Saturday, June 3, 2017

ভ্যাকিউম ক্লিনারের সঙ্গে স্বামীর যৌনতা, লজ্জায় মাথা কাটা গেল স্ত্রীর

১৭ বছরের বিবাহিত জীবন। সংসারে অশান্তি বলতে তেমন কিছুই নেই। তা সত্ত্বেও তাঁকে এমন দৃশ্য দেখতে হবে স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি সৌদি আরবের মহিলা। কী এমন দৃশ্য দেখলেন তিনি? স্থান-কাল-পাত্র ভুলে ভ্যাকিউম ক্লিনারের সঙ্গেই যৌনতায় লিপ্ত তাঁর স্বামী। অস্বাভাবিক এই যৌনতায় এতটাই সে মগ্ন ছিল যে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রীকে পর্যন্ত দেখতে পায়নি। কিন্তু এ দৃশ্য দেখার পর আর চুপ করে থাকতে পারেননি সৌদি মহিলা। সোজা পুলিশের কাছে যান তিনি।
স্ত্রী’র অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। আদালতে তোলা হলে মহিলার মাধ্যমে পুরো ঘটনার বিবরণ শুনে হতবাক বিচারপতিও। সৌদি আরবে অস্বাভাবিক যৌনতাকে অপরাধ হিসেবেই ধরা হয়। এর জন্য মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। তবে সে আইনে অস্বাভাবিক যৌনতার ব্যাখ্যা হিসেবে সমকাম কিংবা পশুর সঙ্গে যৌনতাকেই ধরা হয়। কিন্তু ভ্যাকিউম ক্লিনারের সঙ্গে যৌন সঙ্গম! এ কোন ধরনের যৌন প্রবৃত্তি? এই প্রশ্নই তুলেছিলেন বিপক্ষের আইনজীবী। যার উত্তর দিতে গিয়ে এই ধরনের অপরাধকে বিরলতম আখ্যা দেন বিচারপতি। কিন্তু সৌদি আইনে এই অপরাধের কোনও উল্লেখই নেই। সে কারণে নেই শাস্তির বিধানও।
কিন্তু অপরাধীকে তো আর ছেড়ে দেওয়া যায় না! শাস্তি তো তাকে পেতেই হবে। তাই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও হাজারবার চাবুক মারার নিদান দেন সৌদি আদালতের বিচারপতি। কিন্তু এ শাস্তিতে খুশি নন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। ১৭ বছরের বিশ্বাস তাঁর এক লহমায় ভেঙে গিয়েছে। এমন গর্হিত কাজ যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ করার সাহস যাতে না করতে পারে। তাই এই অপরাধের আরও কড়া শাস্তি চান তিনি।

No comments:

Post a Comment