এস আই মুকুল, ভোলা প্রতিনিধি:
 নিম্নমানের গুঁড়াদুধ, আটা-ময়দা ও রাসায়নিকের সঙ্গে টিস্যু পেপার মিশিয়ে 
তৈরি হচ্ছে ভেজাল ছানা। যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ছানায় 
মিষ্টি বানিয়ে বিক্রি করছে চরফ্যাসনের মিষ্টির দোকানিরা।
স্থানীয়
 সূত্রে জানা গেছে, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা যশোর ও সাতক্ষীরা থেকে 
ভেজাল ছানা সংগ্রহ করে চরফ্যাসনের মিষ্টির দোকানে সরবরাহ করে। দোকানিরা 
স্থানীয়ভাবে মিষ্টি তৈরি করে বাজারজাত করে। একটি চক্র চরফ্যাসনে এই ভেজাল 
ছানার বাণিজ্যিক প্রসার ঘটিয়েছে।
অনুসন্ধানে
 দেখা গেছে, চরফ্যাসন পৌর শহরের বিভিন্ন মিষ্টান্ন ভান্ডারে নোংরা ও 
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে মিষ্টি সামগ্রী। সাতক্ষীরা থেকে আনা 
ভেজাল পচা দুর্গন্ধযুক্ত ছানা ঝুড়িতে এবং পলিথিনের ব্যাগে ঝুলিয়ে রেখে 
প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না 
করার শর্তে স্থানীয় এক মিষ্টি ব্যবসায়ী জানান, যশোর ও সাতক্ষীরার এসব ভেজাল
 ছানা ভোলার চরফ্যাসন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি দরে প্রতি কেজি ২০০ 
থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করেন। ভোলার স্থানীয় মিষ্টি ব্যবসায়িরা এসব ভেজাল 
ছানা ৪০০ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি করে।
স্থানীয়
 ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, এসব মিষ্টি সাতক্ষীরার ছানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে। 
স্থানীয়ভাবে দুধের সংকটের কারণে ওই ছানার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে এই 
ছানায় কোনো ভেজাল নেই।
চরফ্যাসন উপজেলা 
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সাহাদাৎ হোসেন বলেন, রাসায়নিক মিশ্রিত 
এবং টিস্যু পেপার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে তৈরি করা মিষ্টি খেলে 
ক্যান্সার, খাদ্যনালিতে প্রদাহ, কোষ্ঠকাঠিন্য, খাবারে অরুচিসহ বিভিন্ন 
পেটের পীড়া হতে পারে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এসব ভেজাল মিষ্টিদ্রব্য 
পরিহার করা উচিত।

 
No comments:
Post a Comment