এরপর থেকে আব্বাস নিখোঁজ থাকে। রোববার সকালে আব্বাসের মা সালেহা বেগম মেয়ের গ্রাম থেকে ফেরার সময় নিজ বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের পার্শ্বে পরিত্যাক্ত গভীর কুপ (ইন্দারা) মাটি দিয়ে বন্ধ করতে দেখে তার সন্দেহ হয়। প্রতিবেশি যুবক জুয়েল ও তার বন্ধুদেরকে ইন্দারা মাটি দিয়ে বন্ধ করতে নিষেধ করলে তারা দ্রুত কুপটিতে মাটি ফেলতে থাকে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পালিয়ে যায় জুয়েল ও তার বন্ধুরা। পরে পুলিশ এসে ওই কূপ থেকে বস্তাবন্দি আব্বাসের লাশ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে নিহতের মা সালেহা বেগম বাদি হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক এবং অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে মহম্মদপুর থানায় সোমবার দুপুরে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৩।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: তরীকুল ইসলাম বলেন, পরকীয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক হয়েছে।

একাধিক ছাত্রী এবং শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেছে এই হেডস্যার

‘ম্যাডাম, হেডস্যারের রুমে কখনো একা যাবেন না। তিনি খারাপ লোক। আপনার ক্ষতি করবে।’ নারী সহকর্মীর প্রতি এ কোনো শিক্ষকের সতর্কবাণী নয়। নয় কমিটির সদস্য কিংবা অভিভাবকেরও। খোদ স্কুলের কিশোর-কিশোরী ছাত্র-ছাত্রীদের এমন সতর্কবাণী নতুন নারী শিক্ষকদের প্রতি।
খিলগাঁও গভ. স্টাফ কোয়ার্টার হাইস্কুলে কোনো নারী শিক্ষিকা যোগদান করলেই সেই স্কুলের ভুক্তভোগী ও শুভাকাঙ্ক্ষী ছাত্রছাত্রীরাই এই বলে তাদের শিক্ষকদের সতর্ক করতো। শ্লীলতা বা সম্ভ্রম রক্ষার জন্য তার কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতো কচিকাঁচারাই।
গত মঙ্গলবার ফাঁদে ফেলে শ্লীলতাহানির শিকার ওই শিক্ষিকাকেও ছাত্রছাত্রীরা সতর্ক করেছিল। গত মার্চে তার সঙ্গে স্কুলে যোগ দেয়া অপর দুই খণ্ডকালীন শিক্ষিকাকেও একইভাবে তারা রক্ষার চেষ্টা করে।
গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর ওই স্কুলে ৫২ বছর বয়সী বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। কিন্তু প্রথম ক্লাসে (অ্যাকাউন্টিং) গিয়েই সন্তানের বয়সী শিক্ষার্থীদের কাছে তেমন সতর্কবাণী শুনে তিনি একেবারে থ বনে যান।
সর্বশেষ এক খণ্ডকালীন শিক্ষিকার মামলায় গত বুধবার গ্রেপ্তার হন অভিযুক্ত ব্যক্তি। পরদিন জুতা ও ঝাঁটা নিয়ে থানার সামনে মিছিল করে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরদার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের শ্লীলতা ও সম্ভ্রমহানি এবং ইভটিজিং থেকে রেহাই পায়নি স্কুলের নারী শিক্ষকরা।
দশম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীরাও। যার শেষ শিকার হলেন এমবিএতে পড়ুয়া ওই অবিবাহিত শিক্ষিকা। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের প্রায় সবার এমন অভিযোগেও রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি ও দাপটে দিব্যি স্বপদে টিকে আছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার শ্লীলতাহানির শিকার শিক্ষকের মামলায় পরদিন বুধবার গ্রেপ্তার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটিও গঠন হয়নি। তবে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে স্কুল কমিটি।
জানা যায়, এর আগে মোস্তফা কামাল ও রেজাউল করিম নামে অপর দুই খণ্ডকালীন শিক্ষককে নানা অজুহাতে বেতন বকেয়া রেখে স্কুল থেকে সরিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক সরদার হেলাল উদ্দিন। এরপর তিনি তিনজন নারীকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেন।
চাকরিতে যোগদানের পর প্রথম ক্লাসেই ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রধান শিক্ষকের নারী লোলুপ দৃষ্টি থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়। প্রথমে নতুন শিক্ষকরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। পরে প্রধান শিক্ষকের আচরণেই তা প্রকাশ পেতে থাকে। তিন শিক্ষকের প্রতিই তার কুদৃষ্টি। প্রথম শিকার হিসেবে বেছে নেন তার এলাকা থেকে আসা পিতৃহীন ওই নারী শিক্ষককে। গত মার্চে ওই নারী শিক্ষক প্রথম তার মাকে নিয়ে স্কুলে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে যান। সে দিনই তার কু-মতলব প্রকাশ পেলেও প্রথমে তা বুঝতে পারেননি ওই নারী ও তার মা।
ওই শিক্ষকের মা বলেন, শিক্ষক নিয়োগের খবর পেয়ে আমি মেয়েকে নিয়ে স্কুলে তার জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে যাই। প্রথম দিনই অনর্থক আমাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখে। অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলতে থাকে।
ওই শিক্ষকের কথার উদ্ধৃতি দিয়ে শিক্ষিকার মা বলেন, ‘আমি প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ জনকে চাকরি দিই। আপনার মেয়েকে আমার বয়সী (পঞ্চাশোর্ধ্ব) ছেলে দেখে বিয়ে দেবেন। মানুষ কী বলে কানে নেবেন না। মেয়েকে আদর-আহ্লাদে রাখবে। সুখী রাখবে।’ কিন্তু তার ওই কথার ইঙ্গিত বুঝতে পারেননি তারা। সে কথার কোনো সায়-সম্মতিও দেননি। স্বাভাবিক পরামর্শ মনে করে এড়িয়ে যান। বুঝতে পারিনি তার কু-মতলব।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই শিক্ষিকা বলেন, ওই দিন তার সে কথার ইঙ্গিত আমরা বুঝতে পারিনি। তখন আমি বোরকা ও হিজাব পরে স্কুলে গিয়েছিলাম। পরেও তা পরেই স্কুলে যাওয়া-আসা করতাম। প্রধান শিক্ষক তা না পরতে নিষেধ করেন। স্কুলের অন্য নারী শিক্ষকরাও দেখি হিজাব-বোরকা পরেন না। তা দেখে ও প্রধান শিক্ষকের পরামর্শে আমিও হিজাব-বোরকা পরা বাদ দিই।
প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিনি আমাকে বলদা গার্ডেন, হাতিরঝিল ও বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বারবার প্রস্তাব দিতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রস্তাব দেন তিনি ১৭ লাখ টাকায় গাজীপুরে জায়গা কিনবেন। তার সঙ্গে আগামী শুক্রবার যেতে হবে। দু’ঘণ্টা অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে হবে। এছাড়া স্কুলে গেলে আমরা তিন নতুন নারীকে শিক্ষক কমনরুমের পরিবর্তে তার কক্ষে বসতে বলেন। স্কুল দুই শিফটে পরিচালিত হলেও আমাদের সকাল প্রায় আটটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ধরে রাখা হতো।
ক্লাসে গেলে শিক্ষার্থীরা আমাদের তার কাছ থেকে সতর্ক থাকতে বলে। পরামর্শ দেয় দূরে থাকতে। অপরদিকে তিনি বলেন অন্য শিক্ষকরা খারাপ। তাদের সঙ্গে না মিশতে। আমি অবিবাহিত হলেও তিনি আমাকে বিবাহিত পরিচয় দেয়ার পরামর্শ দেন। আর আমার শরীর নিয়ে নানা মন্তব্য করতে থাকেন। বলেন, আমি মোটা হয়ে যাচ্ছি। ওই পোশাক ভালো মানাচ্ছে না।
তিনি আমাকে পোশাক কিনে দেবেন। জুতা কিনে দেয়ার প্রস্তাব করেন। বিভিন্ন সময় কথা বলার সময় আমার গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। আমাকে প্রস্তাব করেন, তুমি আমাকে অন্তরঙ্গ সময় দিলে
তিন শিক্ষকের মধ্যে সিনিয়র করে দেবে, চাকরি স্থায়ী করে দেবে। বেতন বাড়বে। আমরা তিন শিক্ষকও নিজেদের নিরাপদ করার জন্য একা তার কক্ষে না গিয়ে একত্রে যাওয়া শুরু করলাম।
এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার তিনি আমাকে কাজ শেখানোর নামে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে নেয়ার জন্য ফোন করেন। জোর করে বাসা থেকে রাস্তায় আসতে বলেন। আমিও বাধ্য হয়ে তার সঙ্গে যাই। একটি রিকশায় দু’জন শিক্ষা বোর্ডে যাই। সেখানে কাজের ও ডিসি অফিসে যাওয়ার নামে নানা নাটকীয়তা ও টালবাহানা করেন। অগত্যা আমার চাপাচাপিতে চলে আসতে রাজি হন। আমাকে নিয়ে আবার রিকশায় বাসার দিকে রওনা দেন। সেদিন আকাশে রোদ বা বৃষ্টি ছিল না। তারপরও তিনি রিকশার হুট উঠিয়ে দেন। এরপর রিকশার ভেতরেই আমাকে জড়িয়ে ধরেন। একপর্যায়ে মুগদার পূর্ব মানিকনগরে বাসার কাছে এসে রিকশা থেকে নেমে যাই। কান্নাকাটি করতে থাকি। এরপর বাসায় গিয়ে মাকে সবকিছু বলি। এরপর মা তাকে ফোন করে বকাবকি করেন। তারপর স্কুলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও স্কুল কমিটির সদস্যদের জানাই। ঘটনার পরদিন থানায় মামলা করি।
শুধু শিক্ষক নয়। স্কুলের ছাত্রীরাও প্রায় সময় তার হাতে যৌন হয়রানি বা শ্লীলতাহানির শিকার হতো। ওই শিক্ষিকার মামলার দিনই স্কুলের ২০ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করে আরো একটি লিখিত অভিযোগ খিলগাঁও থানায় দাখিল করেছে। যদিও তাতে মামলা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার তাকে থানা থেকে আদালতে সোপর্দ করার দিন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা জুতা ও ঝাঁটা মিছিল নিয়ে থানায় যায়।
ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, একই স্কুল থেকে পড়ে যাওয়া আমার বড় ভাই ও বোন আমাকে তার কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিল। তখন তিনি শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির পরও দেখি একই অবস্থা। শারীরিক শিক্ষার পিটির ক্লাসে অকারণে নিবিড়ভাবে আমাদের শরীর ও স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিতো। জাতীয় দিবসসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে প্রায় ছাত্রদের বাদ দিয়ে ছাত্রীদের দিয়েই উদযাপন করাতেন। তাই আমরা ছাত্রী ও নতুন শিক্ষক এলে তাদের সতর্ক করি।
ওই ক্লাসের অপর এক ছাত্রী বলেন, বিশেষ করে দশম শ্রেণির সিসি ক্যামেরা তিনি বারবার জুম করে দেখতেন। বলতেন, আমরা বাথরুমে অশ্লীল কাজ করি। তাই বাথরুমেও সিসি ক্যামেরা লাগাবেন। এর প্রতিবাদ করায় এক বিবাহিত ছাত্রীকে তিনি স্কুলে আসতে দেননি।
দশম শ্রেণির আরেক ছাত্রী বলেন, আমার গায়ে হাত দেয়া ও অনর্থক হাত ধরার প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, শিক্ষক ছাত্রীর হাত ধরতে পারে।
সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী বলেন, একদিন আমি স্কুলে যেতে দেরি করি। তারপর তিনি আমার বাসায় যাওয়ার বায়না খুঁজতে থাকেন।
ওই ক্লাসের অপর এক ছাত্রী বলেন, একদিন আমরা কয়েকজন ছাত্রী বাথরুমে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি আমাদের থামিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ওড়না নিয়েছো কেন? এরপর যৌন ক্রিয়া ও প্রসব ব্যথা সম্পর্কে অশ্লীল কথা বলেন।
দশম শ্রেণির এক ছাত্র বলেন, একদিন আমি হেড স্যারের কক্ষে ঢুকি। তখন দেখি তিনি দশম শ্রেণির ছাত্রী ও এক শিক্ষিকার ছবি সিসি ক্যামেরায় জুম করে দেখছিলেন।
খিলগাঁও স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলমগীর চৌধুরী বলেন, তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে আগে ছাত্রছাত্রীদের কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এখন কিছু অভিযোগ পাচ্ছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক ও খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অকারণে ছাত্রীদের গায়ে হাত দিতো বলে জানিয়েছে অনেকেই। বিশেষত নারীর প্রতি তার লোলুপ দৃষ্টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিব্রত রাখতো।
মতিঝিল থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে রোববার আমি স্কুল পরিদর্শন করেছি। ভিকটিম, শিক্ষক, পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা দিয়েছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগে থেকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে এ পর্যন্ত কোনো স্তরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

Sunday, June 18, 2017

৫৫ বছরের বিধবার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ৬৫ বছরের বৃদ্ধ, অতঃপর

টাঙ্গাইলের বেকড়া আটগ্রাম ইউনিয়নে ৫৫ বছর বয়সী এক বিধবার সঙ্গে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধকে আপত্তিকর অবস্থায় আটকের পর বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
বেকড়া আটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন জানান, বেকড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মো. বক্কর আলীর সঙ্গে একই গ্রামের ওই বিধবার ৬/৭ মাস ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। বক্কর চার সন্তানের জনক, আর ওই বিধবা তিন সন্তানের জননী।
শুক্রবার বিকালে তারা দুয়াজানী গ্রামের দত্তর কাঠ বাগানে আসে। সেখানে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে। পরে রাতে ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে সালিস হয়। সালিসে উভয়ের সম্মতিতে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধরে দুজনকে বিয়ে করিয়ে দেওয়া হয়।

শখ-নিলয়ের ডিভোর্স!

অনেকদিন ধরেই চলছে কানাঘুষা। দুজন আর বাঁধা নেই এক সুতোয়। ডিভোর্সের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এক ছাদের নিচে বসবাসের পর্বও চুকিয়েছেন মাস কয়েক হলো। এরা দেশীয় শোবিজের ব্যস্ত দুই তারকা নিলয় এবং শখ।
ভালোবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গত বছরের ৭ই জানুয়ারি। এরপর সংসার পেতেছিলেন ঢাকার উত্তরায়। কিন্তু সে সংসারের চার দেয়ালে এখন আর দু’জনের দাম্পত্য জীবন সাজানো নেই বলেই শোনা যায় তাদের নানা নিকটজনের আলোচনায়।
শখ নিলয়ের সংসার ছেড়ে গেছেন কয়েক মাস হলো। ফিরে গেছেন পুরানো ঢাকার বাবার বাড়িতে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার শখের সেলফোনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি। আর নিলয়ের সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কাজের কথা হলে বলবেন। ব্যক্তিজীবন নিয়ে কোনো কথা বলবো না’।
তবে দাম্পত্য জীবনে কলহের জের ধরে দুজনের আলাদা থাকার বিষয়টি জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে তাদের ফেসবুকের ‘রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস’ দেখে। ২০১৬ সালে বিয়ের পর পর শখ তার ‘রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস’ পরিবর্তন করে ‘ম্যারিড টু নিলয় আলমগীর’ করেছিলেন। গত কিছুদিন ধরে সেটা আর নেই। এখন বদলে শখের ‘রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস’ হয়ে গেছে ‘সিঙ্গেল’। মূলত এই পরিবর্তনের ফলেই জল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
অন্যদিকে নিলয়ের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসেও নেই শখের নাম। শুধু তাই নয়, সেটা এখন তার ফেসবুক আইডির ‘অ্যাবাউট’ অপশনে ‘হাইড’ করে রাখা হয়েছে। তবে ফেসবুকের বিষয়টি বাদ দিলেও নিলয়-শখের সঙ্গে কাজ করা মিডিয়ার সহকর্মীদের কেউ কেউ বিষয়টি জানেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।

হামলার পরিণাম শুভ হবে না: খালেদা জিয়া


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

রোববার বিকালে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে এক টুইটবার্তায় তিনি এ হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানান।

টুইট বার্তায় খালেদা জিয়া লেখেন, 'এ হামলা গণতন্ত্র, রাজনীতি, নাগরিক অধিকার ও পরমতসহিষ্ণুতার ওপর হামলা। এর পরিণাম শুভ হবে না।'

অপর একটি টুইটবার্তায় তিনি লিখেছেন, 'বিএনপি মহাসচিবের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা জানাবার ভাষা নেই।'

প্রসঙ্গত, রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার পথে রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছাখালী এলাকায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৬ নেতা আহত হন। পরে তারা চট্টগ্রামে ফিরে যান।

Wednesday, June 14, 2017

স্ত্রী ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতেই ভাটারায় খুন

অনুজ সহকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় রাজধানীর ভাটারার দর্জি দোকানের কর্মী আনোয়ার হোসেনকে। বাবার বয়সী আনোয়ার হোসেনের এ অপকর্মের বিষয়টি কানে আসার পরই খুনের পরিকল্পনা পাকা করে একই দর্জি দোকানের কর্মী সোহেল। কিছু দিন আগেও আনোয়ার ও সোহেলের পরিবার এক সঙ্গে বসবাস করত।


সম্প্রতি তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে তারা আলাদা বাসা নেন। ধর্ষণের নির্মম প্রতিশোধ নিতে সোহেল গত ৯ জুন ভাটারার বসুন্ধরার জগন্নাথপুর এলাকায় নিজের বাসায় ইফতারের দাওয়াত দেন আনোয়ার হোসেনকে। এর ঠিক তিন দিন আগে এই বাসায়ই সোহেলের অনুপস্থিতিতে স্ত্রীকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আনোয়ার। পরে বিষয়টি ফাঁস না করার জন্য হুমকিও দেয়। বলা হয়, জানাজানি হলে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই হত্যা করা হবে। ইফতারের দাওয়াত পেয়ে আনোয়ার বাসায় আসার পরই সুযোগ বুঝে তাকে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ একই বাসায় দীর্ঘদিন ভাড়া থাকতেন। তারা স্থানীয় স্ট্যান্ডার্স টেইলার্স নামের একটি দোকানে কাজ করতেন। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকায় তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সম্প্রতি ছোট ছোট বিষয় নিয়ে দু’জনের স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত রেষারেষি শুরু হয়। পরে গত মাসে তারা আলাদা বাসা ভাড়া নেন।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, সোহাগ ও তার স্ত্রী আনোয়ার হোসেনকে অভিভাবকের মতো মানতেন। সোহাগের বাবা না থাকায় আনোয়ারকে বাবা বলে ডাকতেন। ঘটনার তিন দিন আগে ৬ জুন তারা একসঙ্গে দোকানে কাজ করছিলেন। সোহাগকে না জানিয়ে তার বাসায় যান আনোয়ার। স্ত্রীকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন আনোয়ার। পরের দিন সোহাগ বিষয়টি জানতে পারেন।

আনোয়ারের এই পশুত্ব মেনে নিতে পারেননি সোহেল। পরে আনোয়ারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সোহেল। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইফতারির দাওয়াত দিয়ে বাসায় ডেকে ৯ জুন তাকে খুন করা হয়। নিহতদের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলেন, ইফতারের দাওয়াত দেয়ার পর থেকেই আনোয়ার নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশের ধারণা, আনোয়ারকে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। নিহত আনোয়ারের বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার লক্ষণদিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আবুল হোসেন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহজাহান সাজু যুগান্তরকে জানান, আনোয়ার হোসেন খুনের জট খুলেছে। তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে বরিশালে অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি।

Tuesday, June 13, 2017

কলেজ পড়ুয়া ছেলের প্রেম, তরুণী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় এক তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করেছে বাদশা মিয়া নামের এক যুবক। এতে ওই তরুণী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গত সোমবার বিকালে বাদশাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গতকাল মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় এক বছর আগে উপজেলার সখিপুর থানার কান্দি গ্রামের গনি মালের কলেজ পড়ুয়া ছেলে বাদশা মিয়ার সঙ্গে ওই এলাকার এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বাদশা মিয়া ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ওই তরুণী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বাদশা এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে।
সে স্থানীয় মুরুব্বিদের মধ্যস্থতায় সালিশের মাধ্যমে জরিমানা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ারও চেষ্টা করে। কিন্তু বিয়ে না করায় গত ১০ জুন বাদশার বিরুদ্ধে সখিপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে ওই তরুণী।
ওই তরুণী জানায়, বিয়ের আশ্বাসে বাদশা তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এখন সে সন্তান ও সম্পর্কের কথা অস্বীকার করছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করে ওই তরুণী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখিপুর থানার এসআই ফারুক মিয়া বলেন, ধর্ষণ মামলায় বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শিকার ধরতে এসি-র মধ্যে থেকে বেরিয়ে এল সাপ! দেখুন ভিডিও

ঘরের এসি-র মধ্যেই যে বিপদ লুকিয়ে রয়েছে তা কে জানত! ভাগ্যিস ঘরে ইঁদুরের উপদ্রব ছিল!
কথাগুলো শুনতে বেশ অদ্ভুত লাগছে, তাই না! ঘরে ইঁদুরের উপদ্রব কী ভাবে কাউকে নিশ্চিন্ত করতে পারে? আসলে ঘরে ইঁদুর না থাকলে হয়তো জানাই যেত না যে, এসি মেশিনের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আস্ত একটা সাপ! ঘরের জিনিসপত্রের উপর লাফিয়ে লাফিয়ে একটা ইঁদুর এসি মেশিনের নীচে পৌঁছতেই তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে এল একটা বড়সড় মাপের সাপ। মুহূর্তের মধ্যে খপ করে ধরে নিল শিকার। তার পর আবার আস্তে আস্তে ঢুকে গেল এসি-র মধ্যে।
চমকে দেওয়ার মতো এই ঘটনাটি ধরা পড়েছে একটি ভিডিওয়, যা এখন রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়! ১০ জুন সিঙ্গাপুরের এক বাসিন্দা এটি পোস্ট করেন তাঁর ফেসবুক পেজে। দেখতে দেখতে পোস্টটি ৪ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেছেন। ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার আর এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার লাইক জমা হয়েছে পোস্টটির নীচে। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই ভয়ানক ভিডিওটি।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

রাঙামাটিতে উদ্ধার কাজে গিয়ে সেনা সদস্য হতাহত

উদ্ধার কাজে গিয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ২ কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৪ সেনা সদস্য নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন রাঙামাটি রিজিয়নের মুখপাত্র।
এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরো ৫ সেনা সদস্য। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে পাহাড় ধসে হতাহতদের উদ্ধার করতে যাওয়া এসব সেনা সদস্য নিহত হন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। নিহত সেনা সদস্যদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন মেজর মাহফুজ ও ক্যাপ্টেন তানভীর। বাকি সেনা সদস্যদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।  

আজ মঙ্গলবার সকালে মানিকছড়ির একটি রাস্তা থেকে পাহাড় ধসে পড়া মাটি সরানোর কাজ করছিল সেনাবাহিনীর একটি দল। এসময় ফের পাহাড় ধসে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এদিকে সোমবার থেকে ভারি বর্ষণে পার্বত্য তিন জেলায় ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাতে যায় সেনাবাহিনী। সেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত পাহাড় ধসে তিন জেলায় ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো অনেকে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

Monday, June 12, 2017

২৪ ঘন্টায় ৫৭ নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিশ্ব রেকর্ড

৩০ বছরেরও বেশি পুরানো একটি রেকর্ড ভেঙে নতুন নজির স্থাপন করলেন সিঙ্গাপুরের ৩৪ বছর বয়সের এক যুবক। মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫৭ জন নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলেন তিনি।

চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে স্থানীয় এক পতিতালয়ের উদ্যোগে এই অভিনব প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এই অভিনব প্রতিযোগিতা জেতার পর বিজয়ী প্রতিক্রিয়াতে বলেন, “আমি ছোট থেকেই এসব বিষয়ের ওপর আসক্ত। যখনই খবর পাই যে প্রাগের পতিতালয়টি এরকম এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে, আমি আর দেরি করিনি। যেভাবে একজন অ্যাথলিট ম্যারাথনের জন্য তৈরি হন, আমিও সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছি। কোনও পেশাদার খেলোয়াড়ের চেয়ে আমার কম পরিশ্রম হয়নি

২৪ ঘন্টায় ৫৭ নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিশ্ব রেকর্ড ঘন্টায় ৫৭ নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিশ্ব রেকর্ড" জানা যায়, এই প্রতিযোগিতার শুরু হয় মধ্যরাতে। প্রতিযোগীর জন্য একজন ফিজিওথেরাপিস্ট বরাদ্দ করা হয়। কোন ধরণের রাসায়নিক ওষুধ ব্যবহার করার নিয়ম ছিল না। তবে একটি বিশেষ প্রাকৃতিক ওষুধ বিজয়ী নিজেই নিয়ে এসে ছিলেন, যেটি কী দিয়ে তৈরি সেটা জানাতে চাননি বিজয়ী।

তবে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ওই যুবককে বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। প্রমাণ করতে হয়েছিল, যে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ও কোনও ছোঁয়াচে রোগ তার নেই।

উল্লেখ্য এর আগে ১৯৮৩ সালে একটানা ৫৫ জন নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে রেকর্ড গড়েছিলেন এক পর্নো অভিনেতা। তবে এই প্রতিযোগিতা জেতা মোটেও সহজ হয়নি সিঙ্গাপুরের যুবকের পক্ষে।

শেষ নারীর সঙ্গে সঙ্গম শেষ হতেই তাকে হাসপতালে নিয়ে যেতে হয় বলে জানিয়েছে আয়োজনকারী পতিতালয়টি।

আমি শিশু ধর্ষণকারীদের কাছে ধর্ষিত হতে চাই।

ঢাকার বাড্ডায় ময়নাবাগে একটা ১০ বছরের মেয়েকে ইফতারির দাওয়াত দিয়ে রেপ করেছে ২ জন গার্ড,নিঃশ্পাপ একটা চেহারার দিকে তাকালে মানুষের মনে হয়ত সাময়িক ভাবেও মনে হয় অামি এমন নিঃশ্পাপ হতে চাই জগতের সব পাপ থেকে সেই বাচ্চাদেরকে দেখলে কারো ভোগের কথা কিভাবে মনে অাসতে পারে অামি চিন্তাও করতে পারিনা,অামার মেয়ের বয়স ৬ তাকে দেখলে অামার মনে সব সময় এখন একটা ভীতি কাজ করে অামার মেয়েটাও তো নিরাপদ না কোথাও..!
অামি রেপ্ট হতে চাই এসব নর পষুদের কাছে যারা কিনা মাসুম বাচ্চাদেরকে রেপ করে, অামাকে যতবার ইচ্ছা রেপ করো তোমাদেরকে ডাকছি নিজে রেপ হবার জন্য তারপর ও এসব মাসুম বাচ্চাদেরকে তোমারা ছেরে দেও, যারা রেপ করে তারা তো কোন মায়ের সন্তান,কোন মেয়ের বাবা, কিন্বা কোন বোনের ভাই, তাদের কি একবারও তাদের বাড়িতে থাকা মা বোন গুলোর চেহারা মনে পরেনা কারো শরির ছিরে খাবার সময়?
তাদের মা বোনের সাথেও তো এমন হতে পারে কোন একদিন, অামি শুনতে পাই এই সব শিশু বাচ্চাদের অার্তনাথ, শিউরে উঠে শরির,, বাচ্চা গুলোর সেই সময়ের সময় টুকু কতটা ভয়ংকর অাপনারা একটু কল্পনা যদি করেন তাহলে হয়ত নিজের মেয়ের হাতটি এক মুহূতের জন্য ও ছারতে চাইবেননা বাইরের জগতে
এর প্রতিকার কিভাবে? শাস্তি কি হচ্ছে তাদের? একজন বাবা কতটা অসহায় হয়ে তার রেপ হওয়া মেয়েকে নিয়ে অাত্নহত্যা করে তা কি কেউ কখনো ভেবেছেন?যার বাবা, যার ভাই, যার ছেলে রেপিস্ট সেই মেয়ে, মা,বোন যদি সবার সামনে এসে বলে অামরা শাস্তি দিতে চাই এদের, প্রকাশে যদি তাদের লিঙ্গ কেটে ফেলে দেবার সাহস রাখে তাহলে অার কারো বাবা,ভাই,ছেলে রেপিস্ট হবে বলে মনে হয় না,
শরিরের সাময়িক চাহিদার জন্য একটা মানুষের জিবনকে শেষ করে দেওয়া, মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া এ কেমন মানব সমাজ অামাদের,
সমাজ তো অামাদের সবার তাহলে সবাই মিলে এই সমাজে এই রেপিস্টদের কিভাবে অামরা ঠাই দেই, কেনো তাদেরকে সমাজ থেকে বের করে দেই না?একটা শিশুর অার্তনাথ শুণে বাচার চেয়ে ওই সব রেপিস্টদের কাছে অামি নিজে রেপ্ট হতে চাইবো, অামরা বিচাই চাই বিচার চাই বলে দাবি করি লাভ কি তাতে? শরীরের খত কি পুরন হয়? বাচার অধীকার সমাজে অার দশটা মেয়ের মত রেপ্ট হওয়া মেয়েটার কতটা? প্রশ্ন গুলো অাপনাদের সবার কাছে অাপনার নিঃশ্পাপ বাচ্চাটা কতাটা চিৎকার করে বললে অাপনাদের অামাদের জেগে থাকা ঘুম ভাংবে অামাকে বাচাঁও মা অামাকে বাচাঁও বাবা,………!!!!!
অাগের দিনে ৪০ /৬০/৭০ বয়সি ছেলেরা বিয়ে করতো ১০ /১২ বছর মেয়েদের যাদের কিনা সেই সময় ঋতুস্রাব ও শুরু হয়নি সেই সময়ের মেয়েদের বিয়ের পর বাসার রাতটি তো হত সমাজ সিকৃত রেপ্টের রাত অার পুরুষ নামক নর পষুরা সেই অল্পোবয়সি মেয়েদেরকে রেপ্ট করতো প্রতিনিয়ত।
তখন তো বিচার চাই শব্দটির সাথেও তারা ছিলো অপরিচিত, এখন সমাজে যারা নিঃশ্পাপ শিশুদেরকে রেপ্ট করে অামার মন হয় এরা তাদেরি উওরসুরি, বংশের পরামপরা রকখা করছে শুধু মাএ সমাজ থেকে সিকৃতি পাচ্ছে না যার কারনে নিজেরাই অাদায় করে নিচ্ছে হয়ত এই সিকৃতি অার অামরা মুখ বুজে তার সম্মতি দিচ্ছি, নিজের ঘর পুরলে নাকি মাথা গোজার জায়গাটা কতটা গুরুত্ব্য তা বোঝা যায় তবে কি অামরা নিজের ঘর পোরার অপেখায় তাদের সমাজে ঠাই দিচ্ছি?সময়ের পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুর মানষিকতার পরিবর্তন হবে কবে অামাদের,? মুখ চেপে ধরা কান্নার শব্দ ও তো শব্দ সেটা অারো কস্টের…….!

শাশুড়িকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় যুবক

প্রেমের দুনিয়ায় নাকি সবকিছু সম্ভব। ভারতের বিহার রাজ্যের শাশুড়ি-জামাইয়ের বৃত্তান্ত শুনলে আপনার এ কথা বিশ্বাস হবেই। কারণ, বিয়ের এক বছর পর স্ত্রীকে ছেড়ে শাশুড়িকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় গেছেন এক যুবক।
গত বছরের মাঝামাঝি ২৩ বছর বয়সী সুরজ নামের এই যুবক যখন শাশুড়ির প্রতি তাঁর অনুরাগের কথা জানান, তখন সবে তাঁর বিয়ে হয়েছে। স্ত্রী লতা ১৯ বছরের তরুণী। কিন্তু যুবক জানান, তাঁর অসুস্থ অবস্থায় স্ত্রী তাঁর সেবা করেননি, করেছেন শাশুড়ি। আর ওই সময় ৪২ বছরের শাশুড়ি আশার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
শাশুড়ির নীরব সম্মতিও তখন বুঝিয়ে দিয়েছিল অনেক কিছু। কিন্তু বাদ সাধেন ৪৮ বছর বয়সী শ্বশুর হরি। তিনি নিজের স্ত্রী আর জামাইয়ের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতে অভিযোগ করেন। কিন্তু পঞ্চায়েত এ সমস্যার সমাধান খুঁজে পায়নি। ফলে এ অভিযোগ যায় আদালতে। এরপর ওই যুবকের স্ত্রীও স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
কিন্তু প্রেমের টানে তত দিনে সুরজ আর তাঁর শাশুড়ি আশা পাগলপ্রায়। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে থাকতে আদালতেই সুরজ স্ত্রী লতাকে ডিভোর্স দেন। এরপর গত সপ্তাহের বুধবার বিয়ে করেন আশাকে।
বিয়ের পরই এই প্রেমিক যুগল মধুচন্দ্রিমায় গেছেন বলে জানিয়েছেন আত্মীয়-পরিজনরা। তাঁদের অনেকেই এ বিয়ে মেনে না নিলেও বলছেন, ‘কিছুই তো আর করার নেই। আদালতের আদেশ, তাই সব মেনে নিতে হবে।’

ভারতীয়দের হাতে চলে গেছে সেমিফাইনালের সব টিকিট


ভারতীয় দর্শকরাকি দূরদর্শী নাকি অতি আত্মবিশ্বাসী? দল সেমিফাইনালে যাচ্ছে কি না, সেটা নিশ্চিত হওয়ার আগেই সব টিকিট কেটে রেখেছেন তারা। হন্যে হয়ে খুঁজেও টিকিট পাচ্ছেন না বাংলাদেশের সমর্থকেরা। এমনই অবস্থা, সমর্থকদের দাবির মুখে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে আইসিসি ও ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃপক্ষ।এখন পর্যন্ত শুধু ‘এ’ গ্রুপের সেমিফাইনালিস্টরা কোথায় খেলবে সেটি জানা গেছে। ১৪ জুন ইংল্যান্ড খেলবে কার্ডিফে। আর ১৫ জুন এজবাস্টনে হবে বাংলাদেশের ম্যাচ। এজবাস্টনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হচ্ছে ভারত—এটা কাল প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে ভারতীয় দর্শকেরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের জন্য আর অপেক্ষা করেননি। সেমিফাইনালের টিকিট কেটে রেখেছেন ম্যাচের অনেক আগেই।

আইসিসির এক মুখপাত্র ইংলিশ পত্রিকা মিররকে জানিয়েছেন, ‘কারা খেলবে, সেটা নিশ্চিত হওয়ার আগেই দুই সেমিফাইনালের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে নতুন করে টিকিট বিক্রির সুযোগ রাখা হয়েছে, এখানে যার যে টিকিট দরকার হবে না, সেটি তারা বিক্রি করে দিতে পারবে। ভারতীয় সমর্থকেরা কার্ডিফের ৩৭ শতাংশ ও এজবাস্টনের ৩৮ শতাংশ টিকিট কেটে রেখেছেন। আমরা আজ (কাল) যারা দুই সেমির টিকিট নিয়েছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকিট বিক্রির সুযোগের কথা জানাব।’

এদিকে ভারতীয় সমর্থকদের এভাবে টিকিট কেটে রাখায় বিপাকে পড়েছেন ইংলিশ সমর্থকেরা। নিজের দেশের ম্যাচের টিকিটও তারা পাচ্ছে না। সমর্থকেরা ইসিবির কাছে আবেদন করেছেন টিকিট জোগাড় করে দেওয়ার জন্য! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও টিকিট চেয়ে যোগাযোগ করেছে আইসিসির সঙ্গে। তবে টিকিট পুনরায় বিক্রি করলেও আসল মূল্যে টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বাংলাদেশ কিংবা ইংল্যান্ডের সমর্থকদের। সবাই আশঙ্কা করছেন, সমর্থকদের এমন আগ্রহের কারণে সেমিফাইনালের টিকিট নিয়ে ব্যবসায় নেমে পড়বে কালোবাজারিরা।

কদিন আগেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট পাঁচ গুণ দামে বিক্রি করেছেন আগে টিকিট কেটে রাখা ভারতীয়রা। সেমিতেও এ রকম কিছু হওয়ার শঙ্কায় আছেন সবাই! সূত্র: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম বন্দরে ৩টি জাহাজ ডুবি

বৈরী আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোর্ঙ্গরে সিমেন্টের ক্লিঙ্কারবাহী তিনটি লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আজ বেলা ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূল এলাকাজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে বৃষ্টিপাত। কোথাও কেথাও ভারি বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। নিম্নচাপের কারণে উপকূলের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। উপকূলিয় এলাকে থেকে অধিকাংশ মাছ ধরা ট্রলার তীরে ফিরতে শুরু করেছে।

Sunday, June 11, 2017

গবেষণায় বেরিয়ে এলো, ধর্ষণের সময় নারীর শরীর প্রতিবাদ করতে না পারার কারণ

 
নারী নিগ্রহের সময়, বিশেষ করে ধর্ষিতা নারী অনেক সময়ে শরীরের সাড় হারিয়ে ফেলেন। তার সঙ্গে কী নৃশংস ঘটনা ঘটছে তা তিনি বুঝতে পারেন, তবে প্রতিরোধ বা প্রতিবাদ করতে পারেন না। কারণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি সুইডেনের গবেষকরা এমনই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
তারা জানিয়েছেন, মাত্রাতিরিক্ত ভয় থেকে অনেক সময় ক্ষণস্থায়ী বিকলাঙ্গতা আসতে পারে। শরীর প্রতিরোধ করা বন্ধ করে দিতে পারে যতক্ষণ না ভয় কেটে যায়। যৌন নিগ্রহের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে এমনই হয়ে থাকে। এটাই মত সুইডিশ গবেষকদের।
গবেষকরা রেকর্ড ঘেটে দেখেছেন, এক মাসের মধ্যে মোট ২৯৮জন মহিলা ‘রেপ ক্রাইসিসি সেন্টার’-এ গিয়ে দেখা করেছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ এমন ছিলেন যারা নিগ্রহের মুহূর্তে বিশেষ নড়াচড়া করতে পারেননি। এবং ৪৮ শতাংশ এমন ছিলেন যাদের শরীর একেবারেই নড়াচড়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এই ভয় থেকে শরীরের নড়াচড়া বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘টনিক ইমোবিলিটি’। যা নিগ্রহের পর নির্যাতিতাকে ট্রমায় পাঠিয়ে দেয়, অবসাদে আচ্ছন্ন করে।
এর মধ্যে অন্তত ২২ শতাংশ মহিলা চূড়ান্ত অবসাদে চলে যান যেখান থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা মুশকিল। দুর্ভাগ্যের বিষয়, ধর্ষিতাকে বিচার করার সময় বিপক্ষ অনেক সময় বলে থাকে, মহিলা প্রতিরোধ করেননি। তার আসল কারণ লুকিয়ে শরীরের মধ্যেই। শরীরই মাত্রাতিরিক্ত ভয়ে প্রতিবাদহীন হয়ে পড়ে। ফলে কোনও উপায় থাকে না নির্যাতিতার কাছে। আর সেইজন্য অনেক সময় আইনের ফাঁক গলে অপরাধী ছাড় পেয়ে যায়।

‘শুধু শরীর দেখিয়ে কয়দিন ম্যাডাম?’

বিনোদন ডেস্ক: এমনিতেই মিডিয়া জগতে নারী কলাকুশলীদের নিয়ে নানান রকম গুঞ্জন শোনা যায়। এরপর কোন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী যদি তেমনটাই ইঙ্গিত করেন তবে সেটা আরও ভয়ানক হয়। সম্প্রতি লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা জনপ্রিয় টিভিমুখ তাসনুভা এলভিন তার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এমনটাই জানালেন।
গতকাল দেয়া সেই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘ইদানিং কিছু মেয়েদের দেখছি শুধুমাত্র শরীরটাকে পুজী করেই মিডিয়াতে নাম লিখাচ্ছে… আমার তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন এতো শরীর দেখিয়ে কি হবে ? শুধু শরীর দেখিয়ে কয়দিন ম্যাডাম ? ক্যালিবার বলে ওতো একটা কিছু থাকতে হয়।’
তার এই স্ট্যাটাসের পর নানান রকম ইতিবাচক কমেন্টস পরতে থাকে। এদিকে অনেকেই তার সাহসিকতার প্রশংসা করে তার সাথে একমত প্রকাশ করেন। এতে সহজেই বর্তমান ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার অধ্যায়ের খোঁজ পাওয়া যায়।
কিন্তু কিসের প্রেক্ষিতে তাসনুভা এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার সঠিক উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মায়ের আগ্রহে ২০১০ সালে অংশ নেন ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা’য়। টিকে ছিলেন সেরা ১৫ পর্যন্ত। একই বছর শুরুটা হয় বৈশাখী টিভির রিয়েলিটি শো ‘অন্য আলোর গান’-এর উপস্থাপনা দিয়ে। এরপর বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছেন।
মডেলিংয়ের পাশাপাশি তখন থেকে অংশ নেন টিভি নাটকেও। অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল তাহের শিপনের হাত ধরে। নাটকের নাম ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’। এরপর থেকে এখনও বিজ্ঞাপন-নাটকে তার ব্যস্ততা বেশ।

‘জান্নাতের পাসপোর্টধারী’ ২ জেএমবি সদস্য গ্রেফতার



 নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে ‘জান্নাতের পাসপোর্টধারী’ দুই জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। শনিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং ‘জান্নাত ও আখেরাতের পাসপোর্ট’ পাওয়া যায় বলে রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান মুফতি মাহমুদ খান জানান।
মুফতি মাহমুদ বলেন, গ্রেফতার হওয়া দু’জন জেএমবির সরোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য। এদের মধ্যে একজন নিষিদ্ধ সংগঠনটির ‘দাওয়াতি আমির’ ইমরান আহমেদ।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের শুরা সদস্য ও অর্থ যোগানদাতা এবং ঢাকা মহানগর পশ্চিমের দাওয়াতি আমির ইমরান আহমেদ (৩৭) ও তার সহযোগি মোঃ শামীম মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানিয়েছে, সে জেএমবি’র অর্থ সহায়ক। এছাড়াও সংগঠনটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত ও তার বাসায় দেখা করত।
ছবি ও তথ্য সূত্র -চ্যানেল আই অনলাইন

Saturday, June 10, 2017

লজ্জা আর ভয়ে মেয়ে আমাদের কিছুই বলেনি

ইফতারের দাওয়াত দিয়ে ওরা আমার নিষ্পাপ শিশুটিকে পরপর দু’দিন নির্যাতন করল। নির্যাতনের কারণে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। গলা কেটে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় বিষয়টি কাউকে বলতে সাহস করেনি। ১০ দিনের মাথায় জোর করে মা মেয়েকে গোসল করাতে গিয়ে বিষয়টি টের পান।
বিচার চেয়ে আর কী হবে? ক্ষতি যা হবার তা-তো হয়েই গেছে। আমার মেয়ের জীবনে এমনটি হবে- কখনওই ভাবিনি। নির্যাতনের শিকার আট বছরের শিশুটির বাবা ডমিনিক রায় জাগো নিউজকে এভাবে কথাগুলো বলছিলেন।
তিনি বলেন, আট বছরের শিশুটি ইফতারের আগে বাসার সামনে খেলা করছিল। আগের দিন ইফতারের দাওয়াত দিয়েছিল পাশের বাসার প্রহরী শাহিনুর। ইফতারের সময় হলে মা তার শিশুকন্যাকে প্রহরীর কক্ষে পাঠিয়ে দেন। বলেন, তোমার দাদু ইফতার খেতে ডেকেছে। যাও খেয়ে এসো।
কিন্তু দাদুর বয়সী পাষণ্ড প্রহরী অপর প্রহরীকে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করতে পারে তা ঘূণাক্ষরে ভাবিনি।
ডমিনিক রায় বলেন, বাড্ডার ময়নারবাগের একটি ভাড়া বাসার পঞ্চম তলায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেন। গত ২৯ মে ইফতারের দাওয়াত দিয়ে তার শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে সামনের বাসার প্রহরী আমজাদ হোসেনের সহযোগিতায় অপর প্রহরী শাহিনুর।
ওই ঘটনায় ডমিনিক রায় বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০২ এর সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (৩) ধারায় মামলা করেন। মামলার দুই আসামি হলেন- নিরাপত্তা প্রহরী শাহিনুর রহমান (৫২) ও আমজাদ হোসেন (৫০)। দু’জনই ময়নারবাগ এলাকার নিরাপত্তা প্রহরী।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বাবা ডমিনিক রায় জাগো নিউজকে বলেন, ইফতার কেনাকাটা আর নামাজের প্রস্তুতি চলছিল চারদিকে। সবার মধ্যে যখন ধর্মীয় আচার পালনের ব্যস্ততা তখনই সুযোগ নেয় নিরাপত্তা প্রহরী শাহিনুর। এজন্য পরিকল্পিতভাবে আগের দিন আমার বাসায় গিয়ে ইফতারের দাওয়াতও করে আসে।
পরদিন ঠিক ইফতারের আগে দাওয়াতের কথা মনে করিয়ে দেয় প্রহরী শাহিনুর। আমার মেয়েটি তখন নিচে খেলছিল। মেয়ের মা সহজ-সরলভাবে ইফতার খেতে প্রহরীর কক্ষে মেয়েকে পাঠিয়ে দেন। দাদুর বয়সী মানুষ। এতটা পাশবিক হবে, জানা ছিল না। দুই প্রহরী মিলে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরের দিনও নির্যাতন করে। কিন্তু লজ্জা আর ভয়ে মেয়ে আমাদের কিছুই বলেনি।
ডমিনিক রায় বলেন, ঘটনার ওই রাতে মেয়ের গায়ে ১০২ ডিগ্রি জ্বর আসে। জ্বর কোনো মতে কমছিল না। জ্বরের কারণ, শরীরে ব্যথা, হাঁটতে না পারা- কোনো কিছুই জানতে পারছিলাম না। মেয়ের মায়ের মনে সন্দেহ হয়। তিনি আদর করে, শান্ত গলায় মেয়ের কাছে জানতে চান, কিচ্ছু হবে না তোমার, কে তোমার গায়ে হাত দিয়ছে, দ্বিধাহীনভাবে বলো।
কিন্তু মুখ খোলেনে মেয়েটি আমার। এভাবে ১০টি দিন পেরিয়ে যায়। শিশুটির শরীরে বেড়ে যায় ইনফেকশনের যন্ত্রণা। মেয়েটি প্রচণ্ড ব্যথার কথা বলছিল। মা তিনদিন ৩/৪টা করে নাপা দিচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যথা কমে না। একদিন মা জোর করে গোসল করাতে নিয়ে গিয়ে মেয়ের শরীরে ক্ষত দেখতে পান।
মা মেয়েকে অভয় দিয়ে বলেন, কিছু হবে না তোমার। কেউ কি তোমার ক্ষতি করেছে?
মায়ের অভয় পেয়ে মেয়ে সব কথা খুলে বলে। বলে দাদুর বয়সী দুই নিরাপত্তা প্রহরী কর্তৃক নির্মম নির্যাতনের কথা। নির্যাতনের পর তারা আমার মেয়েকে ভয় দেখায়, কাউকে বললে গলা কেটে দেবে। মেরে ফেলবে…!
ডমিনিক রায় বলেন, বিষয়টি বাসার মালিককে অবহিত করি। এরপর প্রহরীর সামনে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তারা আমজাদ হোসেনকে বাড্ডা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। সে সময় মূলহোতা শাহিনুর বাসায় ছিল না।
শিশুটির বাবা বলেন, নিজের জীবনে এমন ঘটনা ঘটবে- তা কখনও ভাবতে পারিনি। মেয়ের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে গেছি। পুলিশি কেইস বলে ভর্তি করাতে পারিনি। সামাজিক মানসম্মানের ভয়ে প্রথমে মামলা করতে চাইনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করাতে পারিনি। চিকিৎসক জানান, এ ঘটনায় আগে থানায় মামলা করুন, তারপর চিকিৎসা। কষ্টে, আক্ষেপে ফিরে এসেছি। থানায় মামলা করেছি।
আসামিরা ধরা পড়েছে। হয়তো বিচার হবে কিন্তু আমার জীবনে, আমার মেয়ের জীবনে যা ঘটে গেল তা কখনও ঘুচবার নয়- কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন ডমিনিক রায়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দুই আসামিকে আমরা গ্রেফতার করেছি। ভিকটিম শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি’তে ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হবে।
দুই আসামিকে আগামীকাল রোববার আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

রাতে ‘শুঁটকি মাছের তরকারী খেয়ে’ সকালে মা ও সন্তানের মৃত্যু! এলাকায় শোকের ছায়া

সিরাজগঞ্জ – সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খাদ্য বিষক্রিয়ায় মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সুত্র জানায় রাতে মা ও ছেলে ভাত খেয়ে ঘুমাতে যায়। কিছুক্ষণ পরেই দুজনেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। ভোররাতে হাসপাতালে নেবার পথেই মৃত্যু হয় মা ও সন্তানের। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর রহমান জানান, রাতে শুঁটকি মাছ ও কচুর শাকের তরকারি খান উপজেলার মাধাইনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী সোনা ভান (৩৫) ও তাঁদের শিশুসন্তান সোহাগ (৪)। খাওয়ার পর মা ও ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সজীব রায় তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সজীব রায় জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

অস্ট্রেলিয়ার হারে বাংলাদেশের ইতিহাস

সমীকরণটা জানাই ছিলো। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তাকিয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের দিকে। প্রথম কাজটি বাংলাদেশই করেছে। রুপকথার ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখে মাশরাফিবাহিনী। এরপর একদিনের জন্য ইংল্যান্ডের সমর্থক হয়ে ওঠা। সমর্থন বিফলে যায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৪০ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। আর এতে ইতিহাস লেখা হয়ে গেছে বাংলাদেশের। 
এজবাস্টেনে শনিবার অস্ট্রেলিয়ার হারে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। এ যেন কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল পর্বে প্রথমবারের মতো খেলতে গিয়েই ইতিহাসের পাতায় নাম উঠে গেলো মাশরাফিবাহিনীর। নিউজিল্যান্ডের পর বিদায় ঘন্টা বেজে গেলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ারও। গ্রুপ সেরা হয়ে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ডও।
এবার নিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোনো ম্যাচ না জিতেই বিদায় নিলো অস্ট্রেলিয়া। এরআগে ২০০০ ও ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে জয়হীন ছিলো পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২০০০ সালে নক আউট কাপে একটি ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছিলো অজিরা। ২০১৩ এর আসরে দুই ম্যাচ হার ও এক ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়। তবে এবার বৃষ্টি একটু বেশিই ভুগিয়েছে তাদের। প্রথম দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত, শেষ ম্যাচে হার। আরো একবার খালি হাতেই বিদায় ক্রিকেটের এই আদি দেশের।
ম্যাচ হলো ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। কিন্তু এ ম্যাচের সবটা জুড়ে থাকলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা রীতিমতো ইংল্যান্ডের সমর্থক হয়ে উঠলেন। অস্ট্রেলিয়ার একেকটি উইকেট তুলে নিতে থাকলেন মার্ক উড-আদিল রশিদরা, আর উল্লাসে ফেটে পড়তে থাকলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটমোদীরা। একইভাবে ব্যাটিংয়েও ইংল্যান্ডের হাঁকানো চার-ছয় বারবার স্বস্তির হাওয়া বইয়ে দেয় বাংলাদেশি ভক্তদের মনে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশ পেসার মার্ক ও স্পিনার আদিল রশিদের বোলিং তোপের মুখে দাপুটে ব্যাটিং করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চের ৬৮, অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের হাফ সেঞ্চুরিতে নয় উইকেটে ২৭৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে মাত্র ৩৫ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারালেও অধিনায়ক ইয়ন মরগানের ৮৭ ও বেন স্টোকসের সেঞ্চুরিতে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।

বাংলাদেশের জয়ে চায়ের কাপ ২ টাকা


ক্রিকেট নিয়ে বাঙালির উন্মাদনা হিমালয়সম। ক্ষুদ্র হলেও তেমনি এক উম্মাদনার জন্ম দিলেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসীর চা দোকানি মজিদ সরকার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে পাঁচ টাকার পরিবর্তে তিনি দুই টাকা দামে চা বিক্রি করছেন। এ যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি অসাধারণ ভালোবাসার এক বহিঃপ্রকাশ।
আর এই ভালোবাসা থেকেই মজিদ শুক্রবার বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার খেলা চলাকালে ঘোষণা দেন, বাংলাদেশ যদি এই ম্যাচে জয় লাভ করে তাহলে শনিবার সব চায়ের দাম পাঁচ টাকার পরিবর্তে দুই টাকা রাখবেন তিনি। মজিদ সরকার তার কথা রেখেছেন। শনিবার ইফতারের পর থেকে তিনি প্রতি কাপ চায়ের দাম রাখছেন দুই টাকা।
ঘটনার সত্যতা জানতে সরেজমিনে মজিদ সরকারের চায়ের দোকানে গেলে বিভিন্ন বয়সী মানুষের ঢল দেখা যায়। আর একের পর এক চা তৈরি করে চলছেন তিনি।
এ বিষয়ে মজিদ সরকার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, চা বিক্রির মাধ্যমে যা আয় হয় তা দিয়ে আমার ৬ জনের সংসার চলে। গড়ে প্রতিদিন ৫শ’ থেকে ৭শ’ কাপ চা বিক্রি করি। খরচ বাদে ৬ থেকে ৭শ’ টাকা আয় করি।
তিনি বলেন, আমি অনেক আগে থেকেই ক্রিকেট ভক্ত। আমি সবসময় খোঁজ রাখি কবে বাংলাদেশ দলের খেলা আছে।
‘শুক্রবার রাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যখন তামিমসহ ৩৭ রানে বাংলাদেশ দলের ৪ উইকেটের পতন হয়, তখন আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু সাকিব এবং মাহমুদুল্লাহ যেভাবে দলকে জিতিয়েছেন তাতে আমি খুশিতে কেঁদেই ফেলেছিলাম। আমি গরীব মানুষ। চা বিক্রি করে সংসার চালাই। বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও পারছি না। তাই সাধ্যের মধ্যে তাৎক্ষণিক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’


--- সোহেল তালুকদার

দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে নকল টিভি বিক্রি !!!

চাঁদপুর, ১০ জুন- চাঁদপুর সদর থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপজেলায় ইলেক্ট্রিক সামগ্রীর দোকানগুলোতে নিম্নমানের চাইনিজ টিভির উপর বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের স্টিকার সেটে বিক্রি করা হচ্ছে। উঠেছে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার জন্য সাধারণ গ্রাহকের সাথে এ ধরনের প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সাধারণ মানুষ এসব স্টিকার দেখে আসল টিভি ভেবে এবং দামে কিছুটা কমে পাওয়ায় নগদ টাকায় কিনে নিয়ে প্রতারিত হচ্ছে।
চাঁদপুর সদর, বাবুরহাট, মুন্সির হাট, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া, হাজীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা অসংখ্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রির দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে স্টিকার লাগানো নকল টিভি।
বহু আগে উৎপাদিত পিকচার টিউব এবং অনেক সময় পুরানো টিভির পিকচার টিউব খুলে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে চীনের কিছু কোম্পানি। বাংলাদেশের ব্যাবসায়ীরা এসব পিকচার টিউব কিনে অন্যান্য যন্ত্রাংশ জুড়ে টিভি বানিয়ে সেগুলোর উপর স্টিকার বসিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
একটু ঘুরতেই দেখা যায়- প্রতিটি দোকানের টিভির উপর স্যামসাং, এলজি, সনিসহ বিভিন্ন বিখ্যাত ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগানো।
কয়েকজন বিক্রেতার সাথে আলাপ করলে তারা জানান, তাদের সব পণ্যই আসল এবং এসব টিভি উন্নতমানের মালয়েশিয়ান পিকচারটিউব দিয়ে তৈরি। তাছাড়া এগুলো দামেও কম।
অবশ্য কোনো কোনো দোকানি স্বীকার করেন, এসব টিভির যন্ত্রাংশ চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে। তারপর বাংলাদেশে এনে ফিটিং করা হয়েছে।
একটি শো-রুমের ম্যানেজারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এসব টিভি চীন থেকে আনা হয়। এগুলো নিম্নমানের টিভি। এর উপর অন্যায়ভাবে বিভিন্ন ব্রান্ডের লোগো লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে গ্রাহকরা প্রতারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এক কোম্পানির লোগো কোনভাবেই অন্য কোম্পানির পন্যের উপর বসাতে পারে না। এটা মারাত্মক অন্যায়।’
অন্য এক শো-রুমের ম্যানেজারের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, কোম্পানির মনোনীত ডিলার বা শোরুম ছাড়া, আর সব দোকান অন্যায়ভাবে নিম্নমানের টিভিতে বিভিন্ন ব্রান্ডের লোগো বসিয়ে বিক্রি করে। এটা গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।
তিনি আরো জানান, প্রথমদিকে এসব টিভি সেটের পর্দায় ছবির মান খুব একটা খারাপ থাকে না। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই ঘটে বিপত্তি। সারানো উপায়ও নেই কারণ বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার মতন ব্যবস্থা এখানকার কোনো দোকানে নেই।
আরেক বিক্রেতা জানালেন, যারা বিভিন্ন ব্রান্ডের লোগো লাগিয়ে টিভি বিক্রি করছে তারা ক্রেতাদের টিভির সাথে কোন সেই ব্রান্ডের লোগো প্রিন্ট করা আছে এমন কার্টন বা বক্স দিতে পারে না। কারণ দামি ব্রান্ডের শো রুমের প্রতিটি পণ্যের সাথে নির্দিষ্ট বক্স দেয়া থাকে এবং সেই বক্সের গায়ে কোম্পানির লোগো, সিরিয়াল নং, মডেল নাম্বার এবং যাবতীয় কাগজপত্র দেয়া থাকে। এ ক্ষেত্রে অসাধু ক্রেতারা নানা অজুহাতে বিক্রিত পণ্যটি অন্য বক্সে ভরে ক্রেতাকে গছিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সংগঠন ক্যাবের চাঁদপুর জেলা সভাপতি জীবন কানাই চক্রবর্তী জানান, যারা অন্যায়ভাবে বিভিন্ন ব্রান্ডের লোগো লাগিয়ে টিভি বিক্রি করছে তারা ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছে। এধরনের অসাধু বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
সচেতন ভোক্তারা বলছেন, ‘মানুষের সাথে যারা এভাবে প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া অতি জরুরি।

বালিশে সাপ ধরার এই ভিডিও এখন ভাইরাল

বালিশের কাপড় দিয়ে সাপ ধরে চমক লাগিয়ে দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলাইনার এক মহিলা। তার সাপ ধরার কীর্তি ভিডিও করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দেয়া হয়। সেই ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল। ১ জুন ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতেই ৩৬ লাখ দর্শক তা দেখে ফেলেছেন।
ট্যাটু শিল্পী সানসাইন ম্যাককারি তার ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশের প্রসঙ্গে বলেন, ‘‌বাড়ি ফিরে দেখি আমার বসার ঘরে ৫–৬ ফুটের কালো রঙের একটি সাপ আরাম করছে।’‌ সেটাকে ধরতেই বালিশের কাপড় নিয়ে আসেন সানসাইন ম্যাককারি। সাপটিকে বালিশের কাপড়ের মধ্যে ভরে তিনি বাড়ির বাইরে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেন।
ম্যাককারির এই ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন ৩৭ হাজার জন এবং আট হাজার প্রতিক্রিয়া এসেছে এই ভিডিওর। ট্যাটু শিল্পীর সাহস দেখে অনেকেই তার সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন।
দেখুন সেই ভিডিও-     ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Friday, June 9, 2017

রোগীদের গর্ভে ডাক্তারের সন্তান, তাও আবার ১টি নয়, মোট ৬০টি!

রোগীদের গর্ভে ডাক্তারের সন্তান! তাও আবার একটি বা দু’টি নয়, মোট ৬০টি। নেদারল্যান্ডের স্বঘোষিত ‘বন্ধ্যাত্ব চিকিত্সার জনক’ ডাঃ জ্য কারবাতের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ যে নির্দিষ্ট ডোনারের পরিবর্তে তিনি রোগীদের গর্ভে নিজের শুক্রাণুই স্থাপন করে গেছেন বছরের পর বছর ধরে। আর এভাবে তাঁর ঔরসে জন্ম হয়েছে ৬০টি প্রাণের। তবে সেই ডাক্তার এখন আর পৃথিবীতে নেই, মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু তাহলে এতদিন পর কীভাবে সামনে এল এমন ‘চরম সত্য’?
সন্তান না হওয়ায় দম্পতিরা নেদারল্যান্ডসের ‘বন্ধ্যাত্ব চিকিত্সার জনক’ ডাঃ জ্য কারবাতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) করানোর জন্য নারীরা নিজেরাই স্বামী বা শুক্রাণুদাতাকেও নিয়ে আসতেন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দেখা গেল, সন্তান দেখতে তার বাবার মতো নয়, হুবহু ওই চিকিৎসকের মতোই। এমন একজন নারী নয়, অনেক নারী এ অভিযোগ করেছেন। কারণ, ওই চিকিৎসক নির্দিষ্ট দাতার শুক্রাণুর পরিবর্তে রোগীর গর্ভে নিজের শুক্রাণু প্রতিস্থাপন করতেন।
মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নেদারল্যান্ডসের আইভিএফ বিশেষজ্ঞ জ্যঁ কারবাতের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার এ অভিযোগ দায়ের করেছেন ২২ জন অভিভাবক ও তাঁদের সন্তানেরা। কারবাত ওই হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন। রটারডাম আদালতে অভিযোগকারীরা কারবাতের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর আবেদন করেছেন। তবে চিকিৎসক কারবাত আর পৃথিবীতে নেই। গত মাসে ৮৯ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারবাত কয়েক দশক ধরে ডাচ ফার্টিলিটি সেন্টার নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন। রোগীদের গর্ভে শুক্রাণু বদলের ঘটনা তিনি হয়তো অনেক আগে থেকেই করতেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালটি চালু থাকা অবস্থায় কারবাতের শুক্রাণু দিয়ে ৬০ জন সন্তানের জন্ম হয়েছে।
অভিযোগ জানানো নারীদের মধ্যে ৩৬ বছর বয়সী মনোবিদ মনিয়েক ওয়াসেনার আছেন। তিনি নিজেকে জ্যঁ কারবাতের শুক্রাণুর কারণে জন্ম নেওয়া সন্তান হিসেবে দাবি করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে বিচারক ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেবেন। আহলে নিশ্চিত হতে পারব, আসলেই আমরা তাঁর (কারবাত) সন্তান কি না।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেদের জ্যঁ কারবাতের শুক্রাণুর কারণে জন্ম নেওয়া সন্তান হিসেবে দাবি করা নারী ও পুরুষের সংখ্যা ১২ জন। তাঁদের বয়স আট থেকে ৩৬ বছর। আর কারবাতের তত্ত্বাবধানে আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হওয়া ১০ নারীর সন্তানেরা এখনো অনেক ছোট। ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কারবাত রটারডেমের কাছে একটি শুক্রাণু ব্যাংক পরিচালনা করতেন। তাঁর ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১০ হাজার সন্তানের জন্ম হয়েছে। ২০১৫ সালে নীতিগত কারণে ওই হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মনিয়েক ওয়াসেনার বেশ কয়েক বছর আগে বাড়িতে চিকিৎসক কারবাতের ছবি দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। দেখতে প্রায় একই রকম তাঁরা। এ থেকে তিনি নিশ্চিত হন কারবাতই তাঁর জন্মদাতা বাবা। একদিন কারবাতের সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। সব বলার পর কারবাত তাঁকে বলছিলেন, ‘তোমার হাত দেখাও, সম্ভবত তুমি আমারই সন্তান হবে।’ এরপর কারবাতকে তিনি ডিএনএ পরীক্ষা করানোর কথা বলেন। কিন্তু কারবাত অস্বীকার করেন। এরপর আর খোঁজ নেননি মনিয়েক। সম্প্রতি আরও অনেকেই একই অভিযোগ তুললে বিষয়টি জোরদার হয়ে ওঠে। সন্দেহ থেকে দুই নারী তাঁদের সন্তানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন, তাঁদের দুজনের সন্তান হাফ বায়োলজিক্যাল ব্রাদার। তাঁরাও সোচ্চার হয়ে ওঠেন। মনিয়েক তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে মামলা করেন।
শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক একটি সংস্থার আইনজীবী লরা বস। তিনিই এই মামলাটি পরিচালনা করছেন। তিনি বলেন, ‘দাতার শুক্রাণু থেকে জন্ম নেওয়া শিশুদের সমাজে অন্য শিশুদের মতোই একই ধরনের অধিকার রয়েছে। আমরা একটি মামলা করেছি। কারণ, সমাজে তাঁর প্রকৃত বাবার পরিচয় জানার অধিকার আছে।’
মনিয়েক ওয়াসেনার বলেন, ‘আমার ধারণা, আমি তাঁর (কারবাত) সন্তান। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হবই, এটা আমার বিশ্বাস।’
ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডাম একাডেমিক মেডিকেল সেন্টারের সেন্টার ফর রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রধান সোয়েরড রেপিং বলেন, ২০০৪ সালে নেদারল্যান্ডসে একটি আইন পাস হয়েছে। ওই আইনে বলা হয়েছে, শুক্রাণুদাতার শুক্রাণু থেকে কোনো সন্তানের জন্ম হলে ওই সন্তানের বয়স ১৬ বছর হলেই তাকে তা জানাতে হবে।