Tuesday, June 6, 2017

অন্যধর্মের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারনে এক মুসলমান যুবতীকে গর্ভবতী অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা !!

অন্যধর্মের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারনে এক মুসলমান যুবতীকে গর্ভবতী অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করেছে তারই পরিবারের সদস্যরা। ২১ বছর বয়সী বানু বেগম আর ২৪ বছর বয়সী দলিত যুবক সায়াবান্না শরণাপ্পার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে বিজয়পুরা জেলায় একই গ্রামের বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী ঐ মুসলিম যুবতী বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিল এক দলিত সম্প্রদায়ের যুবককে । চলতি বছরের ২৪শে জানুয়ারি বাড়ি থেকে পালিয়ে বানু এবং সায়াবান্না গোয়ায় গিয়ে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করে।
বিষয়টা জানতে পেরে দুই পরিবারই আপত্তি তোলে। এর পরে মাসকয়েক আত্মগোপনে থেকে ওই দম্পতি গত শনিবার ফিরে আসে নিজেদের গ্রামে। ততদিনে ওই যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, গর্ভবতী অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসতেই ওই যুবতীর মা, ভাই, বোনেরা তাকে মারধর শুরু করে। কয়েকবার ছুরিকাঘাত করে তাকে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
বিয়ের আগেই প্রেম চলাকালিন সময়ে বানুর পরিবার সায়াবান্নাকে মারধর করেছিল, এমনকি পুলিশের কাছে সায়াবান্নার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ফুঁসলানোর অভিযোগও দায়ের করেছিলো বানুর পরিবার। তবে পুলিশ দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে তেমন একটা মাথা গলাতে চায়নি।
গত শনিবার নিজের গর্ভবতী হওয়ার খুশির খবর দিতে স্বামী সায়াবান্নাকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল বানু বেগম।
তবে পরিবারের কর্তারা এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি।
বানুর পরিবারের লোকজনরা নিজেদের মেয়ে আর জামাই – দুজনকেই মারধর শুরু করেন।
কোনোমতে ছাড়া পেয়ে সায়াবান্না পুলিশের কাছে খবর দেন। পুরো ঘটনা শুনে থানা থেকে দশ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ পৌঁছায়।
কিন্তু ততক্ষণে বানুকে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাতের পরে জ্বালিয়ে দিয়েছিল পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, “বানুর পরিবারই তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে। তার মা, ভাই আর বোন এবং সায়াবান্নার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা।” দলিত যুবক সায়াবান্না স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন যে তিনি প্রতিবেশীদের কাছে স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন। কেউ এগিয়ে তো আসেইনি, উল্টে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল সবাই।

No comments:

Post a Comment