সত্যের সন্ধানে এক ধাপ এগিয়ে।
সংবাদ ও বিনোদন.
জাতীয়, রাজনীতি, ক্রীড়া, বিনোদন, ব্যবসা, শেয়ার বাজার, ইসলাম, প্রযুক্তি, শিক্ষা, আন্তর্জাতিক, জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্য, আইন ও মানবাধিকার, ওয়াইল্ড লাইফ, কিডস, বৈশিষ্ট্য, শিল্প ও সাহিত্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ,
> ব্রেকিং নিউজ, সর্বশেষ খবর,
> মোবাইল সংবাদ সহ সব ধরণের খবরের সার্বক্ষণিক আপডেট পেতে আমাদের ফেইসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন।
ফেইসবুক পেজ : All In All News
আজ বৃহস্পতিবার ১লা জুন,২০১৭ খ্রিঃ তারিখ দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮
অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এটি পাস হবে ২৯ জুন।
স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ
৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করে ১৯৭২ সালে। সেই বাজেটের ৪৬তম বাজেট নিয়ে
আসছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটির আকার হবে ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ
৪৫ বছরে বাংলাদেশের বাজেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে লক্ষ কোটি টাকায়।
এই হিসেবে সাড়ে চার দশকে বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের ফর্দ বাড়ছে ৫০০ গুণের বেশি।
স্বাধীনতা
পরবর্তী সময়ে সামরিক থেকে গণতান্ত্রিক বিভিন্ন সরকারে ১৪ জন অর্থমন্ত্রী
(অর্থ উপদেষ্টা অথবা সামরিক আইন প্রশাসক) ৪৫টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন এর
আগে।
তিন মেয়াদে সর্বোচ্চ বারোটি বাজেট দেওয়ার রেকর্ডটি প্রয়াত
অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের। তার উত্তরসূরি মুহিত এবার দেবেন তার
একাদশতম বাজেট।
অবশ্য টানা বাজেট দেওয়ার রেকর্ড মুহিত আগেই নিজের করে
নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের গত মেয়াদের (২০০৯-২০১৪) পাঁচটি বাজেটের সঙ্গে
এবারের তিনটি বাজেটের পর বৃহস্পতিবার টানা নবম বাজেট দিতে যাচ্ছেন তিনি।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৪ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা বাজেট হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মন্ত্রী
বলেন, বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে চার্জ না নিতে
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া যাদের ভালো গাড়ি ও বাড়ি রয়েছে তাদের
ট্যাক্স নির্ধারণ করে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এরআগে
২০১৬-১৭ অর্থবছরে জন্য ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট
উপস্থাপন করেছিলে আবুল মাল আব্দুল মুহিদ। আয়ের লক্ষ্যমাধ্যা ধরা হয়েছিল ২
লাখ ৪৮ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা।
হেফাজতে ইসলামের দাবি মেনে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরানোর
প্রতিবাদের মিছিল থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের
মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে পেটানোর জন্য শাহবাগে তার ওপর হামলার চেষ্টা
করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক জহিরুল কবির জহিরের
নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল কর্মী তাকে পেটানোর জন্য গেলে ইমরান এইচ সরকার
শাহবাগে পাবলিক লাইব্রেরির ভেতর দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।
ছাত্রলীগের এই সহ-সম্পাদক জানান, “মঞ্চের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে জনসম্মুখে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর
মানহানি করায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাকে শাহবাগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা
হয়েছে। এরপরেও আজ তাকে শাহবাগে দেখতে পাওয়ায় তাকে কুত্তার মতো করে পেটাতে
চেয়েছিলাম। কিন্তু পাবলিক লাইব্রেরির ভেতর দিয়ে সে পালিয়ে যাওয়ায় আজ পেটাতে
পারলাম না। ভবিষ্যতে ওকে যদি শাহবাগের ত্রি-সীমানায় দেখা যায় তবে এই
মূর্তিপূজককে এমনভাবে নেড়ি কুত্তার মতো করে পেটানো হবে যাতে ওর বাবা-মার
নামটাও ঠিকমতো মনে করতে না পারে।”
তবে ইমরান এইচ সরকারের মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিয়েও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় এই বিষয়ে তার মন্তব্য জানা যায়নি।
এই হামলার আগে গত সোমবার রাতে ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে শাহবাগে ইমরান সরকারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছিল।
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেখানে ইমরান এইচ সরকার ও সনাতনকে
(সংস্কৃতিকর্মী) যেখানেই দেখা হবে, সেখানে কুত্তার মতো পেটানো হবে” বলে
ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার পর তাকে শাহবাগে দেখা যাওয়ার পর তাকে এই দৌড়ানি
দেয়া হলো।
তিন বছর আগে ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বিএনপির ‘বড় নেতাদের নেড়ি কুত্তার মতো’ পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণ
আন্দোলনের সময় এর আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন ইমরান। শুরুতে ছাত্রলীগ এই মঞ্চের
সঙ্গে থাকলেও পরে সরে যায়, এখন বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ও কয়েকটি সাংস্কৃতিক
সংগঠন মঞ্চে সক্রিয়।
হেফাজতের ‘দাবি মেনে’ সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরানোর পর গত
বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইমরান বলেছিলেন,
মৌলবাদীদের ‘তুষ্ট করতে নোংরা রাজনৈতিক খেলায়’ নেমেছে সরকার, ‘আখের গোছাতে
ব্যবহার করছে’ ধর্মকে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে ইমরান এইচ
সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের এই মশাল মিছিল থেকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ওই
স্লোগান দেওয়া হয়েছিল
ওই স্লোগানের ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের
মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সোমবার রাতে মিছিল বের করেন
সংগঠনটির এক দল নেতা-কর্মী।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক স্লোগান দেয়ায় ঢাকা ও গাজীপুর সহ আরো
কয়েকটি জেলায় তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা করেছে ছাত্রলীগ নেতারা।
ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে অবস্থান জানিয়ে ছাত্রলীগ নেতা জহির বলেন, “পৃথিবীর কোথাও ন্যায়বিচার প্রতীক হিসেবে জাস্টিসিয়া ভাস্কর্য নেই।
“কোর্টের সামনে সেটা স্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু জাতীয় ঈদগাহের পাশে থাকায়
জামাত থেকে দেখা যায়। তাই সরানোর পরামর্শ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
প্রধান বিচারপতি বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরিয়েছেন, সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা
দেখিয়েছেন তিনি।”
মাইক্রোফোন হাতে কথা বলছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
পাশ থেকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ওয়েন মর্গ্যান। পাশাপাশি ছিলেন বিরাট
কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্সও। নিজের ব্যক্তিগত ফেইসবুক পাতায় ছবিটি পোস্ট
করেছেন মাশরাফি।
এই ছবি একটি নমুনা মাত্র। মঙ্গলবার রাতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স
ট্রফির ওপেনিং ডিনারে মাশরাফি এভাবেই মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন কথার জাদুতে। তার বোলিং, তার
নেতৃত্বগুণ, হাজারও প্রতিকূলতার সঙ্গে নিত্য লড়াইয়ের প্রশংসা তো কতই হয়। এবার বর্তমান-সাবেক
ক্রিকেটারদের প্রশংসায় সিক্ত হলেন কথার ঝলকে।
চার অধিনায়ককে নিয়ে অনুষ্ঠানে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। শুরুটা
ছিল মাশরাফিকে দিয়েই। এক যুগের বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলছে বাংলাদেশ। শুরুর
সময়ের মতো কোনো কোটায় নয়, বাংলাদেশ খেলছে র্যাঙ্কিংয়ের উন্নতি করে নিজেদের যোগ্যতা
দিয়েই।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফেরার প্রশ্নে তাই মাশরাফি গর্ব ভরে বলেছেন,
এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে কতটা যোগ্য দল বাংলাদেশ। তুলে ধরেছেন নিজেদের উন্নতির সোপান।
সাবেক তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে টপকে র্যাঙ্কিংয়ের
ছয়ে ওঠার কৃতিত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। আনুষ্ঠানিক আলোচনার বাইরে এমনি আলাপচারিতায়ও দারুণভাবে
তুলে ধরেছেন বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান ও এগিয়ে চলা।
অনুষ্ঠানে থাকা বর্তমান-সাবেক অনেক ক্রিকেটার পরে মাশরাফিকে
বাহবা দিয়েছেন দারুণ সব কথার জন্য। চাপড়ে দিয়েছেন পিঠ। সাবেক অনেকে দিয়েছেন উৎসাহ।
এবি ডি ভিলিয়ার্স কয়েকবার নিজে থেকে এসে মাশরাফিকে বলে গেছেন বাংলাদেশ দলের উন্নতি
দেখে তার মুগ্ধতার কথা।
ক্রিকেটের মাঠে এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের কাজটা খুব কঠিন।
তবে মাশরাফির সৌজন্যে ওপেনিং ডিনারে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশই!
আব্দুল মান্নান পল্টন, ময়মনসিংহ ব্যুরো: ময়মনসিংহের ভালুকায় ৬ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষনের পর হত্যার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি
ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের গফুর মৌলবীর মাজার সংলগ্ন
এলাকায়। আজ বুধবার সকালে গফুর মৌলবীর মাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে শিশুটির
রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত
শিশুর বাবার নাম আব্দুল হেকিম, বাড়ি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার
আকন্দপাড়া গ্রামে। আব্দুল হেকিম তার স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েকে নিয়ে
স্থানীয় হবিরবাড়ি ইউনিয়নের আজিজুলের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি
কারখানায় চাকুরি করেন বলে জানা গেছে।
জানা
যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আব্দুল হেকিমের ছয় বছর বয়সী শিশু কন্যা নিখোঁজ হয়।
সারা রাত খোঁজা খুঁজি করে বুধবার সকালে শিশুটির লাশ পাওয়া যায় বাড়ির পাশে
অবস্থিত বাঁশ ঝাড়ের নিচে। লাশ উদ্ধারের পর শিশুটির বাবা আব্দুল হেকিম, মা
বানেছা আক্তারের আত্মচিৎকারে ভারি হয়ে উঠে ভালুকার আকাশ বাতাস।
ভালুকা
মডেল থানার ওসি মামুন অর-রশিদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে –
ধষণের পর শিশু কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জুয়ার টেবিলের সামনে বসলে তার হুঁশ থাকে না। মাদকের নেশা না করলে ঘুম আসে
না। ইচ্ছা হলেই পরিচারক ও পরিচারিকাদের সঙ্গেও তিনি সঙ্গম করেন।যৌনদাসীর
সংখ্যাও অঢেল।এমন রাজপুত্ররটির নাম মাজেদ বিন আবদুল্লাহ বিন আবদুলাজিজ আল
সৌদ।তার বউয়ের সংখ্যা ৯। যার মধ্যে জুয়ায় বাজি ধরে হারালেন পাঁচজনকে!
বলতে গেলে একেবারে আধুনিক মহাভারত। প্রেক্ষাপট শুধু মিশর। মহর্ষি
ব্যাসদেবের ‘মহাভারত’-এ কৌরবদের সঙ্গে পাশা খেলতে গিয়ে পঞ্চপাণ্ডব যেভাবে
নিঃস্ব হয়ে শেষ মুহূর্তে তাঁদের স্ত্রী দ্রৌপদীকে বাজি ধরেছিলেন এই
রাজপুত্রের কাহিনিও ঠিক সেই রকমই।
কীভাবে? সৌদি আরবের এই কুখ্যাত রাজপুত্র সিনাই প্রদেশের গ্র্যান্ড
ক্যাসিনোয় ছ’ঘণ্টা ধরে জুয়া খেলছিলেন। মাদকের নেশায় হুঁশ খুইয়ে তাঁর
ধন-সম্পত্তির সমস্তটা বাজি রেখেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গে ছিল না। নিমেষে
উড়ে যায় তাঁর বাজি ধরা ১.৩৫০ বিলিয়ন রিয়াল।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ আাড়াই হাজার কোটি টাকার মতো। এরপরও তিনি
জুয়ায় অর্থ বিনিয়োগ করতে চান। কিন্তু কানাকড়ি কিছুই না থাকায় শেষপর্যন্ত
নিজের ৯ স্ত্রীয়ের বাজি রেখে খেলা শুরু করেন। এক-এক করে পাঁচ স্ত্রীকেও
খোয়ান মাজেদ। বিলাসবহুল জীবনযাপন ও নানা কেলেঙ্কারির জন্য বিশ্বখ্যাত
মাজেদ।
ওই ক্যাসিনোর মালিক আলি শামুন জানিয়েছেন, “ পাঁচ স্ত্রীকে বিক্রি করে ২৫
মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬১ কোটি টাকা) পেয়েছিলেন মাজেদ। তারপর পাঁচ স্ত্রীকে
এক ব্যক্তির দিকে ঠেলে দিয়ে ফের জুয়া খেলায় মনোনিবেশ করেন। এর আগে অনেকে
নিজের ঘোড়া, উট, বাড়ি বাজি ধরে জুয়া খেলেছেন। পরে আবার অর্থ দিয়ে ছাড়িয়ে
নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম কেউ বউদের বিক্রি করল এবং পরে তাঁদের ফিরিয়ে
নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করলেন না৷”
মিশর থেকে সৌদি আরবে ওই পাঁচ যুবরানিকে কীভাবে ফেরত পাঠাবেন সেই চিন্তাই
এখন কুড়েকুড়ে খাচ্ছে শামুনকে। তবে আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি রাজ
পরিবারের কেউ ফের ওই পাঁচ বউকে কিনে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও ক্যাসিনোর
কয়েকজন কর্মী অনুমান করছেন। তা না হলে কয়েক মাসের মধ্যে ওই মহিলাদের
ইয়েমেন, কাতারে নিলাম ডেকে বিক্রি করে দেওয়া হবে।
যদিও সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমন ঘটনায় দ্রুত দেনা মিটিয়ে
মহিলাদের ফিরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করা হবে। তবে যার জন্য এত অশান্তি তিনি কী
করছেন? গোপন সূত্রে খবর, মিশর থেকে তিনি এখন পালিয়েছেন। পশ্চিম এশিয়ার কোনও
একটি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
মধ্যরাতের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভারী
মাত্রার বজ্রবৃষ্টিতে নগরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ফলে রাতের
অন্ধকারে দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। জলাবদ্ধতা এমন আকার ধারণ করেছে যে,
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্তও নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে ছিল।
গতকাল সকালে ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত হানার পর সারা দিনই হালকা থেকে মাঝারি
ধরনের বৃষ্টি হয়। কিন্তু মঙ্গলবার রাত একটার পর থেকে মূলত ভারী বৃষ্টি শুরু
হয়; যা আজ ভোর পর্যন্ত চলে। আবহাওয়া দপ্তর অবশ্য আগে থেকেই ভারী
বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছিল।
পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর জানায়, বুধবার সকাল নয়টার পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪
ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২২৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
নগরের আগ্রাবাদ এলাকার সিডিএ থেকে বেলা ১টায় এই ছবি তোলা। ছবি: জুয়েল শীলবৃষ্টিতে
নগরের চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ সিডিএ, আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক, প্রবর্তক মোড়,
কাপাসগোলা, ষোলশহর, মেয়র গলি, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া, পাথরঘাটা,
হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। পানি ঢুকে যায় বিভিন্ন বাসা
বাড়িতে।
নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার বাসিন্দা মো. হুমায়ুন জানান, বৃষ্টি শুরু
হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যেই আবাসিকের রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর
এলাকার অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ে। রোজার দিনে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে।
বৃষ্টি ভোরে থেমে গেলেও আজ সকাল বেলাও নগরের ষোলশহর, মুরাদপুর, মেয়র গলি, আগ্রাবাদ এক্সেস সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে পানি জমে ছিল।
নগরের এক্সেস সড়কে দুপুর ১২টায়ও হাঁটু সমান পানি দেখা গেছে। এ সময় ওই
সড়কে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার দোকানি মো. হারুন বলেন, রাতে
এখানে গলা সমান পানি ছিল। এখন বৃষ্টি থামায় পানি কমেছে।
বৃষ্টির
পানি থেকে রেহাই দেয়নি আবাসিক এলাকা, দোকানপাট, বাজার কোনো কিছুকে। ছবিটি
আজ বেলা ১টায় নগরের আগ্রাবাদ এলাকার ব্যাপারী পাড়া থেকে তোলা। ছবি:
জুয়েল শীল
-চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষনায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পুরুষের যেসব মারাত্মক ক্ষতি হয় আসুন তা জেনে নেই।
-(১) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পেটের উপর কোনে চাপ পড়ে না। ফলে দূষিত বায়ু
বের হতে পারেনা। বরং তা উপর দিকে উঠে যায়। ফলে অস্থিরতা বা্ড়ে, রক্ত চাপ
বাড়ে, হৃদযন্ত্রে স্পন্দন বাড়ে, খাদ্যনালী দিয়ে বার বার হিক্কা আসতে থাকে ।
(২) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের থলি সরু ও লম্বা হয়ে ঝুলতে থাকে ফলে
প্রস্রাবের দূষিত পদার্থগুলো থলির নিচে গিয়ে জমা হয়। অথচ বসে প্রস্রাব করলে
প্রস্রাবের থলিতে চাপ লাগে ফলে সহজেই ওসব দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।
(৩) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে কিডনিতে অতি সহজে পাথর সৃ্ষ্টি হয় ।
(৪) দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের বেগ কমতে থাকে।
(৫) যারা নিয়মিত দাড়িয়ে প্রস্রাব করেন তাদের অবশ্যই শেষ জীবনে ডায়াবেটিস, জন্ডিস, কিডনী রোগ হবেই ।
(৬) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পুরুষের যৌন শক্তি কমতে থাকে এবং পুরুষাঙ্গ নরম ও
তেনা তেনা হয়ে যায় এবং সহজে সোজা ও শক্ত হতে চায় না। উত্তেজনার সময় যদিও
শক্ত হয় কিছুক্ষন পর কিছু বের না হতেই তা আবার ছোট ও নরম হয়ে যায় ।
(৭) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পরিবেশ দূষিত হয়। সেই দূষিত বায়ু আমাদের দেহে প্রবেশ করে বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি করে ।
(৮) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে তার ছিটা দেহে ও কাপড়ে লাগে ফলে তা দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে ।
–
স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলে উপরোক্ত দৈহিক সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের অতি অবশ্যই বসে প্রস্রাব করা উচিত।
অথচ সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:)
চৌদ্দশত বছর আগেই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন এবং বসে প্রস্রাব
করার আদেশ দিয়েছেন।
“ওমর (রা:) বলেন- নবী(স:) কোন একদিন আমাকে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে দেখে
বললেন, হে ওমর তুমি কখনই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করবে না। এরপর আমি আর কখনই
দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করিনি”। (তিরমীযি হাদীস/১২)
যাত্রী হেনস্থায় বার বার খবরের শিরোনামে এসেছে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের নাম।
কখনও যাত্রীকে মারতে মারতে রক্তাক্ত অবস্থায় টেনে হিঁচড়ে বিমান থেকে
নামানো, কখনও বা শিশু-সহ মহিলাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে এ বিমান সংস্থার
বিরুদ্ধে। এবার ঘটলো উল্টো ঘটনা।
আমেরিকান এয়ারলাইন্সের এক বিমানকর্মীকে আঁচড়ে-কামড়ে, জোর করে বিমান থেকে ঝাঁপ দিলেন এক যাত্রী।
গেলো সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এসেছে।
২২ বছরেরওই অভিযুক্ত যাত্রীর নাম টুন লন সেইন। তিনি উঠেছিলেন আমেরিকান
এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে।
ওই বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমান যখন ওড়ার প্রস্তুতি
নিচ্ছে ঠিক তখনই টুন নিজের আসন থেকে আচমকাই লাফ দিয়ে উঠে পড়ে বিমানের মূল
দরজা খোলার চেষ্টা করতে শুরু করেন।
তার কাণ্ডকারখানা দেখে এক বিমানকর্মী ও
দু’যাত্রী তাকে বাধা দিতে গেলে টুন ওই বিমানকর্মীকে কামড়ানোর চেষ্টা করেন
বলে অভিযোগ। আচমকা ওই হামলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। যতক্ষণে তারা
হামলার ধাক্কা সামলে উঠেছেন, তার আগেই দরজা খুলে বিমান থেকে লাফিয়ে পড়েন
টুন। কপাল ভাল, তখনও বিমানটি রানওয়েতে ছোটা শুরু করেনি!
এরপর যেখান থেকে জেট প্লেন ওঠা নামা করে, টুন সেখান থেকে ছুটে
ট্যাক্সিওয়েতে যাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু ট্যাক্সিওয়েতে পৌঁছনোর আগেই
বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে ধরে ফেলেন। টুন কেন এমন একটা কাণ্ড
বাধালেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। টুনের আপাতত ঠাঁই হয়েছে আমেরিকার নর্থ
ক্যারোলিনার ফেডারেল লকআপে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার প্রথম হলিউড ছবি ‘বেওয়াচ’ কয়েক দিন আগে মুক্তি
পেয়েছে। ছবির প্রচারণায় ইউরোপ ভ্রমণে বের হয়েছেন এই তারকা। এখন তিনি
জার্মানির বার্লিনে আছেন। সেখানেই তিনি সাক্ষাৎ পেয়েছেন ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু ঝামেলা বেধেছে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের
সময়, প্রিয়াঙ্কার পোশাক নিয়ে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পরনে তখন যে পোশাক ছিল,
তাতে তাঁর পায়ের অনেকটাই প্রদর্শিত হচ্ছিল। কিন্তু এ ধরনের বা এর থেকেও
খাটো পোশাকে প্রিয়াঙ্কাকে এর আগেও বহুবার দেখা গেছে। কিন্তু ভারতের
প্রধানমন্ত্রীর সামনে পদ যুগল প্রদর্শন করেছেন বলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
ভারতীয় কিছু নাগরিক সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীকে একবারে ধুয়ে দিচ্ছেন।
ভারতীয় সংস্কৃতিতে বড়দের সামনে পা উঠিয়ে বসা বেয়াদবি। প্রিয়াঙ্কা শুধু
যে মোদির সামনে পা বের করে বসেছেন, এটিই তাঁর একমাত্র ‘অপরাধ’ নয়। পা উঠিয়ে
বসে তিনি আরও বেশি ‘বেয়াদবি’ করেছেন। এ জন্য তাঁর ওপর খেপেছেন ভারতীয়
সমর্থকেরা। প্রিয়াঙ্কা অবশ্য এই সমালোচনা নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
ইনস্টাগ্রামে নিজের পা আরও বেশি প্রদর্শন করে একটি ছবি পোস্ট করেছেন এই
অভিনেত্রী। ছবিতে তিনি একা নন। তাঁর মা মধু চোপড়াও আছেন খাটো পোশাকে।
ছবিটির ক্যাপশন প্রিয়াঙ্কা দিয়েছেন, ‘Legs for days...’
‘বাড়িতে তখন আমি আর দাদি ছিলাম। ওরা গভীর
রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ওদের সঙ্গে কাদির মেম্বার (আবদুল কাদির) ছিল। ঘরে
ঢুকেই ধারালো অস্ত্রের মুখে আমার হাত-পা বেঁধে ফেলে তারা। আমি বললাম,
‘মেম্বার সাব আমারে বাঁচান, ওরা আমারে মেরে ফেলল।’ মেম্বার তখন ধমক দিয়ে
বলল, ‘চুপ থাক। নইলে শেষ করে দিব।’ তারপর ওদের চারজন একে একে আমার ওপর
ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। মেম্বার তখন সিন্ধুক ভাঙার কাজে
ব্যস্ত। আমি চিৎকার করছিলাম। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। একদিকে চলছিল আমাদের
বাড়ি লুটপাট, অন্যদিকে কয়েকজন হায়েনার মতো আমাকে নির্যাতন (ধর্ষণ) করতে
থাকে। আমি বাঁচার জন্য চিৎকার করছিলাম। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। নির্যাতন
শেষ হলে তারা হাতের বাঁধন খুলে দেয়। এ সময় আমি দৌড়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে
আশ্রয় নিই।’
২০ মে গভীর রাতে কুমিল্লার বরুড়ার ১৩নং
আড্ডা ইউনিয়নের পিলগিরি গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে সপ্তম শ্রেণীর এক
স্কুলছাত্রীকে এভাবে ফিল্মি স্টাইলে গণধর্ষণ করে একই গ্রামের একদল
দুর্বৃত্ত। একটি হত্যার বদলা নিতে এভাবে ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। অথচ
পুরো পরিবার এখন জানমালের ভয়ে এক রকম পালিয়ে বেড়াচ্ছে। থানায় মামলা করতে না
পেরে আদালতের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রভাবশালী মহলের চাপের
মুখে ধর্ষণ মামলা করতে পারেনি। তাদের দিয়ে সোমবার মেয়ে অপহরণের সাজানো
মামলা দায়ের করা হয়। ওদিকে ধর্ষিত মেয়েটিকেও হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।
এক ধরনের মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় মেয়েটি এখন পরিবারের সঙ্গে পালিয়ে
বেড়াচ্ছে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ধর্ষিত
স্কুলছাত্রীটি জানায়, বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০ মে দুপুরে
মারামারির মধ্যে লাঠির আঘাতে আবু তাহের (৫৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যান।
অভিযোগ আনা হয়, তার (স্কুলছাত্রীর) ভাইয়ের লাঠির আঘাতে আবু তাহের মারা
গেছেন। এরপর ভয়ে তাদের পরিবারের প্রায় সবাই পালিয়ে যান। সেদিন শুধু বাড়িতে
অবস্থান করছিল সে এবং তার বৃদ্ধ দাদি।
সেই রাতের ঘটনা : ধর্ষিত স্কুলছাত্রীটির
কাছে ঘটনার রাতটি ছিল এক বিভীষিকাময়। সে যখন পৈশাচিক ও বর্বরোচিত ওই ঘটনার
বর্ণনা দিচ্ছিল তখন মাঝে মাঝে ঢুকরে কেঁদে উঠছিল। আবার কখনও কখনও এক রকম
বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছিল। স্কুলছাত্রীটি জানায়, সেদিন গভীর রাতে ১৩নং আড্ডা
ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল কাদিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন
তাদের বাড়িতে হানা দেয়। কাদির মেম্বারসহ সবাই লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। এ সময়
আবুল হোসেন, শরিফুদ্দিন, নাসির মিয়া এবং রিমান হোসেন তাকে টেনেহিঁচড়ে
হাত-পা বেঁধে তার ওপর নির্যাতন চালায়। ধর্ষণ করে। অন্যরা ব্যস্ত ছিল
লুটপাটে। এদের মধ্যে সে নিহত আবু তাহেরের ছেলে ইউসুফ মিয়াকে চিনতে পারে।
দুর্বৃত্তরা চলে গেলে তার শরীরের ছেঁড়া জামা-কাপড় এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে
সংগ্রহ করে। এদিকে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত স্থানীয় ইউপি মেম্বার
আবদুল কাদির যুগান্তরকে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আবু তাহের খুন হওয়ার
পর আমি ঢাকা থেকে গ্রামে আসি। রাতে খুনির বাড়িতে কেউ যায়নি। তাদের বাড়িতে
কেউ লুটপাটও চালায়নি এবং কেউ সেখানে ধর্ষণের শিকারও হয়নি।’
১৩নং আড্ডা ইউপি চেয়ারম্যান জাফরউল্লাহ
চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, আমি এমন কোনো ঘটনার কথা শুনিনি। এ ধরনের কোনো ঘটনা
ঘটলে আমি জানতাম। এখানে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নরমাল হয়ে এলে হয়তো
সমঝোতা হবে। হত্যার ঘটনার সমঝোতা হয় না, বাদী আপস করলেও রাষ্ট্রপক্ষ মামলা
এগিয়ে নিয়ে যাবে। এমন কথা জানালে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বাদী চাইলে অনেক
কিছুই সম্ভব।
বরুড়া থানার ওসি মাহবুব মোরশেদ যুগান্তরকে
বলেন, আমাদের কাছে ধর্ষণ ও লুটপাটের কোনো অভিযোগ আসেনি। আপনারা বিষয়টি নিয়ে
খোঁজ করছেন শুনেই ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছিলাম। এমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি।
হত্যা মামলা হয়েছে। এ কারণে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হয়তো তারা এ ধরনের কথা
বলছে।
ইউপি চেয়ারম্যান এবং থানার ওসি বিষয়টি
অস্বীকার করলেও আড্ডা ইউপির এক মেম্বার নাম প্রকাশ না করার শর্তে
যুগান্তরকে বলেন, ঘটনার পর স্কুলছাত্রী পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ওই
প্রতিবেশীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারাই লজ্জা নিবারণ করতে ধর্ষিতাকে পোশাক
এনে দিয়েছে। তাই ধর্ষণের ঘটনা অবশ্যই ঘটেছে। তিনি বলেন, ঝগড়ার একপর্যায়ে
একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তাই বলে ধর্ষণ ও লুটপাট করে বদলা নেয়া
কোনোভাবেই মানা যায় না।
এদিকে যে প্রতিবেশী ধর্ষিত স্কুলছাত্রীকে
ঘটনার পরপরই একরকম উদ্ধার করে তার ছেঁড়া জামাকাপড় এনে দেন, তার সঙ্গে
প্রতিবেদক যোগাযোগ করেন। কিন্তু তিনি ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। ওই
প্রতিবেশীর ভাষ্য, ‘ভাই আমাদের তো এলাকায় থাকতে হবে। এজন্য আমার পক্ষে
কিছুই বলা সম্ভব নয়।’
স্কুলছাত্রীর দাদি যা বললেন : ঘটনার সময়
বাড়িতে ছিলেন স্কুলছাত্রীর বৃদ্ধ দাদি। তিনি জানান, রাতে চোখে দেখেন না
তিনি। সেদিন রাতে বাড়িতে অনেক লোক এসেছিল। তার স্কুলছাত্রী নাতনি অন্য ঘরে
ছিল। রাতে তার নাতনিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তখন তার নাতনি অনেক চিৎকার করেছে।
সেই চিৎকার প্রতিবেশীরাও শুনেছে। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসেছিল।
তারা পুরো বাড়িতে লুটপাট করে। বাড়িতে চারটি গরু ছিল। এগুলো নিয়ে গেছে।
এমনকি বাড়িতে গরুর খড়ও রেখে যায়নি।
তিনি এই প্রতিবেদককে গরুর ঘর দেখিয়ে বলেন, এ
ঘরেই চারটি গরু ছিল। এখন কোনো গরু নেই। বাড়ির একটি ঘরে প্রতিবেদককে নিয়ে
তিনি বলেন, এখানে কয়েক বস্তা ধান ছিল। কিন্তু সেদিন রাতে তারা বস্তায় ভরা
সব ধান লুট করে নিয়ে যায়।
স্কুলছাত্রীকে আসামি করার কারণ জানতে চাইলে
নিহত আবু তাহেরের ছেলে মামলার বাদী ইয়াছিন মিয়া বলেন, পুলিশ ঘটনার কথা শুনে
মামলার এজাহার লিখেছে। আমি শুধু স্বাক্ষর করে দিয়েছি। তাছাড়া তখন আমার
মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং লুটপাটের বিষয়ে জানতে
চাইলে তিনি বলেন, ‘ওইদিন আমি সারা রাত থানায় ছিলাম। সকালে লুটপাটের বিষয়ে
জানতে পারি। কারা করেছে, সেটা আমি জানি না। আমি বিষয়টি ওসি স্যারকে
বলেছিলাম।’ তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আপনার এতকিছু জানার দরকার নেই। আপনার বাবা
মারা গেছেন। তাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।’
লুটপাট এবং ধর্ষণের সময় আপনার ভাই ইউসুফ ছিল
বলে স্কুলছাত্রী অভিযোগ করেছে-এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ভাই (ইউসুফ) বাবার
লাশ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। সে লুটপাটের সময় সেখানে ছিল না। সূত্র-যুগান্তর
অনেকের কাছেই নাগরিকত্বের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পছন্দ। আপনি
যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেতে চান তবে আপনার জন্য রয়েছে EB-5
প্রোগ্রাম ।
সহজ, ঝামেলামুক্ত, স্বল্প সময়, ঝুঁকিহীন একটি নিশ্চিত প্রোগ্রাম হচ্ছে
EB-5। এই প্রোগ্রামটির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস,
ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নাগরিকত্ব লাভের দারুণ সুযোগ রয়েছে ।
চলুন জেনে নিই কী এই প্রোগ্রাম :
EB-5 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনকার্ড প্রোগ্রাম, যা ১৯৯০ সালে অভিবাসন
আইনে কংগ্রেস দ্বারা তৈরি করা একটি আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
এই প্রোগ্রাম অনুযায়ী, যে কোনো দেশ বা ধর্মের একজন বিদেশি নাগরিক
বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড ও স্থায়ী নাগরিকত্ব
অর্জন করতে পারেন। এ জন্য তিনি স্ত্রীসহ ২১ বছরের নিচে ও অবিবাহিত
ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে Regional Center-এর মাধ্যমে ন্যূনতম পাঁচ লাখ ডলার ও
আনুষঙ্গিক খরচ বিনিয়োগ করতে হবে, যা পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে
ফেরত পাওয়া যাবে।
এই প্রোগ্রামের আওতায় প্রথমে একটি গ্রিনকার্ড বিনিয়োগকারীদের জন্য
প্রাথমিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের সুবিধা দেবে এবং পাঁচ বছর
পরে নিশ্চিতভাবে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। ইবি ৫-এর সবিধা
এই প্রোগ্রামে কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো কোনো পয়েন্ট সিস্টেম নেই। সেই
সঙ্গে বয়সের সীমাবদ্ধতা বা ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতারও প্রয়োজন নেই।
কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতা ও আইনি জটিলতা ছাড়া অভিবাসন পাওয়ার এটাই
একমাত্র দ্রুততম মাধ্যম। এ জন্য কোনো চাকরির অফারেরও প্রয়োজন হয় না।
এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো অঙ্গরাজ্যে বসবাস করা সম্ভব। যে কোনো
অঙ্গরাজ্যে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। যিনি এই প্রোগ্রামের আওতায়
যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন, তাঁর সন্তানরা বিনামূল্যে দেশটির সরকারি স্কুলে
লেখাপড়া করতে পারবে।
চাকরি থেকে অবসরে গেছেন এমন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে যা যা লাগবে
• পাঁচ বছরের ব্যবসায়িক ট্যাক্সের প্রমাণপত্র
• অর্থনৈতিক বিবরণী
• পাঁচ বছরের ব্যাংকের কাগজপত্র
• করপোরেট কাগজপত্র
• কোম্পানির লভ্যাংশের প্রমাণ
• ব্যবসায়িক লেনদেনের দলিল
• জমি-জমার মালিকানার দলিলপত্র
• অন্যান্য আয়ের বিবরণী
• জীবনবৃত্তান্ত (বায়োডাটা)
• ব্যবসায়িক ও পেশাগত সব লাইসেন্স
• জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র
• বিবাহের সনদপত্র
• আট কপি ছবি
• পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
• পাসপোর্টের অনুলিপি। প্রসেসিং সময়
ইবি-৫ প্রোগ্রামে প্রসেসিং-এর জন্য ১২-১৫ দিন সময় প্রয়োজন হয়।
অভিবাসন আইন ও পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লেখক,
কলামিস্ট ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
আইনজীবী ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, আসলেই যাঁদের এই প্রোগ্রামে
আবেদন করার যোগ্যতা আছে, তাঁদের আর দেরি করা উচিত নয়। কারণ যে কোনো সময় আইন
পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। তবে অযোগ্য ব্যক্তিদের অযথা আবেদন করে দেশের
ভাবমূর্তি নষ্ট না করতেও তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আগ্রহী ব্যক্তিরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন
আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন
কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে।
আগ্রহীরা নিজেদের পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত ও বিজনেস প্রোফাইল পাঠাতে পারেন info@worldwidemigration.org এই ই মেইল ঠিকানায়। এ ছাড়া সরাসরি কথা বলতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ভাইবারে +৬০১৪৩৩০০৬৩৯ নম্বরে।
এ ছাড়া আরো জানতে ভিজিট করুন www.wwbmc.com
ওয়েবসাইটে। কিংবা রাজধানীর উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে
অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও খোঁজ নিতে
পারেন।
প্রাথমিক তথ্যের জন্য ফোন করতে পারেন ০১৯৬৬০৪১৫৫৫, ০১৯৯৩৮৪৩৩৪০, ০১৯৬৬০৪১৮৮৮, ০১৯৯৩৮৪৩৩৩৯ ও ০১৯৬৬০৪১৩৩৩ এই নম্বরগুলোতে।
ঈশ্বর রাসূল প্রেরণ করেছিলেন একটাই ধর্ম প্রচার করার জন্য ৷ মানে ঈশ্বরের কাছে নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করার জন্য ৷ আরবিতে এটা ইসলাম ৷
যদি আপনি কুরআন পড়েন ৷ আল্লাহ কুরআনে বলেছেন—
.
”নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন হল ইসলাম।
Al-Quran (Aal-i-Imraan No3 Verse No: 19)
.
আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ৷ ইসলাম মানে
আল্লাহতাআলার কাছে নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করা ৷ যদি আপনি সবগুলো ধর্মই দেখেন
৷ সর্বশক্তিমান আল্লাহ, নবী বা রাসূল প্রেরণ করেছেন এক ধর্ম প্রচারের জন্য
৷ সব নবী রাসূল আদম আঃ থেকে শুরু করে নূহ আঃ, মূসা আঃ, ঈসা আঃ, মুহাম্মদ
সাঃ সকল নবীগণই ৷ পবিত্র কুরআনে আছে —
.
”আমি তোমাকে সত্যসহ পাঠিয়েছি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।”
Al-Quran (Faatir No35 Verse No: 24)
.
আল্লাহ বলেন—
.
”যারা কুফুরী করেছে তারা বলে, ‘তার কাছে তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে কোন
নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না কেন?’ তুমি তো শুধু সতর্ককারী, আর প্রত্যেক
সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে একজন সঠিক পথ প্রদর্শনকারী।”
Al-Quran (Ar-Ra’d No13 Verse No: 7)
.
ভাই সকল নবীগণই যারা এসেছিলেন তারা কেবল সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে নিজের
ইচ্ছেকে সমর্পণের কথাই শিখিয়েছেন ৷ মূলকথা যা সকল নবীগণই শিক্ষা দিয়েছেন
একত্ববাদের কথা বলেছেন ৷ তিনি কাউকে জন্ম দেন নি, তার কোন মা নেই, তার কোন
বাবা নেই, তিনি কেবল একক, তার মত কোন কিছুই নেই ৷ আর সময়ের শ্রোতে
পূর্ববর্তী নবীগণ যা প্রচার করেছেন তা পরিবর্তন হয়েছে ৷ লেকচারে আমি বলেছি ৷
প্রায় সব ধর্মগ্রন্থ যেগুলো কুরআনের আগে এসেছে পরিবর্তিত হয়ে গেছে ৷
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে একাধিকবার বলেছেন যদি তিনি চাইতেন তবে সবাইকে
আত্মসমর্পণকারী বানাতে পারতেন ৷ মুসলিম বানাতে পারতেন ৷ ভাই মুসলিম
শব্দটাকে ধর্ম মনে করবেন না ৷ ইসলাম শব্দের অর্থ হল একটি দ্বীন একটি
জীবনব্যবস্থা ৷ নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করা ৷ আর মুসলিম মানে এরকম নাম থাকা
নয় যে আবদুল্লাহ, সুলতান, জাকির ৷ মুসলিম হল যে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে
সমর্পণ করে ৷ যদি আপনার ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পন করেন তাহলে আমি
আপনাকে বলব মুসলিম ৷ সুতরাং শুধু এই লেভেল দেখবেন না যে জাকির, সুলতান,
আবদুল্লাহ ৷ আরবিতে মুসলিম মানে যে নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করে ৷ যদি কেউ
নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করেন তিনি একজন মুসলিম ৷ সুতরাং সকল নবীগণই শিক্ষা
দিয়েছেন যে আমাদের ইচ্ছাকে সমর্পণ করতে হবে ৷ সবাই এক ঈশ্বরের কথা শিক্ষা
দিয়েছেন ৷ সবাই তাওহীদ শিক্ষা দিয়েছেন ৷ কিন্তু সময়ের আবর্তনে সব গ্রন্থই
পরিবর্তন হয়ে গেছে ৷ এই কারণে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সর্বশেষ এবং চূড়ান্ত নবী
মুহাম্মদ সাঃ কে প্রেরণ করেছেন ৷ এবং সর্বশেষ ও চূড়ান্ত বার্তা পবিত্র
কুরআন ৷ সকল নবী যারা মুহাম্মদ সাঃ এর আগে এসেছিলেন এবং সকল গ্রন্থ যেগুলো
পবিত্র কুরআনের আগে এসেছিল ৷ সেগুলো শুধু সে সময়কার লোকদের জন্য এসেছিল ৷
কুরআন চারটির নাম উল্লেখ আছে তাওরাত, যাবুর, ইনজীল এবং কুরআন ৷ তাওরাত হল
সেই ওহী বা ঈশ্বরের বাণী যা মূসা আঃ কে দেওয়া হয়েছিল ৷ যাবুর ঈশ্বরের পক্ষ
থেকে দাউদ (আঃ) কে দেওয়া হয়েছিল ৷ ইনজীল হল সেই ওহী বা ঈশ্বরের বাণী যা ঈসা
আঃ কে দেওয়া হয়েছিল ৷ আর কুরআন হল সর্বশেষ এবং চূড়ান্ত বার্তা, সর্বশেষ ও
চূড়ান্ত নবী মুহাম্মদ সাঃ কে দেওয়া হয়েছে ৷ কুরআন আরও বলছে —
.
”হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূলের, তাঁর রসূলের নিকট তিনি অবতীর্ণ
করেছেন সেই কিতাবের এবং পূর্বে নাযিলকৃত কিতাবের উপর ঈমান আন। যে ব্যক্তি
আল্লাহকে ও তাঁর ফেরেশতাদেরকে, তাঁর কিতাবসমূহকে, তাঁর রসূলগণকে এবং শেষ
দিবসকে অস্বীকার করে সে সীমাহীন পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।” Al-Quran (An-Nisaa
No4 Verse No: 136)
.
সুতরাং পূর্বেও কিতাব নাযিল করা হয়েছিল ৷ কিন্তু সব কিতাব যা কুরআনের আগে
এবং সকল নবী যারা মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগে এসেছিলেন তারা শুধু সেই সময় এবং
সেই সময়ের লোকদের জন্য প্রেরিত ৷ এ কারণেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সেগুলোকে
সংরক্ষণ করে রাখেন নি ৷ যেহেতু কুরআন সর্বশেষ এবং চূড়ান্ত বার্তা তাই এটা
শুধু মুসলিম বা আরবদের জন্য না ৷ এটা সমগ্র মানবজাতির জন্য এবং নবী
মুহাম্মদ সাঃ শুধু আরব বা মুসলিমদের জন্য নয় তাকে প্রেরণ করা হয়েছে সমগ্র
মানবজাতির জন্য আর একারণেই তার কথা উল্লেখ আছে বিশ্বের প্রধান প্রধান
ধর্মগ্রন্থ গুলোতে ৷ আর এই কিতাব পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন—
.
”নিশ্চয় আমিই কুরআন নাযিল করেছি আর অবশ্যই আমি তার সংরক্ষক।”
Al-Quran (Al-Hijr No15 Verse No: 9)
.
তার মানে আমরা দেখছি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর রাসূল প্রেরণ করেছিলেন একটাই ধর্ম
প্রচার করার জন্য ৷ মানে ঈশ্বরের কাছে নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করার জন্য ৷
আরবিতে এটা ইসলাম ৷ যীশু খ্রীষ্ট কখনোই খৃষ্টান ধর্ম প্রচার করতে আসেন নি ৷
খৃষ্টান শব্দটি যে বাইবেলে নেই সেটা কি আপনি জানেন? পুরো বাইবেলে খৃষ্টান
শব্দটি খুঁজে পাবেন না ৷ তিনি খৃষ্টান ধর্ম প্রচার করেন নি ৷ খৃষ্টান
শব্দটা দ্বারা মূলত এন্টিওয়াকে ( Antioch) যীশুর অনুসারীদের বোঝাতো [ Book
of Acts 11:26 ৷ ডাক নাম ৷ সুতরাং যীশু খ্রীষ্ট ইসলাম প্রচার করেছেন ৷ এটা
আছে—
.
“আমি নিজের থেকে কিছুই করতে পারি না৷ আমি (ঈশ্বরের কাছ থেকে) যেমন শুনি
তেমনি বিচার করি; আর আমি যা বিচার করি তা ন্যায়, কারণ আমি আমার ইচ্ছামতো
কাজ করি না, বরং যিনি (ঈশ্বর) আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁরই ইচ্ছাপূরণ করার
চেষ্টা করি৷
[Gospel of John 5:30] .
আরবিতে বললে তিনি ইসলাম প্রচার করেছিলেন ৷ সুতরাং আমরা দেখছি সব নবী রাসূলই
নিজের ইচ্ছাকে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করার শিক্ষা দিয়েছেন ৷ এজন্যই কুরআন
বলছে—
৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত নতুন একটি স্মার্টফোন তৈরি করছে
স্যামসাং। এ ফোনটি হবে নোট সিরিজের। এ সিরিজের ফোন বরাবরই প্রিমিয়াম ফোন
হিসেবে বাজারে ছাড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি। মার্কিন প্রযুক্তি
প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের নতুন আইফোন ও গুগলের পিক্সেল ফোনকে টেক্কা দিতে বড়
মাপের এই ফোন তৈরি করতে পারে স্যামসাং।
স্যামসাংয়ের নতুন এই ফোনটির তথ্য ফাঁস করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট
স্যামমোবাইল। এক প্রতিবেদনে স্যামমোবাইল দাবি করেছে, গ্যালাক্সি নোট ৮-এর
সামনের প্যানেলের ও ডিসপ্লের প্রথম ভিডিও তারা পেয়েছে। এতে দেখা গেছে, নোট
৮-এর ডিসপ্লে হবে ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি মাপের। এই ফোনটি গ্যালাক্সি নোট ৭-এর
চেয়ে দশমিক ছয় ইঞ্চি বড় মাপের। গ্যালাক্সি নোট ৭-এর ব্যাটারি বিস্ফোরণের
কারণে বাজার থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল স্যামসাংকে। নতুন স্মার্টফোনে
ডিসপ্লে প্যানেল গ্যালাক্সি এস ৮ ও এস ৮ প্লাসে ব্যবহৃত ইনফিনিটি ডিসপ্লের
মতোই হবে। এস ৮ প্লাসে ৬ দশমিক ২ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে
স্যামসাং। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, অ্যাপলের সম্ভাব্য আইফোন
৮-এর ক্ষেত্রেও বড় মাপের ডিসপ্লের ব্যবহার দেখা যাবে। গ্যালাক্সি নোট ৮ এ
ডিসপ্লের ওপর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেনসর ও পেছনে ডুয়াল ক্যামেরা যুক্ত করতে
পারে স্যামসাং। এ বছরেই ফোনটি দেখা মিলতে পারে। ফোনটি বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে
কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি। তথ্যসূত্র: ফোর্বস
অনলাইন।
রক্তচোষা বাদুড়ের (ভ্যাম্পায়ার ব্যাট) আক্রমণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিয়া প্রদেশের বাসিন্দারা। এই বাদুড়ের
আক্রমণে এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। এ ছাড়া এই বাদুড়ের কামড়ে
‘র্যাবিস’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে আরো ৪০ জন।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম ইদিভালসন ফ্রানসিসকো সোউজা (৪৬)। তিনি বাহিয়ার পারামিরিম শহরের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, খামারে গরুর দুধ দোহন
করছিলেন সোউজা। সে সময় একটি রক্তচোষা বাদুড় তাঁকে কামড়ে দেয়। এতে র্যাবিসে
আক্রান্ত হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সোউজার। ২০০৪ সালের
পর তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাদুড়ের কামড়ে মারা গেলেন।
স্থানীয় সময় শনিবার ওই বাদুড় দমনে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা
নেওয়া হয়। বাদুড় ধরে ও সেগুলোর গায়ে বিষাক্ত মলম লাগিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার
চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন মাস ধরেই বাদুড় বিভীষিকা
ছড়াচ্ছে। রাতের বেলা শুরু হয় তাদের আক্রমণ। অনেকেই ঘুম ভেঙে দেখতে পান
বিছানা রক্তে ভেসে গেছে। পায়ের আঙুল, গোড়ালি ও হাতের কনুইতে বাদুড়ের কামড়
থেকেই ওই রক্তের উৎপত্তি।
রক্তচোষা বাদুড়ের আক্রমণের শিকার ম্যাথিউস আন্দ্রাদে জানান, চলতি মে
মাসেই তাঁকে তিনবার বাদুড় কামড়েছে। তবে প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি। দ্বিতীয়
দিন কামড় খেয়ে টের পান যে সেগুলোর জন্য দায়ী বাদুড়। রক্তচোষা বাদুড়
কামড়ালে কোনো ব্যথা অনুভূত হয় না বলেও জানান ম্যাথিউস।
রক্তচোষা এই বাদুড়গুলো প্রায় আট ইঞ্চি লম্বা হয়। সেগুলো মানুষ ও পশুর
দেহ থেকে রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। শুধু আমেরিকা অঞ্চলে এই বাদুড় দেখতে পাওয়া
যায়।
নিজের ধর্ষককে ১১ বছর বয়সে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন ফ্লোরিডার বাসিন্দা
এক মার্কিন নারী। ছোটবেলায় পারিবারিক গির্জার ধর্মগুরুদের হাতে চারবার
ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন শেরি জনসন নামের এই নারী।
তিনি জানান, এর ফলে ১০ বছর বয়সে গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তদন্তকারীরা তার
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গেলে তিনি তাদের বলেন, ধর্ষককে বিয়ে করতে বাধ্য করছিল
তার পরিবার। এর মাধ্যমে শেরির পরিবার এক ধর্ষণকারীকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল।
মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনি আরো বলেন, ‘আমার মা আমাকে
জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি বিয়ে করতে চাই কি না। আমি বললাম, বিয়ে কী- আমি জানি
না। কীভাবে একজন স্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবো? তিনি বললেন- ওহ, আমার মনে হয়,
তোমাকে শিগগিরই আমরা বিয়ে দিতে যাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ২৭টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ফ্লোরিডা অন্যতম, যেখানে মা-বাবার অনুমতি নিয়ে শিশুদের বিয়ে বৈধ।
শেরি জানান, অল্প বয়সে বিয়ের কারণে তিনি নিয়মিত স্কুলে যেতে পারেননি। এর
পরিবর্তে তাকে তার বাচ্চার দেখাশোনা করতে হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নয়
সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এই নারী। আর্থিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে স্বামীর
সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে তার।
শেরির ভাষায়, ‘এটা ছিল ভয়ংকর জীবন।’ শেষ পর্যন্ত তাদের বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল।
পরে নিজের জীবন নিয়ে ‘ফরগিভিং অ্যান্ড আনফরগিভেবল’ নামে একটি বই
লিখেছিলেন শেরি জনসন। ওই বই পড়ে ফ্লোরিডায় বাল্যবিবাহ বেআইনি করার দাবিতে
সংসদে একটি বিল আনেন রাজ্য প্রতিনিধি সিনথিয়া স্ট্যাফোর্ড। ১৬ বছরের কম
বয়সী কোনো মেয়েকে বিয়ে না দেয়ার দাবি ছিল তার।
তবে শেষ পর্যন্ত তার বিল আর আইনে পরিণত হয়নি। চলতি বছর নিউ হ্যাম্পশায়ারে একই ধরনের একটি বিলে অনুমোদন দেয়নি সংসদ।
২০১১ সালের এক জরিপ মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ৯৪ লাখ নারীর বিয়ে হয়েছিল ১৬ বছরের কম বয়সে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইক্যুইটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ (ইইএফ) ফান্ড, নিজ
প্রতিষ্ঠানের পার্টনার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক
কোটি টাকা নিয়ে কানাডায় পালিয়ে গেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান উইন্ডমিল
ইনফোটেক ও ওয়ান কল সলিউশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম
রিয়াজউদ্দিন মোশারফ এবং তার সহধর্মিণী ও একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান
বুশরা আলম। যদিও ওই দম্পতি দাবি করেছেন, তারা কানাডায় ঘুরতে এবং নতুন
ভেঞ্চার চালু করতে গেছেন।
২৬ মে শুক্রবার তারা দেশ ছেড়েছেন। এর আগে এই দম্পতি যেন দেশের বাইরে
যেতে না পারে ও তাদের গ্রেফতার করার জন্য ২৩ মে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি)
ইমিগ্রেশন বিভাগে তেজগাঁও থানা থেকে চিঠি দেওয়া হয়। তবে এসবি’র ইমিগ্রেশন
বিভাগ দাবি করছে, তারা চিঠি পেয়েছেন ২৭ মে। ফলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব
হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজউদ্দিন মোশারফ ও বুশরা আলম কানাডায়
পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানতে পেরে আগে থেকেই বিষয়টি তেজগাঁও
থানায় অবহিত করেন তাদের পার্টনার সাব্বির রহমান তানিম। গত ২২ মে এই দম্পতির
বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা (মামলা নং ২৪) দায়ের করার পর দিনই তাদের
বিদেশ গমন প্রতিরোধ করতে এসবি'র বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর চিঠি
দেন তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সেন্টু মিয়াঁ।
চিঠিতে বলা হয়, ‘মামলার পলাতক আসামিরা কাওরান বাজারস্থ যৌথমূলধনী
কোম্পানি ও ফার্মের কার্যালয়ে বাদী ও সাক্ষীদের সই ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে
শেয়ার হস্তান্তর করেছে। আসামিরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সিলেট ও
চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
তাদের বিদেশ গমন প্রতিরোধ এবং গ্রেফতার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
ওই চিঠিতে মামলার কপি ও তাদের দুইজনের আলাদা পাসপোর্টের কপি সংযুক্ত করা
হয়। চিঠিতে জানানো হয়, প্রথম আসামি এবিএম রিয়াজউদ্দিন মোশারফের পাসপোর্ট
নম্বর বিএ০৫৮৬৮৯৮ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ২৬৯৯৫০১৯০১৪৮৭ এবং দ্বিতীয় আসামি
বুশরা আলমের পাসপোর্ট নম্বর এই৯১৬৩০৯৪ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
২৬৯৯৫০১৯০১৪৮৮।
তবে থানা, এসবি এবং ইমিগ্রেশনকে ফাঁকি দিয়ে গত ২৬ মে শুক্রবার রাতে তারা
দেশ ছেড়েছেন। রোববার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন
কম্পিউটার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টেকম্যানিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
তাসলিমা মিজি। তিনি নিজের পাওনা টাকা পাওয়ার জন্য নিউমার্কেট থানায় আরও
একটি মামলা করেছেন এবং অর্থ প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্ট নিয়ে পুলিশ বুশরার
মায়ের বাসায় গেলে বুশরার মা হোসনে আরা আলম জানান, তারা ২৬ তারিখ রাতে
কানাডায় চলে গেছেন।
এদিকে এবিএম রিয়াজউদ্দিন মোশারফ ও বুশরা আলম নিজেরাই কানাডায় চলে
যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাসলিমা মিজি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার
পরপরই তারা ফেসবুকে পাল্টা স্ট্যাটাস (একই পোস্ট) দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে তারা
জানিয়েছেন, কানাডাতে ছুটি কাটাতে এবং সেখানে নতুন ভেঞ্চার চালুর বিষয়ে কাজ
করতে গেছেন। দুইজনই তাদের স্ট্যাটাসে কানাডার আলবার্টার ক্যালগারিতে আছেন
বলেও চেক-ইনে উল্লেখ করেছেন।
ইমেগ্রেশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতারণা মামলার আসামি বিদেশ চলে যাওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী সাব্বির রহমান তানিম। তিনি প্রিয়.কমকে
বলেছেন, ‘আমরা তাদের কানাডায় চলে যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে আগে থেকেই
জানতে পেরেছিলাম। পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পরেও তারা কীভাবে বিদেশে পালিয়ে
গেল সেটা আমার বোধগম্য নয়।’
সাব্বির রহমান তানিম তার মামলার এজাহারে লিখেছেন, ‘মামলার আসামি এবং
আমার সাক্ষী সাকিল জোয়াদ রহিম ওয়ানকল সলিউশনস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি
প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত কোম্পানিতে সাকিল পরিচালক হিসেবে চার হাজার শেয়ারের
মালিক এবং এক নং আসামি এবিএম রিয়াজউদ্দিন মোশারফ ১২ হাজার শেয়ার ও দুই
নম্বর আসামি বুশরা আলম চার হাজার শেয়ারের মালিক হিসেবে কোম্পানির ব্যবসা
পরিচালনাকালে সাকিল উক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানির পরিচালক
হিসেবে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বিষয়টি আসামিদের জানানো হলে
আসামিদের সম্মতিতে সাকিল চার হাজার শেয়ার আমার নিকট হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত
নেয় এবং সেই অনুযায়ী শেয়ার হস্তান্তরের যাবতীয় কাগজপত্র ২০১৩ সালের ১০
সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত শেয়ারের মূল্য হিসেবে নগদ ১০ লাখ টাকা
আসামিদের দেওয়া হয়। ছয়টি ভিন্ন চেকে দেওয়া হয় আরও ২০ লাখ টাকা। আসামিদের
বার্ষিক বোর্ড মিটিং ও বার্ষিক সাধারণ সভা করার কথা বললে তারা নানান কারণে
কালক্ষেপণ করে। ব্যস্ততার কারণে এ বিষয়ে কোনো খোঁজ না নিলেও গত ১৭ মে জয়েন
স্টক কোম্পানিতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তারা আসামিগণ প্রতারণার উদ্দেশ্যে
শেয়ার হস্তান্তরের কাগজপত্র দাখিল করে নাই এবং শেয়ার হস্তান্তর না করেই
আমার ও সাকিলের সম্মতি না নিয়ে সাকিলকে পরিচালক এবং ইইএফ ডিভিশনের
(কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ বা
আইসিবি) পক্ষে প্রোগ্রামিং বিভাগের সিস্টেম অ্যানালিস্ট মাহবুবুর রহমানকে
২০১৪ সালের ২ মার্চ নমিনি পরিচালক নিয়োগ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইইএফ
ফান্ডের চার কোটি টাকা ঋণ প্রসেস করে এর মঞ্জুরিপত্র গ্রহণ করে। জয়েন স্টকে
জমা দেওয়া কাগজপত্রে আমি বা সাকিল কোনো স্বাক্ষর করি নাই এবং সম্পূর্ণ
জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক জাল স্বাক্ষর করে ও ভুয়া কাগজপত্র আসামিগণ দাখিল
করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইইএফ ফান্ডের প্রথম কিস্তির ৯৬ লাখ টাকা
ইতোমধ্যেই উত্তোলন করেছেন। আসামি কর্তৃক পরিচালিত ওয়ানকল সলিউশনস লিমিটেড
নামের কোম্পানিটির কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম বর্তমানে চালু নেই এবং
আসামিগণ প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ টাকা
আত্মসাত করে বিদেশে চলে গেলে একদিকে যেমন সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতির
সম্মুখীন হবে। অন্যদিকে এই ঋণের সাথে কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট না থেকেও এর
দায়িত্ব আমাকে বহন করতে হতে পারে। এ বিষয়ে গত ৭ মে আমার আইনজীবীর মাধ্যমে
রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে আসামীদের লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেছি।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে আসামিরা ওয়ানকল সলিউশনস লিমিটেড, উইন্ডমিল ইনফোটেক
লিমিটেড, বেবিটিকা, দেশিফুল নামের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোগ
পরিচালনা করেছে। আর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন
সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্য এবিএম রিয়াজউদ্দিন মোশারফ এর আগে বেসিসের
পরিচালক পদে নির্বাচনও করেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে পুলিশের এসবি’র ইমিগ্রেশন বিভাগের পুলিশ সুপার ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রিয়.কমকে
জানান, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে আমার এখানে শতশত কাগজ আসে বলে একটি বিশেষ
কাগজের কথা মনে রাখা সম্ভব না। আর চিঠি আমাদের কাছে প্রোপারওয়েতে আসতে হবে।
একটি থানা থেকে যখন কোনো বিষয় উত্থাপন হয়, তখন এটা সংশ্লিষ্ট ডিসি অথবা
জেলার এসপির মাধ্যমে আমার কাছে চিঠিগুলো আসে। আমরা চিঠি রিসিভ করার সাথে
সাথেই সিস্টেমে আপ করে দেই। এখন ধরেন ২৩ তারিখের চিঠি আমার কাছে ২৭ তারিখে
আসে তাহলে তো আমি এটা ধরতে পারব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় আমাদের কাছে আর্জেন্ট বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
যেমন বনানী ধর্ষণ ইস্যু বা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু হলে আমরা তাৎক্ষণিক
পাসপোর্ট স্টপ করে দিতে পারি।’ এদিকে তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)
মোহাম্মদ সেন্টু মিয়াঁ প্রিয়.কমকে বলেছেন, ‘আগামীকাল ৩১ মে বুধবার আসামিদের মালামাল জব্দ করার প্রস্তুতি চলছে।’
একটি ছবি হাজারটি কথা বলে। মঙ্গলবার সকালে তেমনি এক ঘটনা ঘটলো কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায়।
ঘূর্ণিঝড়
'মোরা'তে যখন বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘর। তখন মানুষগুলো আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর দিকে
ছুটছে। যে যার মতো নিরাপদে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ঠিক সে সময় ঘটলো এই ঘটনা!
চারদিকের
এই বিপদের মধ্যে তখন একটি হাঁসের বাচ্চা পেল নিরাপদ আশ্রয়স্থল। সেই
আশ্রয়স্থলটি আর কেউ নয়। সেটি হলো- একটি বিড়াল। বিড়ালটি বুকের মধ্যে নিজের
বাচ্চা'র মতো আগলে রেখেছে হাঁসের বাচ্চাটিকে। এটি বিশ্বাস অযোগ্য হলেও
বিষয়টি সত্য।
কোন বিপদ সংকেতের কি মানে?
উপকূলে সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝরের পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদফতর ঝরের
তীব্রতার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন সতর্কতা সংকেত জারি করে থাকে। তবে অনেকেই
এসব সংকেত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। এর ফলে নদীপথে ভ্রমণকারী এবং উপকূলবাসী
অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদের সম্মুখীন হন। তাই এসব সংকেতের অর্থ জানা এবং সে
অনুযায়ী নদীপথে ভ্রমণকারী এবং উপকূলে বসবাসকারীদের জন্য জরুরি। আসুন জেনে
নেওয়া যাক কোন সংকেতের কি মানে।
১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত :- এর অর্থ বঙ্গোপসাগরের কোনো একটা অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে এবং সেখানে ঝড় সৃষ্টি হতে পারে৷
২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত :- সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে৷
৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত:- এর অর্থ বন্দর দমকা হাওয়ারসম্মুখীন৷ (দুইটি লাল পতাকা)।
৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত :- এর অর্থ বন্দর ঝড়ের সম্মুখীনহচ্ছে, তবে বিপদের আশঙ্কা এমন নয় যে চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷
৫ নম্বর বিপদ সংকেত :- এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের
কারণে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের
দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক
দিয়ে)৷
৬ নম্বর বিপদ সংকেত :- এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের
ঝড় হবে এবং আবহাওয়া দুযোগপূর্ণ থাকবে৷ ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক
দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷ (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)৷
৭ নং বিপদ সংকেত :- এর অর্থ অল্প অথবা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড় হবে এবং
এজন্য আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে৷ ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে
অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রমকরতে পারে৷ (তিনটি লাল পতাকা)।
৮ নং
মহাবিপদ সংকেত :- এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হবে এবং বন্দরের আবহাওয়া খুবই
দুর্যোগপূর্ণ থাকবে৷ ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম
করতেপারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)৷
৯ নম্বর মহাবিপদ
সংকেত :- এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ
থাকবে৷ ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করার
আশঙ্কা রয়েছে (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)৷
১০ নম্বর
মহাবিপদ সংকেত :- এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া
দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঘূর্ণিঝড়টির বন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে
উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷
১১ নম্বর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন
হওয়ার সংকেত :- এর অর্থ ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সাথে সমস্ত যোগাযোগ
ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এবং স্থানীয় অধিকর্তার বিবেচনায় চরম
প্রতিকূল আবহাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
তিন বছর পর বাংলাদেশে বিড়ি থাকবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনরত
বিড়িশ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিড়ি ইজ ডেঞ্জারাস ফর
হেলথ দেন সিগারেট।’
এ সময় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিড়িশ্রমিক নেতাদের তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়।
বিড়িশ্রমিকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বিজয়
কৃষ্ণ দে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ মহীউদ্দিন।
বিড়িশ্রমিক নেতাদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এটা করার অধিকার আপনাদের নেই।’
এ সময় অর্থমন্ত্রীর সামনে বিড়িশ্রমিকদের পক্ষে পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন
ডা. শেখ মহীউদ্দিন। তিনি বলেন, বিড়ির ওপর ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০
শতাংশ। অন্যদিকে সিগারেটের ওপর ট্যাক্স কমানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। এটা হলে
বিড়িশিল্প ধসে পড়বে। লাখ লাখ বিড়িশ্রমিক বেকার হয়ে যাবে।
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো সিদ্ধান্ত নিয়েছি দুই বছর পরে
বাংলাদেশে আর বিড়ি রাখব না।’ তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর
আর কোন দেশে বিড়ি আছে?’
জবাবে ডা. শেখ মহীউদ্দিন বলেন, ভারতে আছে।
অর্থমন্ত্রী আবার প্রশ্ন করে বলেন, পাকিস্তানেও কি নেই?
ডা. শেখ মহীউদ্দিন বলেন, না পাকিস্তানে নেই, ভারতে আছে।
তারপরেও কোনো অবস্থাতেই প্রাণঘাতী বিড়িকে বাংলাদেশে রাখা হবে না বলে
জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই বিড়িকে থাকতে দেওয়া
হবে না।’
ডা. শেখ মহীউদ্দিন বলেন, ‘আপনি বিড়ি বন্ধ করে সিগারেট মানুষের হাতে তুলে দিতে পারেন না। এটার অধিকার আপনার নেই।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা তো বিড়ি খাইয়েও মানুষকে মারতে পারেন না। এটার
অধিকারও আপনাদের নেই। আমি যখন ছাত্র ছিলাম। তখন নাজিমউদ্দিন রোডে অনেক
বিড়ির কারখানা দেখেছি। এখন একটাও নেই। বিড়ি ইজ সো ব্যাড, সিগারেট থেকে।’
এ পর্যায়ে ডা. শেখ মহীইদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কাছে এক হাজার কোটি টাকার
কাঁচা তামাক পড়ে আছে কাঁচামাল হিসেবে। আমরা এগুলো এখন কী করব? আপনি তো
আমাদের অভিভাবক।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক আছে, আপনাদের দুই বছর না তিন বছর সময় দেওয়া হলো।
এর মধ্যে সব শেষ করে ফেলেন। আমরা সিগারেটের পক্ষেও না। সেটা নিয়েও কাজ
চলছে।’
সবশেষে মহীউদ্দিন বলেন, ‘আপনার কোমল হাত দিয়ে বিড়ির ওপর ২০০ পারসেন্ট
ট্যাক্স বৃদ্ধি করতে পারেন না। আপনাকে কেউ ভুল বুঝিয়েছে। এটা আমরা বিশ্বাস
করি না।’
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘না না না। এটা আমি নিজেই করেছি। আমি বুঝেশুনেই
করেছি। বরং প্রধানমন্ত্রী এটাতে রাজি ছিলেন না। আমিই প্রধানমন্ত্রীকে
বুঝিয়ে এটা করেছি।’
ভয়ঙ্কর এক কাজের বুয়া। কাজের অন্তরালে
রয়েছে তার দুর্ধর্ষ কাহিনী, শুনলে আঁতকে উঠবেন। রাজধানীর অভিজাত এলাকায়
ঘুরে ঘুরে কাজ নেয়া তার পেশা। এ কাজে রয়েছে তার একটি গ্রুপ। ওই গ্রুপের
প্রধান পারভীন আক্তার শাহীনুর ওরফে আলপিনা খাতুন। বয়স তার ২৮। তিনি
রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বাসা-বাড়িতে বুয়ার কাজ নেন। এরপর লুটে নেন সর্বস্ব।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে এ চক্রের আরো ৬
সদস্যকে আটক করেছে। বাসা-বাড়িতে ঢুকে সর্বস্ব লুটে নেয়া চক্রের অন্যতম
পারভিন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশে।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, বাসা-বাড়ির লোকজনকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে
স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়াই তার নেশা। পরপর দুটি ঘটনার পর তাকে আটক করে
পুলিশ। পরে রিমান্ডে তার দেয়া তথ্যে এ চক্রের আরো ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উদ্ধার করা হয় চুরি করা স্বর্ণ।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার
(উত্তর) শেখ নাজমুল আলম বলেন, গত ৫ মার্চ দুপুরের ঘটনা। গুলশান-২ এর ৩৬
নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়ির ই/১ ফ্ল্যাটে কাজের বুয়া হিসেবে কর্মরত ছিল
পারভীন আক্তার। বাসাটির আলমারির তালা ভেঙে ৬০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার চুরি
করে নেন তিনি। এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
তিনি
জানান, মামলার তদন্তকালে ডিবি উত্তর গুলশান জোনাল টিমের তদন্তকারী অফিসার
কাজের বুয়া পারভিনকে গত ৪ মে তার নিজবাড়ি নেত্রকোনা থেকে গ্রেপ্তার করেন।
এরপর তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে তার নিজ বসত বাড়ির টিনের ঘরের মাটির নিচ
থেকে ১৮ ভরি ওজনের স্বর্ণের হার উদ্ধার করা হয়। তাকে রিমান্ডে পেয়ে ব্যাপক
জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে এ চক্রের শুভ বণিক (২০), ভানু
লাল বণিককে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ব্রাহ্মনবাড়ীয়া থেকে অমৃত
দেবনাথকে (৫০) গ্রেপ্তার করে তার থেকে তিন ভরি ওজনের গলানো স্বর্ণ উদ্ধার
হয়।
এ ঘটনার আগেও বারিধার এলাকার খন্দকার
জামিল উদ্দিনের বাসা হতে ২৭ ভরি ওজনের স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের অলঙ্কার চুরি করে
পালিয়ে যায় পারভিন। এ ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়। মামলার আসামী পারভিনকে
সনাক্ত করা হয়। ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার শ্যামগঞ্জ বাজারের স্বর্ণকার
কৃষ্ণ চন্দ্র কর্মকারকে চোরাই স্বর্ণ কেনার অপরাধে ও সুজন বণিককে (২৮)
ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার লাখী বাজার হতে গ্রেপ্তার করলে ২৫ পিস ডায়মন্ড উদ্ধার
করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রত্যেকেই পারভিনের কাছ থেকে চোরাই স্বর্ণ ও
ডায়মন্ড ক্রয়ের কথা স্বীকার করেন।
গোয়েন্দা পুলিশ আরো বলছে, এই চক্রের কাজ
রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ঘুরে ঘুরে কাজের বুয়া হিসেবে বাসায় প্রবেশ করা।
এরপর সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালিয়ে যাওয়া। বাসায় কাজের বুয়া
নিয়োগের ক্ষেত্রে বাসার মালিকদের আরো সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ গোয়েন্দা
পুলিশের।
সুপ্রিমকোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য
অপসারণের প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের মশাল মিছিলে প্রধামন্ত্রীকে ’কটূক্তির’
প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার ও সনাতন উল্লাসকে
শাহবাগ ও ঢাবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
একইসাথে
হেফাজতে ইসলামের দাবি মেনে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদের
মিছিল থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র
ইমরান এইচ সরকারকে ‘কুত্তার মতো’ পেটানোর হুমকি দিয়েছেন ছাত্রলীগের বর্তমান
ও সাবেক একাধিক নেতা।
সোমবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ
কর্মসূচি শেষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা’ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত,
রাষ্ট্রদ্রোহিতা, প্রধানমন্ত্রীর মানহানি, আদালত অবমাননা ও তথ্য-প্রযুক্তি
আইন অনুযায়ী সুস্পষ্ট অভিযোগ ও তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে গণজাগরণ
মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায়
বিভিন্ন ধারায় একাধিক মামলা দায়েরের ঘোষণা দেন।
শাহবাগে
মিছিল শেষে সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক
গোলাম রাব্বানী বলেন, “এই ইমরান এইচ সরকারকে শাহবাগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।
“ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেখানে ইমরান এইচ সরকার ও সনাতনকে
(সংস্কৃতিকর্মী) যেখানেই দেখা হবে, সেখানে কুত্তার মতো পেটানো হবে।”
এর
আগে গত তিন বছর আগে ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল
আলম বিএনপির ‘বড় নেতাদের নেড়ি কুত্তার মতো’ পেটানোর হুমকি দিয়ে ব্যপক
সমালোচনায় পড়েছিলেন । সাবেক এই ছাত্রনেতা আবারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ইমরান এইচ সরকারকে তার শ্বশুরালয়ে গিয়ে ‘কষে থাপ্পড়’ মারার ঘোষণা দিয়েছেন।
নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া পোষ্টে নাজমুল লিখেন,
শেখ
হাসিনার বরাদ্দকৃত মিন্টু রোডের বাসায় থাকছ ঘুমাছ মল-মূত্র ত্যাগ করছ কর
আমরা তো দেখতেও যাইনা কিন্ত বেয়াদবী টা আর করিছ না । তুই চিন্তা করতে পারোছ
তুই কি ? তুই কত কোটি মানুষের কলিজায় হাত দিছোস একবার ভাবছোস । কারোর
কিছুই করা লাগবোনা যেদিন আসবো সরাসরি তোর শশুরের বাড়িতে গিয়েই তার সামনে
তোকে দুইটা কইষা থাপ্পর মারবো । পারলে যেনো কিছু করে তোর শশুর ।সজীব ওয়াজেদ
জয় ভাই বলার পরও যারা ওকে বয়কট করননি আর যাই হোক আপনারা আমাদের
শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারেন না
এর
আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের
জামাতা ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন ওই মিছিলে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে
দেয়া বিভিন্ন কটূক্তিমূলক স্লোগান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগ
নেতা-কর্মীদের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
সেদিনের
ওই মিছিলে স্লোগান দেয়া গণজাগরণমঞ্চের কর্মী সনাতন উল্লাসকে ‘যেখানেই
পাওয়া যাবে, সেখানেই পেটানো হবে’- এমন ঘোষণাও আসে সংগঠনটির বর্তমান ও
সাবেক নেতাদের দেয়া ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্টে।
এ
বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিবারকে
নিয়ে যারাই কটূক্তি করবে তাদের কোনো ছাড় নয়। আমরা ইমরান এইচ সরকার ও সনাতন
উল্লাসকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি। তাদেরকে
দেখা মাত্র প্রতিরোধ করা হবে।’
তিনি
আরও জানান, সেদিনের মিছিলে যে স্লোগান দেয়া হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ
জানাই। ইতিমধ্যে আমাদের নেতাকর্মীদের অনেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন এবং
থানায় মামলা করতে গেছেন।
এদিকে,ছাত্রলীগ নেতাদের নানা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘কে কী বললো- তা নিয়ে বিচলতি নই’!
ইমরান
এদিকে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ও প্রতিরোধের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় গণজাগরণ
মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘এটা এক ধরনের প্রকাশ্য হুমকি।
এর আগেও বিভিন্ন সময় সত্য বলায় আমাদের হুমকি দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের
দায়িত্ব নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা। যখন কোনো দলীয় ক্যাডাররা একজন
মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের কারণে এ ধরনের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে- তখন এ
রাষ্টের গণতন্ত্র ও স্বাধীন মত প্রকাশের অবস্থা কি- তা সহজেই বোঝা যায়।
সরকারের দায়িত্ব তার এ ক্যাডার বাহিনীকে সামাল দেয়া। কারণ এতে খুব স্পষ্ট
প্রতীয়মান হচ্ছে- সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে পারছে না। স্বাধীন
মত প্রকাশকে ভয় পাচ্ছে। সেকারণেই তার ক্যাডাররা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
স্বাধীন মত প্রকাশের কারণে কে কী বললো- তা নিয়ে বিচলতি নই।’
তিনি
আরো বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। দেশের বিভিন্ন সংকটে
গণজাগরণ মঞ্চ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে রাজপথে থেকেছে। এতে দল-মত
নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ অংশ নিয়েছে। ভাস্কর্য অপসারণ বিরোধী
আন্দোলনেও তাই হয়েছে। সেখানে সবাই, সবার মতো করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আমরা
সবসময় বিভিন্ন অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে
এসেছি। প্রতিবাদের এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’
প্রসঙ্গত,
গত বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইমরান বলেছিলেন,
মৌলবাদীদের ‘তুষ্ট করতে নোংরা রাজনৈতিক খেলায়’ নেমেছে সরকার, ‘আখের গোছাতে
ব্যবহার করছে’ ধর্মকে।
যে ব্যক্তি আকাশের দিকে দুহাত তুলে ‘হে আল্লাহ, হে আল্লাহ’ বলে দোয়া করে
অথচ তার খাবার, পানীয়, পোশাক অবৈধ এবং তার রক্ত-মাংস সৃষ্টি হারাম
উপার্জনে, তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে
ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহনকারী ৭ তারকা
মহান আল্লাহ
তায়ালা ক্ষমাশীল, দয়ালু। তাঁর কাছে মন থেকে তওবা করে ক্ষমা চাইলে তিনি
নিশ্চয় তা মাফ করে দেন। তাই বছরের শ্রেষ্ঠ মাস পবিত্র রমজানে মহান আল্লাহ
তায়ালার সন্তুষ্ঠি অর্জনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত বন্দিগীর মধ্যে দিয়ে
কাটায়।
আল্লাহ বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। অন্যত্র
বলেছেন, যখন কোনো বান্দা আমার কাছে দোয়া করে, আমি তার দোয়া কবুল করি।
রসুল (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে বান্দার দোয়ার চেয়ে মূল্যবান বস্তু কিছুই
নেই (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)। রমজান দোয়া কবুলেরও মাস। রসুল (সা.) বলেন,
ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না (ইবনে মাজাহ)।
অন্যত্র বলেছেন, দোয়া সব ইবাদতের মূল (তিরিমিজি)। তবে দোয়া কবুলের পূর্ব
শর্ত হলো বৈধ উপার্জন ও খাদ্য। রসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আকাশের দিকে
দুহাত তুলে ‘হে আল্লাহ, হে আল্লাহ’ বলে দোয়া করে অথচ তার খাবার, পানীয়,
পোশাক অবৈধ এবং তার রক্ত-মাংস সৃষ্টি হারাম উপার্জনে, তার দোয়া কীভাবে কবুল
হবে (মুসলিম)?
পূর্ণ মনোযোগ ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মুনাজাতের আহ্বান জানিয়েছেন নবীজী
(সা.)। ঘোষণা করেছেন, উদাসীন ও অমনোযোগীদের দোয়া কবুল করা হয় না এবং
রোজাদার ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না। (তিরমিজী)
তুমি দোয়া মুনাজাতের উপযুক্ত সময়। রোজা, তুমি এমন নও যে, তোমাকে বিদায়
দেওয়া যায়। কিন্তু তুমি আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছো, এই বিরহ-বেদনায় আমরা কাতর।
আগামী বছর তোমার অপেক্ষায় থাকলাম।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ১০১
কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়
‘মোরা’। মার্কিন নৌ-বাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা কেন্দ্র এ
তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এ সতর্কতা
কেন্দ্র বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলীয়
অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ‘মোরা’। তীব্র বেগে আছড়ে পড়া ‘মোরা’ আঘাতস্থলে
স্থায়ী হতে পারে সর্বোচ্চ ১ মিনিট পর্যন্ত। তবে ঝড়ের গতিবেগ এর চেয়েও বেশি
হতে পারে।
মার্কিন নৌ-বাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ
ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা কেন্দ্র বলছে, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত এসব তথ্য শুধুমাত্র
পরামর্শের জন্য দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে ব্যক্তিগত
নিরাপত্তার জন্য জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক
যোগাযোগ অথবা আবহাওয়া কেন্দ্রের সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ শক্তিশালী আকার
ধারণ করে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসার আগে শ্রীলঙ্কায় ভারি বর্ষণে সৃষ্ট
বন্যা ও ভূমিধসে দেশটির অন্তত ২০১ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গত
কয়েকদিন ধরে দেশটিতে ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এ প্রাণহানি
ঘটেছে। দেশটির অন্তত ৫ লাখ মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়া
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাব ও বজ্রপাতে
অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। বিহারের এটি গ্রামীণ এলাকার বাজারে বজ্রপাতের
ঘটনা ঘটেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, বঙ্গোপসাগরের
দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা,
মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ও অরুণাচল প্রদেশে আঘাত হানতে পারে বলে
সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।
এর আগে গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে
শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি-ঘরের ছাদ পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। এতে
ব্যাহত হয়েছে অন্তত ৫ লাখ ৫৭ হাজার মানুষের স্বাভাবিক জীবন। এদের অনেকেই
দেশটির রাবার চাষের সঙ্গে জড়িত।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের
চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত হানতে পারে বলে
বার্তাসংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আন্দামান
দ্বীপপুঞ্জ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও
রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ উপকূলের দিকে সরে আসায়
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও এসব এলাকার
পাশ্ববর্তী দ্বীপগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে
পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিতে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ দল। সেখান টাইগারদের সাথে দেখা করতে টিম হোটেলে ভিড় জমাচ্ছেন সমর্থকরা।
শুধু
বাংলাদেশি নন, ভিনদেশের সমর্থকরাও হাজির হচ্ছেন হোটেলের সামনে। এদিকে
বিদেশি এক ভক্তের সঙ্গে মাশরাফির দেখা হলে কেঁদে ফেলেন সেই ভক্ত। একটি
বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন খবর।
উল্লেখ্য,
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল লড়াইয়ের আগে চলছে প্রস্তুতি ম্যাচ। প্রথম
প্রস্তুতিতে পাকিস্তানের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হারে বাংলাদেশ।
১
জুন স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে মাশরাফিদের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যাত্রা। ৫ জুন ইংল্যান্ডের ওভালে নিজেদের দ্বিতীয়
ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। আর গ্রুপ পর্বের নিজেদের শেষ
ম্যাচ ৯ জুন কার্ডিফের সুফিয়া গার্ডেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে
মাশরাফি বাহিনী।
স্বাস্থ্য ডেস্কঃ বেশি বেশি আলু, টমেটো বা
শসা খেলে বিপদে পড়তে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা তাই অতিরিক্ত আলু,
টমেটো ও শসা খেতে নিষেধ করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ স্টিভেন
গান্ড্রি বলেছেন, তিনি স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সঙ্গে লেকটিনস নামের
একধরনের প্রোটিনের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। এই প্রোটিন সাধারণত শসা, টমেটো,
দানাদার শস্য, সয়, মরিচ ও দুগ্ধজাত পণ্যে থাকে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত আলু, টমেটো ও শসা খেলে যে প্রোটিন শরীরে যুক্ত হয়, তাতে আলঝেইমারের মতো রোগ সৃষ্টি হয়।
গবেষকেরা বলেন, লেকটিনস পেটের জন্য খারাপ। এ ছাড়া অন্যান্য সমস্যা তৈরি
করতে পারে। এর মধ্যে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও
রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের গবেষক টম
গ্রিনফিল্ডও একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি বিভিন্ন রক্তগ্রুপের মধ্যে
লেকটিনসের প্রভাব পরীক্ষা করে দেখেছেন। তিনি বলেছেন, এ প্রোটিনটি মস্তিষ্কে
সমস্যা তৈরিতে ভূমিকা রাখে। একেক মানুষের ক্ষেত্রে এ প্রভাব একেক রকম হতে
পারে।
গবেষক গ্রিনফিল্ড বলেন, লেকটিনস
মানুষের শরীর, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রক্তের স্তর পরিবর্তন করতে পারে।
ইনসুলিন গ্রহণ বন্ধ করে রক্তনালির ওপর প্রভাব ফেলে, এমনকি মস্তিষ্কেও
প্রভাব ফেলতে পারে।
ডেভিড জোকারস নামের
আরেক গবেষক বলেছেন, শরীরে পুষ্টি গ্রহণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় লেকটিনস। এতে
নানা সমস্যা তৈরি হয়। তথ্যসূত্র: জিনিউজ।
বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী মানুষের কথা মনে
হলেই আমাদের সামনে চলে আসে বিল গেটস, কার্লোস স্লিম, ওয়ারেন বাফেট,
রথচাইল্ড কিংবা রকফেলার পরিবারের নাম। আর তরুণ ধনকুবের হিসেবে বিশ্বব্যাপী
পরিচিত ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। কিন্তু যদি বলা হয়, আরও
অনেক আগে ১৪ শতকে পশ্চিম আফ্রিকার এক ধনকুবের তাদের সবার চেয়ে অনেক বেশি
সম্পদের মালিক ছিলেন।
আপাত আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এটাই সত্য। ১৪
শতকের সেই ধনকুবেরের কাছে বিল গেটসরাও নস্যি। ২০১২ সালে ইতিহাসের ধনী
ব্যক্তিদের সম্পদের পরিমাণ নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে গবেষণা
সংস্থা ‘সেলিব্রেটি নেট ওয়ার্থ’। এতে ওই ধনকুবেরকে বিশ্বের সর্বকালের
সবচেয়ে ধনী মানুষের খেতাব দেয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনও
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষের তালিকায় শীর্ষে রেখেছে তাকে।
তবে
কে এই ব্যক্তি? বিশ্বের সর্বকালের সেরা ধনী ওই ব্যক্তির নাম মানসা মুসা।
‘মানসা’ তার নামের অংশ নয়; উপাধী। এর অর্থ সুলতান বা সম্রাট। মুসার পুরো
নাম ‘প্রথম মুসা কিতা’। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির সুলতান হওয়ার কারণে
তাকে মানসা খেতাবে ভূষিত করা হয়। মানসা ছাড়াও কমপক্ষে আরো ডজনখানেক উপাধী
ছিল তার। তাকে প্রথম মুসা, মালির আমির, ওয়াংগারা খনির সম্রাট, কনকান মুসা/
কানকো মুসা, মালির সিংহ, গঙ্গা মুসা ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়।
মানসা মুসার জন্ম আনুমানিক ১২৮০ সালে এবং
মৃত্যু ১৩৩৭ সালে। তিনি ছিলেন মালি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সান্দিয়াতা
কিতার ভাগ্নে। ১৩০৭ সালে ৩২ বছর বয়সে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি
প্রথম আফ্রিকান শাসক, যিনি ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপকভাবে প্রভাব
বিস্তার করতে পেরেছিলেন।
মুসা মালির দশম মানসা। ২০১২ সালের জরিপ
মতে, ৪০ হাজার কোটি ডলারের মালিক ছিলেন মুসা। যেখানে ২০১৭ সালে ফোর্বসের
হিসাব মতে, বিল গেটসের নেট সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
মানসা মুসার প্রাসাদ
শুধু সম্পদ নয়, বিশাল একটি সেনাবাহিনীও
ছিল তার, যাকে আজকের দিনে বলা যায়, ‘সুপারপাওয়ার আর্মি’। তার সেনাবাহিনীতে
সদস্য ছিল দুই লক্ষাধিক, যার মধ্যে ৪০ হাজারই ছিল তীরন্দাজ। তখনকার দিনে
এত সংখ্যক সেনাবাহিনী ছিল কল্পনাতীত। ক্ষমতায় আরোহণের পর আফ্রিকার ২৪টি বড়
বড় শহর জয় করেছিলেন তিনি।
মুসা ছিলেন একাধারে দক্ষ শাসনকর্তা, ধর্ম
প্রচারক, শিক্ষা ও বিজ্ঞান অনুরাগী এবং অত্যন্ত দানশীল ব্যক্তিত্ব।
ইউরোপকেও তিনি এতোটা প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন যে তাদের আঁকা আফ্রিকার
মানচিত্রে মুসার ছবি ব্যবহার করা হতো।
মুসার মক্কায় হজ করতে যাওয়ার একটি ঘটনা
আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে খুবই আলোচিত। মালির এই শাসক মনে করতেন,
ইসলামে প্রবেশ মানে হচ্ছে একটি সভ্য সাংস্কৃতিক দুনিয়ায় পদার্পণ। নিজের
সাম্রাজ্যের মধ্যে ধর্ম প্রসারের কাজেই বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকতেন তিনি।
১৩২৪-২৫ সালের মধ্যে হজ করতে গিয়েছিলেন মুসা। ওই সময় তার সঙ্গে ছিল ৬০
হাজার মানুষ। এদের মধ্যে ১২ হাজার ছিল সেবক।
এসব সেবকের প্রত্যেকের সঙ্গে ছিল একটি করে
সোনার বার। এছাড়া ৮০ থেকে ১০০টি উট ছিল বহর, যেগুলো প্রত্যেকটি প্রায় ১৪০
কেজি করে স্বর্ণ বহন করছিল। যাত্রাপথে কয়েকশ কোটি টাকা মূল্যের সোনা
বিতরণ করেন তিনি। এত বেশি স্বর্ণ বিতরণ করেছিলেন যে পরের কয়েক বছর কায়রো,
মক্কা এবং মদিনায় স্বর্ণের দাম একেবারেই নেমে গিয়েছিল। এতে অবশ্য শহরগুলোর
অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বেড়ে গিয়েছিল মুদ্রাস্ফীতি।
মুসার এই হজযাত্রায় সঙ্গী হন তার প্রথম
স্ত্রী। এছাড়া নিযুক্ত ছিলেন আরো ৫০০ সেবিকা। কাফেলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষক,
চিকিৎসক, সরকারি কর্মকর্তা ও সংগীতশিল্পীও ছিলেন। কথিত আছে, প্রতি
জুমাবারে একটি করে মসজিদ নির্মাণ করতেন তিনি। মক্কায় হজ পালনের পর আরব
বিশ্বের একটি বড় অংশ ঘুরে বেড়াতে থাকেন এই পশ্চিম আফ্রিকান শাসক।
ইউরোপীয়দের আাঁকা আফ্রিকার মানচিত্রে মুসার ছবি
তখন মক্কাবাসীর জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা দেখে
অভিভূত হয়ে পড়েন তিনি। ফেরার সময় সেখান থেকে বহু উট বোঝাই করে চিকিৎসা,
জোতির্বিদ্যা, দর্শন, ভূগোল, ইতিহাস, গণিত এবং আইন বিষয়ে প্রচুর বই নিয়ে
আসেন। এছাড়া মক্কার সবচেয়ে মেধাবী এবং সেরা গণিতবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ও
স্থাপত্যবিদদের আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসেন মালিতে। ইসলামি শিক্ষাভিত্তিক
অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং নিজের সাম্রাজ্য থেকে উত্তর
আফ্রিকার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক শিক্ষার্থী প্রেরণ করেন মুসা।
বলা হয়ে থাকে, ওই হজে মুসা আজকের দিনের
প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড ওজনের স্বর্ণ ব্যয় করেছিলেন। মালি
সাম্রাজ্যের প্রায় ৪০০ শহরকে আধুনিক রূপ দিয়েছিলেন আলোচিত এই শাসক। তার
নির্মিত উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যের মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব শাঙ্কোর, হল
অডিয়েন্স, গ্র্যান্ড প্যালেস ইত্যাদি রয়েছে।
আফ্রিকার বিশাল অংশজুড়ে বিস্তৃত ছিল মুসার
সাম্রাজ্য। তার সময়েই মালি সাম্রাজ্য সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করে।
ইতিহাসবিদদের মতে, তার সাম্রাজ্যের আয়তন ছিল প্রায় ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৪
বর্গকিলোমিটার। বর্তমান সময়ের মালি, আইভরি কোস্ট, মৌরিতানিয়া, সেনেগাল,
নাইজার, গাম্বিয়া, বুর্কিনা ফাসো, গিনি, গিনি বিসাউ, ঘানা ইত্যাদি দেশগুলোও
তখন মালি সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল।
মক্কায় হজপালনকালেই মুসা খবর পান, তার
জেনারেল সাগমান্দিয়া গাও শহর দখল করেছে। বিজয়ের পর শহরটি সফর করতে যান
তিনি। সেখানে গিয়ে গাও সম্রাটের দুই পুত্রকে বন্দিদশা থেকে মুক্তি দেন এবং
মালি সাম্রাজ্যের রাজধানী নিয়ানিতে নিয়ে আসেন। তাদের দুই ভাইকেই
উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। মালির থিমবুকতু শহরকে বৃত্তিপ্রাপ্ত মুসলিমদের
শিক্ষাকেন্দ্রে পরিণত করেন এই সম্রাট। একইসঙ্গে শহরটি হয়ে ওঠে বাণিজ্য এবং
সংস্কৃতি চর্চার একটি কেন্দ্রও। ভেনিস, গ্রানাডা এবং জেনোয়ার মতো ইউরোপীয়
শহরগুলোতে যখন এই বাণিজ্যকেন্দ্রটির সংবাদ পৌঁছায় তখন সেখানকার ব্যবসায়ীরা
দ্রুত এটিকে তাদের বাণিজ্যিক শহরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নেন।
মুসার সময় থিমবুকতু শহরের শাঙ্কোর
বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার আইন বিশেষজ্ঞ, জ্যোতির্বিদ
এবং গণিতবিদদের একটি মিলনমেলা। ১৩৩০ সালে পার্শ্ববর্তী মোসি সাম্রাজ্য
থিমবুকতু দখল করে নেয়। সঙ্গে সঙ্গেই সেনাবাহিনী পাঠিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ
পুনর্দখল করতে সক্ষম হন মানসা মুসা।
মালি সাম্রাজ্য
ওই শহরের রাজপ্রাসাদটি ধ্বংস হয়ে গেলেও
এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় এবং মসজিদগুলো। তার
সময়েই লাইব্রেরি অব আলেকজান্দ্রিয়ার পর আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম
শিক্ষাকেন্দ্রে পরিণত হয় ইউনিভার্সিটি অব শাঙ্কোর। সেই সময়ে
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২৫ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী বিদ্যার্জন করতো এবং
পাঠাগারে ছিল এক লাখেরও বেশি বই।
টানা ২৫ বছর মালি শাসন করে ১৩৩২ সালে
মৃত্যুবরণ করেন বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তি। তবে মৃত্যুর
সঠিক কোনো কারণ এখনও উদ্ধার করতে পারেননি ইতিহাসবিদরা। মৃত্যুর সাল নিয়েও
আছে বিতর্ক। ইতিহাসবিদ ইবনে খালদুনের মতে, কমপক্ষে ১৩৩৭ সাল পর্যন্ত বেঁচে
ছিলেন তিনি। ওই বছরই আলজেরিয়া বিজয়ে সেনাবাহিনী পাঠিয়েছিলেন মুসা।
আজ (২৯মে) সোমবার ভারতীয় নৌ-বাহিনী এক
বিবৃতিতে বলেছে, ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় যদি বাংলাদেশের সহায়তার
প্রয়োজন হয়; সেলক্ষ্যে নৌ-বাহিনীর পূর্বাঞ্চল বহরের জাহাজগুলো সর্বোচ্চ
প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ শক্তিশালী আকার
ধারণ করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ উপকূলের দিকে সরে আসায়
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও এসব এলাকার
পাশ্ববর্তী দ্বীপগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে
পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এছাড়াও এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনা,
পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং
জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে
চার-পাঁচ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়া
অধিদফতর জানিয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসাম, মেঘালয়,
ত্রিপুরা, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশসহ পশ্চিমবঙ্গেও
প্রচুর বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
দেশের সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের অভিনয়জীবন দেড় যুগের। প্রথম
সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয়েছিল ইরিন জামানের সঙ্গে। ‘অনন্ত ভালোবাসা’ নামের এই
সিনেমার পরিচালক ছিলেন সোহানুর রহমান সোহান। পর্দায় অভিষেক ইরিনের সঙ্গে
হলেও শাকিব প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেন নবাগত কারিশমা শেখ নামের একজন নায়িকার
বিপরীতে। ১৯৯৯ সালে চুক্তিবদ্ধ হওয়া এই সিনেমার নাম ‘সবাই তো সুখী হতে
চায়’ চলচ্চিত্রে। আফতাব খান টুলু পরিচালিত এ ছায়াছবির মাধ্যমে তিনি প্রথম
ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন।
১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পাওয়া ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমা দিয়ে শাকিব
আলোচনায় আসেন। শাকিব ও ইরিন দুজনেরই এটি ছিল প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত
চলচ্চিত্র। সিনেমা হিসেবে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ খুব একটা সফল না হলেও নায়ক
শাকিব খান ঠিকই সবার নজর কাড়তে সক্ষম হন। ১৮ বছরের পরিশ্রমে শাকিব খান
দেশের সিনেমার এক নির্ভরতার নাম। তবে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তাঁকে আজকের
অবস্থানে আসতে হয়েছে। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে অনেক নায়িকা তাঁর বিপরীতে নায়িকা
হয়ে পর্দায় এসেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত জুটি হিসেবে শাকিবের সঙ্গে
দর্শকেরা অপুকে বেশি দেখেছেন। এখন পর্যন্ত শাকিব খানের অভিনয়জীবনের
সর্বাধিক ছবির নায়িকা অপু বিশ্বাস। তাঁরা দুজন একসঙ্গে প্রায় ৬৫টির বেশি
সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এখন তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। গত এক দশকে শাকিব-অপু জুটি
হয়ে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি
টাকার কাবিন’ এই দুজনের প্রথম সিনেমা। প্রথম সিনেমা ব্যবসাসফল হওয়াতে
তাঁদের জুটি করে নির্মাতারা একের পর এক সিনেমা বানাতে শুরু করেন। শাবনূরের
সঙ্গেও জুটি হয়ে কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান। দুজন মিলে দারুণ
কিছু ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। শাবনূর ও শাকিব প্রথম অভিনয় করেন ‘গোলাম’
ছবিতে। ২০০৯ সালের পর আর একসঙ্গে কাজ করেননি তাঁরা। শাবনূরের সঙ্গে ‘ফুল
নেব না অশ্রু নেব’ সিনেমায়ও শাকিব আলোচনায় আসেন। মৌসুমীর সঙ্গেও জুটি
হয়ে কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান। প্রথমে একসঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয়
করলেও পরে ভাইবোনের চরিত্রে কাজ করেন কয়েকটা ছবিতে। এই দুজনের সবচেয়ে
আলোচিত সিনেমা ‘দেবদাস’। শাকিব খানের অভিনয়জীবনের অন্যতম হিট সিনেমা
‘আমার প্রাণের প্রিয়া’তে নায়িকা হয়েছিলেন সাহারা। অপুর পরপরই শাকিবের কাছে
গুরুত্বপূর্ণ নায়িকার আসনে ছিলেন সাহারা। হুট করে বিয়ে করে এখন পুরোদস্তুর
সংসারী তিনি। ‘আজকের দাপট’ ছবিতে তরুণ জুটি বলে বিবেচিত হয়েছিলেন
শাকিব-পূর্ণিমা। এই জুটিকে দারুণ সম্ভাবনাময় ভাবা হয়েছিল। যদিও বাস্তবে
একটি-দুটি হিট ছবির বাইরে খুব বেশি আলোচনায় আসেননি তাঁরা। যে কয়টা সিনেমায়
তাঁরা অভিনয় করেছেন, দুজনকে পর্দা বেশ মানিয়ে যেত। একসময়ের আলোচিত নায়িকা
মুনমুনের সঙ্গে অভিনয় করেছেন শাকিব। ‘বিষে ভরা নাগিন’ ছিল এই জুটির প্রথম
সিনেমা। প্রথম সিনেমা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং শাকিব ও মুনমুন আলোচনায়
আসেন। এরপর তাঁরা দুজন আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন। মুক্তির দিক দিয়ে
শাকিবের দ্বিতীয় সিনেমা ‘দুজন দুজনার’-এ নায়িকা ছিলেন পপি। শুরুর দিকে
একটি ভালো জুটি গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীকালে খুব একটা
এগোয়নি। এঁদের বাইরের কেয়া, রত্না, মিম, বিন্দু, শখ, রোমানা, সিমলা,
ববিসহ আরও অনেকের সঙ্গে অভিনয় করেছেন শাকিব। দেশের বাইরের নায়িকাদের মধ্যে
শাকিব যাঁদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন, তাঁরা হলেন স্বস্তিকা, শ্রাবন্তী,
শুভশ্রী। এদিকে গত বছরে শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করে বেশ আলোচনায় এসেছেন
নতুন নায়িকা বুবলী। সংবাদপাঠিকা থেকে সিনেমায় অভিনয়ে এসে রীতিমতো বাজিমাত
করেছেন তিনি। শাকিব খানের বিপরীতে প্রথম সিনেমা ‘বসগিরি’ ও ‘শুটার’ নামের
দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এখন তাঁরা তাঁদের চার নম্বর সিনেমা ‘রংবাজ’-এর
কাজ করছেন। কিছুদিন আগে এই জুটি শেষ করেন ‘অহংকার’ ছবির কাজ।