Thursday, June 1, 2017

বিয়ের আগেই একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক, অতঃপর যেভাবে ফেঁসে গেলেন শিমু

বিয়ের দাবিতে একাধারে ৬ দিন যাবৎ প্রেমিকের বাড়িতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিমু আক্তার (২০) নামের এই কিশোরী। সে নড়াইল ইউনিয়নের কুমুড়িয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেবের কন্যা।
জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কুমুরিয়া নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র প্রেমিক আব্দুস ছোবানের (২২) বাড়িতে চলছে এই অনশন। প্রেমিক আব্দুস সোবান আত্মগোপন করায় বিষয়টি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলছিল তাদের মাঝে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আব্দুস সোবান বিয়ের প্রোলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে প্রেমিকা শিমু আক্তারকে। এক পর্যায়ে পিতা-মাতার চাপের মুখে মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় সে। পরে শিমু আক্তার কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে শিমু আক্তার বলেন, স্কুল জীবন থেকে সোবানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। শুধু তাই নয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার তাদের মাঝে শারিরীক সম্পর্কও হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সোবান তাদের নিজ বাড়িতে বিয়ের প্রলোভনে তাকে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে সোবান তার পিতা-মাতার কথামত বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সোবানের পিতা আব্দুল কাদির বলেন, তার ছেলে মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেনি। মেয়েটি নিজেই রাতে তার বসত ঘরে প্রবেশ করে বলে সোবান তাকে বিয়ে করবে বলে বাড়িতে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে মেয়েটি তার বাড়িতেই অবস্থান করছেন। শিমু আক্তারকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান সোবানের পরিবার।
এদিকে শিমুর পিতা মোঃ আব্দুল মোতালেব জানান, তার মেয়ে শিমু আক্তারের সাথে আব্দুল কাদিরের পুত্র সোবানের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে সে। এমন সংবাদ জানার পর মামলা কারার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সোবান তার মেয়েকে বিয়ে করবে মর্মে বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। আজ ৬ দিন হয় তার মেয়ে সোবানের বাড়িতে অবস্থান করছে। মেয়েকে বিয়ে না করে মানুষিক নির্যাতন করেছে বলেও অভিযোগ করেন আব্দুল মোতালেব।
তিনি জানান, মেয়েকে বিয়ে না করায় হালুয়াঘাট থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা না নিয়ে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

No comments:

Post a Comment