একেই বলে ভাগ্য! নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে
সুবিধাজনক অবস্থায় থেকেও পেতে হলো এক পয়েন্ট। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে তো
নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে হারাল এক পয়েন্ট।
অন্যতম
ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া এখন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপপর্ব থেকেই
বিদায়ের পথে। ইংল্যান্ডের কাছে শেষ ম্যাচে হারলেই বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে
স্টিভেন স্মিথদের।
সোমবার
কেনিংটনের ওভালে দিনের শুরুটা বাংলাদেশের ভালো যায়নি। টস জিতেও অস্টেলিয়ার
বিপক্ষে করে মাত্র ১৮২ রান। কিন্তু দিন শেষে আবহাওয়া বাংলাদেশের জন্য
সুখবর বয়ে এনেছে।
ডাকওয়ার্থ-লুইস
কার্যকরে অস্ট্রেলিয়াকে ২০ ওভার খেলতেই হতো। অস্ট্রেলিয়ান ইনিংসের ১৬ ওভার
শেষে যখন বৃষ্টি নামে তখন তাদের স্কোর ১ উইকেটে ৮৩। অথচ ডাকওয়ার্থ-লুইসে
ম্যাচ জিততে অস্ট্রেলিয়াকে ২০ ওভারে করতে হতো ৮৫ রান।
শেষ
চার ওভারে আরো দুই-তিনটি উইকেট পড়লেও জিততে তাদের কোনো সমস্যা হতো না।
কিন্তু বৃষ্টি অস্ট্রেলিয়ানদের সর্বনাশ ডেকে বাংলাদেশের সামনে পৌষ মাসের
সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে।
এই ম্যাচের পর
জটিল সমীকরণে পড়া ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে এখন শেষ
ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারাতেই হবে। আবার ইংল্যান্ডকেও অস্ট্রেলিয়া ও
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি দুটি ম্যাচে জিততে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ পৌঁছে
যাবে সেমিফাইনালে!
প্রতিযোগিতায় এখন
পর্যন্ত একটি করে ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। আর দু’টি করে
ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুরন্ত জয় পায় ইংল্যান্ড। এতে ‘এ’ গ্রুপে ইংলিশদের
পয়েন্ট এখন ২। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের সঙ্গে পরিত্যক্ত হওয়ায়
উভয় ম্যাচ থেকে ১ করে পেয়ে অজিদের এখন পয়েন্ট ২। আর বাংলাদেশ ও
নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ১ করে। এ গ্রুপের একমাত্র দল হিসেবে একটি ম্যাচ
হেরেছে বাংলাদেশ। এছাড়া অন্য দলগুলো হারের স্বাদ পায়নি।
আজ
রয়েছে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। ম্যাচটি কিউইদের হারতে হবে। গ্রুপের
শেষ ম্যাচে তাদের বিপক্ষে জিততে হবে বাংলাদেশকে। এমনটি হলে কেন উইলিয়ামসন
বাহিনীর পয়েন্ট থেকে যাবে ১। তবে আজ ইংল্যান্ডকে নিউজিল্যান্ড হারিয়ে দিলেও
সুযোগ থাকছে টাইগারদের সামনে। এ ম্যাচ জিতলে কিউদের পয়েন্ট হবে ৩।
সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নেট রান রেটে
এগিয়ে থাকতে হবে মাশরাফিদের।
এদিকে
অস্ট্রেলিয়ারও হাতে আছে আর মাত্র একটি ম্যাচ। সেটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই
ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতলে তাহলে তারাই উঠে যাবে সেমিতে। ইংল্যান্ড পড়ে
যাবে শঙ্কায়। কারণ, এমনটি হলে ইংলিশদের পয়েন্ট থেকে যাবে ২-ই। এক্ষেত্রেও
শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে তামিম-সাকিবদের। এটি
জিতে রান রেটে এগিয়ে থাকতে পারলে কিউইদের পেছনে ফেলে সেমিফাইনাল খেলবে
বাংলাদেশ।
সমীকরণটি এরকম-
ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড
ম্যাচে জিততে হবে ইংল্যান্ডকে। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও জিততে হবে
ইংলিশদের। আর শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হবে বাংলাদেশকে। এতে
‘এ’ গ্রুপে পয়েন্ট দাঁড়াবে-ইংল্যান্ড(৬), বাংলাদেশ (৩), অস্ট্রেলিয়া (২) ও
নিউজিল্যান্ড (১)।
ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড
ম্যাচে ইংল্যান্ড হারলে অস্ট্রেলিয়ার কাছেও তাদের হারতে হবে। শেষ ম্যাচে
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হবে বাংলাদেশকে। এতে পয়েন্ট
দাঁড়াবে-অস্ট্রেলিয়া (৪), বাংলাদেশ (৩), নিউজিল্যান্ড (৩), ইংল্যান্ড (২)।
No comments:
Post a Comment