আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ধর্ষক
আর কেউ নন নিজের চাচাতো ভাই। সেই ভাইয়ের কাছে বিকৃত লালসার শিকার হয়ে
বিচার চেয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে। পঞ্চায়েত সেই ধর্ষকের শাস্তি দেওয়া
তো দূরের কথা, উল্টো সেই তরুণীর বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ
এনে তাকে মৃত্যদণ্ডের শাস্তি দেয়! পাথর নিক্ষেপ বা অন্যকোনো উপায়ে
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা বলা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের প্রাদেশিক
রাজধানী লাহোর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাব প্রদেশের রাজানপুরে।
১৯
বছর বয়সী ভুক্তভোগী ওই তরুণীর নাম শুমাইলা। পঞ্চায়েতের ঘোষণা শোনার পর
গ্রাম থেকে পালিয়ে যান তিনি। গত শনিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
শুমাইলাকে একটি সরকারি সেফহোমে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশের কাছে চাচাতো ভাই
খলিল আহমেদের সঙ্গে কোনো ধরনের ‘অবৈধ’ সম্পর্কের কথা নাকচ করে দেন সেই
তরুণী।
শুমাইলার অভিযোগ, খলিল অস্ত্রের
মুখে তাকে ধর্ষণ করেছেন। ধর্ষণের অভিযোগ পঞ্চায়েত গ্রহণ করেনি। তারা খলিলের
বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ
এনে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি গ্রাম থেকে পালিয়েছেন।
এদিকে শুমাইলার বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত মানতে তাকে
বাধ্য করা হচ্ছিল।
এদিকে পুলিশ
জানিয়েছে, পাকিস্তানের আইনে পঞ্চায়েতের রায়ে এ ধরণের সাজা প্রদান সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ। তবে প্রত্যন্ত কিছু অঞ্চলে প্রায়ই পাথর ছুঁড়ে হত্যার খবর শোনা
যায়। শুমাইলার অভিযোগের ভিত্তিতে তারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের বিরুদ্ধে
একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
No comments:
Post a Comment