গাজীপুর প্রতিনিধি -
একটি
বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের সংস্কারের জন্য একদল শ্রমিক মাটি খুড়ছিলো। দুপুর
আড়াইটা অথবা তিনটের মাঝামাঝি সময়ে হুট করে এক শ্রমিকের শাবলের আঘাতে একটু
ভিন্ন শব্দ! প্রথমে একবার ঐ শ্রমিক ভেবেছিলেন হয়তো পুরোনো লোহা অথবা কিছু
হবে হয়তো ।
ফের শাবলের আঘাতে এবার
শব্দটা ঠাহর করে বোঝেন ধাতব কোন পদার্থের সাথে লাগছে । এগিয়ে আসে পাশের
শ্রমিকেরাও। এবার একটু জোরে আঘাত করতেই বেড়িয়ে আসে পুরোনো আমলের একটি
হাড়ি/কলসির একাংশ। দীর্ঘদিন মাটির ভেতরে থাকায় জং ধরে যাওয়া কলসিতে শাবলের
আঘাত লেগে বাইরের আবরন ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসে পুরোনো আমলের মুদ্রা ! এবার
চক্ষু চড়কগাছ হয় শ্রমিকদের ।
এদিক ওদিক
তাকিয়ে দেখে আর কারো চোখে পড়েছে কী না । শ্রমিকেরা ভেবেছিলো হয়তো অনেক
মুল্যবান গুপ্তধন পেয়েছেন তারা। তবে রুপকথার গল্পের মত শ্রমিকদের পাওয়া
এই গুপ্তধনের হাড়িতে অনেক মুল্যবান হীরা জহরত না থাকলেও একেবারে নিরাশ হবার
মত কিছু ঘটেনি। হাড়ির মুখ খুলতেই বেড়িয়ে এসেছে ১৬০ ভরি ওজনের রৌপ্য
মুদ্রা। ঘটনা চাপিয়ে রাখার চেষ্টা থাকলেও এক কান দু কান করে খবর পৌছায়
পুলিশে। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে মুদ্রাগুলো।
কালিয়াকৈরে
মাটি খুঁড়ে হাড়িভর্তি ১৩৭টি রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে নিজ
কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ
হারুন অর রশীদ।
তিনি
বলেন, বৃহস্পতিবার কালিয়াকৈর বাজার এলাকার দীপংকর পালের সেপটিক ট্যাংকের
সংস্কারের জন্য মাটি খোঁড়াখুঁড়ি চলছিল। এ সময় সেপটিক ট্যাংকের পাশে মাটি
খুঁড়তে গিয়ে একটি মাটির হাড়ি ভেঙ্গে ধাতব মুদ্রাগুলো বেরিয়ে আসে। যার ওজন
১৬০ ভরি বলে জানান তিনি।
মুদ্রাগুলো আদালতের মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে পাঠানো হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
কালিয়াকৈর
থানার ওসি মো. আব্দুল মোতালেব মিয়া সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, মুদ্রাগুলোর
মধ্যে ১৮০৫, ১৮০১৬, ১৮৯৫ সালের মুদ্রা রয়েছে। এর মধ্যে ‘ইন্ডিয়া’ লেখা একটি
‘হাফ রুপি’ এবং ১৩৬টি ‘ওয়ান রুপি’ লেখা মোট ১৩৭টি রৌপ্য মুদ্রা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment