বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ১০১ 
কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 
‘মোরা’। মার্কিন নৌ-বাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা কেন্দ্র এ 
তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এ সতর্কতা 
কেন্দ্র বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলীয় 
অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ‘মোরা’। তীব্র বেগে আছড়ে পড়া ‘মোরা’ আঘাতস্থলে 
স্থায়ী হতে পারে সর্বোচ্চ ১ মিনিট পর্যন্ত। তবে ঝড়ের গতিবেগ এর চেয়েও বেশি 
হতে পারে।
মার্কিন নৌ-বাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ 
ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা কেন্দ্র বলছে, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত এসব তথ্য শুধুমাত্র 
পরামর্শের জন্য দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে ব্যক্তিগত 
নিরাপত্তার জন্য জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক 
যোগাযোগ অথবা আবহাওয়া কেন্দ্রের সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ শক্তিশালী আকার 
ধারণ করে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসার আগে শ্রীলঙ্কায় ভারি বর্ষণে সৃষ্ট 
বন্যা ও ভূমিধসে দেশটির অন্তত ২০১ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গত 
কয়েকদিন ধরে দেশটিতে ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এ প্রাণহানি
 ঘটেছে। দেশটির অন্তত ৫ লাখ মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
 এছাড়া
 ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাব ও বজ্রপাতে 
অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। বিহারের এটি গ্রামীণ এলাকার বাজারে বজ্রপাতের 
ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া
 ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাব ও বজ্রপাতে 
অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। বিহারের এটি গ্রামীণ এলাকার বাজারে বজ্রপাতের 
ঘটনা ঘটেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, বঙ্গোপসাগরের 
দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা, 
মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ও অরুণাচল প্রদেশে আঘাত হানতে পারে বলে 
সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।
এর আগে গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে 
শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি-ঘরের ছাদ পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। এতে 
ব্যাহত হয়েছে অন্তত ৫ লাখ ৫৭ হাজার মানুষের স্বাভাবিক জীবন। এদের অনেকেই 
দেশটির রাবার চাষের সঙ্গে জড়িত।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের 
চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত হানতে পারে বলে 
বার্তাসংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আন্দামান 
দ্বীপপুঞ্জ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও 
রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ উপকূলের দিকে সরে আসায় 
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও এসব এলাকার 
পাশ্ববর্তী দ্বীপগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে
 পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
 
No comments:
Post a Comment