Saturday, June 3, 2017

আপন জুয়েলার্সের সাড়ে ১৩ মণ সোনা যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে

আপন জুয়েলার্সের স্বর্ণ ও ডায়মন্ড জব্দের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। রোববার সকাল ১০টায় একযোগে আপন জুয়েলার্সের ৫টি শোরুমে এ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ছিল।
তবে সকাল সাড়ে ৯টায় শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল গুলশান-১ ডিসিসি মার্কেট শাখায় এ প্রক্রিয়া শুরু করে। এ প্রক্রিয়ায় আপন জুয়েলার্সের ৫টি শো রুম থেকে পাওয়া সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ দেখানো হবে। জব্দকৃত এ স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থানান্তর করা হবে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আপন জুয়েলার্সের মূল মালিক দিলদার আহমেদসহ অন্য দুই মালিক সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণের কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে না পারার কারণে আজ সকলের উপস্থিতিতে সেগুলো ঢাকা কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হবে। এরপর জব্দকৃত স্বর্ণ ও ডায়মন্ড শুল্ক আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে। শুল্ক গোয়েন্দার ৫টি দল সকাল থেকে এই সব স্বর্ণ জব্দ ও স্থানান্তর প্রক্রিয়া তদারকি করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কোয়ার ও মৌচাকের ৫টি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩.৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড সাময়িকভাবে জব্দ করে। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেয়া হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে ৩ বার শুনানির সুযোগ দিলেও তারা কোন বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।
তবে আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের দেয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেয়া হয়েছে।
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেন বনানী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি শাফাত আহমেদের বাবা।
আরআই

No comments:

Post a Comment